
নোবিপ্রবি প্রতিনিধি:
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) পরীক্ষার খাতা মূল্যয়নে নাম রােলের স্থলে কোডিং পদ্ধতি চালু করার দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) নোবিপ্রবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার তামজিদ হোসাইনের মাধ্যমে নোবিপ্রবি উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি জমা দেন শিক্ষার্থীরা।
স্মারকলিপিতে তারা বলেন, আমরা নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা আপনার কাছে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপস্থাপন করতে চাই। বর্তমানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে শিক্ষার্থীদের নাম বা রোল নম্বর উন্মুক্ত থাকায় অনেক ক্ষেত্রে পরীক্ষকের মূল্যায়নে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত যোগ্যতা সঠিকভাবে মূল্যায়িত না হওয়ার আশঙ্কা থাকে। পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পূর্বে নম্বর পরিবর্তনের অনিয়ম ঘটার সম্ভাবনাও থেকে যায়, যা শিক্ষার্থীদের অধিকার ক্ষুণ্ণ করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই সমস্যা সমাধানে আমরা পরীক্ষার খাতায় শিক্ষার্থীদের নাম বা রোল নম্বরের পরিবর্তে নির্দিষ্ট কোডিং সিস্টেম চালুর প্রস্তাব করছি। কোডিং সিস্টেম পরীক্ষকের কাছে শিক্ষার্থীদের পরিচয় গোপন রাখবে এবং ফলাফল মূল্যায়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে। প্রযুক্তিগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এ পদ্ধতি দ্রুত বাস্তবায়ন করা সম্ভব। অন্যদিকে, বর্তমানে মানউন্নয়ন (ইমপ্রুভমেন্ট) সুযোগ সীমিত থাকায় অনেক শিক্ষার্থী তাদের পূর্বের ফলাফল উন্নত করার পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছে না। সিজিপিএ ২.২৫ পর্যন্ত ইমপ্রুভমেন্ট সীমিত থাকায় নিম্ন সিজিপিএধারী শিক্ষার্থীরা হতাশায় ভুগছে এবং তাদের একাডেমিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা অনুরোধ করছি যে, ইমপ্রুভমেন্টের সুযোগ ২.৭৫ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হোক, যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের একাডেমিক অবস্থান উন্নত করার সুযোগ পায়।
তারা আরও বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়ন, স্বচ্ছ মূল্যায়ন এবং শিক্ষার্থীদের ন্যায্য সুযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা পরীক্ষার খাতায় কোডিং সিস্টেম চালু এবং মানউন্নয়ন সীমা ২.৭৫ পর্যন্ত বৃদ্ধি করার দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিষ্ট্রার তামজিদ হোসেন বলেন, স্মারকলিপি উপাচার্য ভিসি বরাবর হস্তান্তর করা হবে এবং দাবিটির যৌক্তিকতা সম্পর্কে তাকে অবহিত করা হবে।
Array