
নোবিপ্রবি প্রতিনিধি:
উপকূলীয় অক্সফোর্ড খ্যাত নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) আজ বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি (বিএমবি) বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত হলো এক অনন্য পিঠা উৎসব। বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে নতুন প্রজন্মের সঙ্গে পরিচিত করানোর লক্ষ্যে আয়োজিত এই উৎসব ক্যাম্পাসে নিয়ে এলো এক অনবদ্য আনন্দের স্রোত। এই উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন বিএমবি বিভাগের চেয়ারম্যান ও নোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য ড. রেজওয়ানুল করিম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ, যাঁদের অংশগ্রহণ ও অনুপ্রেরণায় উৎসবটি হয়ে ওঠে আরও বর্ণিল ও প্রাণবন্ত। বিভিন্ন প্রকার ঐতিহ্যবাহী পিঠার প্রদর্শনী, শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাসময় অংশগ্রহণ এবং আন্তরিক পরিবেশ পুরো উৎসবকে রূপ দেয় এক স্মরণীয় মুহূর্তে। পিঠার ম-ম ঘ্রাণ, শিক্ষার্থীদের হাসি-আনন্দ, আর বাঙালির সংস্কৃতির উষ্ণতায় ক্যাম্পাস পরিণত হয় প্রাণচঞ্চল উৎসবের এক মিলনমেলায়।
এই আয়োজন সম্পর্কে বিএমবি বিভাগের প্রভাষক মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন,”নব উদ্যমে নতুন বছরের সূচনায় বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি (বিএমবি) বিভাগের সম্মানিত চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক স্যারের নেতৃত্বে বিভাগের উদ্যমী ও প্রাণবন্ত শিক্ষার্থীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় চিত্তাকর্ষক পিঠা উৎসব সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সহশিক্ষা কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় আগামীকাল থেকে বিভাগে শুরু হবে ইনডোর এবং আউটডোর স্পোর্টস উইক। শিক্ষার্থীদের প্রাণচাঞ্চল্যে শীঘ্রই আয়োজন করা হবে বার্ষিক বনভোজন, যা অনুষ্ঠিত হবে সৌন্দর্যের শহর চট্টগ্রামের ফয়েজ লেকে। আশা করি, শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশে ভবিষ্যতেও এ ধরনের আরও কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।শিক্ষার্থীদের এই উদ্দীপনা ও প্রাণশক্তি বিভাগকে আরও প্রাণবন্ত ও সমৃদ্ধ করে তুলছে। আনন্দময় ও সার্থক শিক্ষাজীবন নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। শিক্ষার্থীদের জীবন হোক সুন্দর, আনন্দময় এবং সাফল্যে পরিপূর্ণ—এটাই আমাদের একান্ত প্রত্যাশা”।
বিএমবি বিভাগের শিক্ষার্থী খায়রুল আমান শাওন বলেন,”বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের পিঠা উৎসব আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মেলবন্ধনের এক অসাধারণ উদাহরণ। আমাদের প্রিয় চেয়ারম্যান ও প্রো-ভিসি ড. রেজওয়ানুল হক স্যারের দিকনির্দেশনায় এবং বিভাগের সকল শিক্ষার্থীর সহযোগিতায় এ আয়োজন আমাদের ক্যাম্পাস জীবনকে রঙিন করে তুলেছে। তাছাড়া ২২ ও ২৩ জানুয়ারি বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে স্পোর্টস উইক এবং ২৯ জানুয়ারি বনভোজনের উদ্দ্যেশ্যে চট্টগ্রামের ফয়েজ লেক ও পতেঙ্গা ভ্রমণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরকম নানাবিধ কার্যক্রম আমাদের ডিপার্টমেন্টকে শুধু আনন্দের নয়, ঐক্যেরও এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আজকের পিঠা উৎসবে আমাদের বিএমবি বিভাগের শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ও অংশগ্রহণ প্রশংসার দাবিদার। প্রতিটি স্টল আমাদের কৃষ্টির নিদর্শন বহন করে এবং সিনিয়র-জুনিয়র সবার মধ্যে বন্ধন আরও দৃঢ় করেছে। এসব আয়োজন আমাদের স্মৃতিতে চিরদিন বেঁচে থাকবে, যা ভবিষ্যতে আমাদের ডিপার্টমেন্টের আরও বড় উদ্যোগের প্রেরণা হবে”।
Array