
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় হেড কোচ জেমি ডে ডাগ আউটে দাঁড়াতে না পারলেও সহকারী কোচ স্টুয়ার্ট ওয়াটকিস দায়িত্ব পালন করেন। গতকাল একাদশে দু’টি পরিবর্তন আনা হয়েছিল। রিয়াদুল হাসানের পরিবর্তে ইয়াসিন খান এবং গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকুর স্থলাভিসিক্ত হয়েছেন আশরাফুল ইসলাম রানা। প্রথম ম্যাচে ২-০ গোলে জয় পাওয়া স্বাগতিকরা কালও মাঠে নেমেছিলেন আগের ম্যাচের মতো ৪-২-৩-১ ছকে। সাদ উদ্দিন-নাবীব নেওয়াজ জীবনদের নিয়ে গড়া আক্রমনভাগ একের পর এক আক্রমন করে চাপে ফেলে দিয়েছিল প্রতিপক্ষ নেপালকে। দু’টি সুযোগই নষ্ট করেন ফরোয়ার্ড সুমন রেজা। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচের ২৩ জীবনের তৈরি করে দেওয়া সুযোগে সুমন রেজার শট অল্পের জন্য লক্ষ্য ভ্রষ্ট হয়। পরের মিনিটে আবারো ব্যর্থ হন এই ফরোয়ার্ড। এবার সাদ উদ্দিনের দেওয়া বলে অল্পের জন্য লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। প্রথমার্ধে বাংলাদেশ খেললেও দ্বিতীয়ার্ধে তেঁতে উঠেছিল সফরকারীরা। ম্যাচের শেষ মিনিটের নিজেদের বক্সের ঠিক বাইরে প্রতিপক্ষের বদলি মিডফিল্ডার বরীশংকরকে ফেলে দিয়ে বিপদ ডেেেক এনেছিলেন ডিফেন্ডার রহমত মিয়া। অল্পের জন্য বেঁচেও যান। অতিরিক্ত মিনিটে নেপালের আরেক বদলী ফরোয়ার্ড নাওয়াগ শ্রেষ্ঠার হেড সাইডবারে লেগে ফিরে না আসলে হয়ত কপাল পুড়তো লাল সবুজদের।
মাঠে দর্শক :
ম্যাচের ৭৩ মিনিটের সময় উত্তর-পূর্ব গ্যালারী থেকে এক দর্শক ছুটে আসেন মাঠের ভেতরে। রেফারী মিজানুর রহমান প্রথমে তাকে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। স্বাগতিক অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার সঙ্গে সেলফি তুলে ক্ষ্যান্ত হতে চেয়েছিলেন সেই দর্শক। কিন্তু পকেট থেকে স্মার্ট ফোন বের করে ক্যামেরা ক্লিক করার আগেই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ তাকে আটক করে মাঠের বাইরে নিয়ে আসেন। এই দর্শকের মিনিটখানেকের এমন পাগলামি দেশের ফুটবলের পোস্টারবয় জামাল ভূঁইয়ার জনপ্রিয়তা প্রমান করতে যথেষ্ট। তবে এরফলে ভেন্যূর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ইঠতেই পারে। ভবিষ্রতে এ ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে ফিফা ম্যাচ আয়োজনে বাধা আসবে।
স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি:
সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচেও আট হাজার টিকেট ছাড়ার কথা জানানো হয়েছিল বাফুফের পক্ষ থেকে। গতকালও হাজার পনের দর্শক উপস্থিত ছিল গ্যালারীতে। করোনা ভাইরাসের কারনে স্বাস্থবিধির কথা বলা হলেও তা মানা হয়নি। মুখে মাস্ক পড়ে গ্যালারীতে প্রবেশ করেই তা খুলে ফেলেছেন অধিকাংশ দর্শক। আর গ্যালারীতে বসেছেন গায়ে গা ঘেঁষে। দর্শক যাই প্রবেশ করুক না কেনো, ফুটবলের যে জনপ্রিয়তা আকাশ ছোঁয়া- সেটা আবারো প্রমান হলো মাঠে। তারপরও স্বস্তি মাঠে দর্শক ফিরেছে, জোয়ার আসবে আরো সাফল্যে।