
নিজস্ব সংবাদদাতা: আমি ৩০০-আসনে মনোনয়ন চুড়ান্ত করবো, এখানো আর কারো দায়িত্ব নেই। আমি দেখতে চাই তিনশো আসনেই জাতীয় পার্টির যোগ্য প্রার্থী আছে ————————- হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ
ঢাকা, ২০ নভেম্বর১৮, মঙ্গলবার। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির তিনশো আসনে প্রার্থী তালিকা চুড়ন্ত করতে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশান-০১ এর ইমানুয়েলস মিলনায়তনে প্রার্থীদের সাক্ষাতকার গ্রহণ অনুষ্ঠানে এ দায়িত্ব দেয়া হয়। এর আগে প্রেসিডিয়াম সদস্যদের সভায়ও ভোট, জোট এবং প্রার্থীতা চুড়ন্তে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে একক দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে মোট ২৮৬৫ টি মনোয়নয়ন পত্র থেকে বাছাই করে ৭৮০টি মনোনয়ন পত্র হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের হাতে তুলে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, দেশ, পার্টি এবং দলের নেতা-কর্মীদের কথা বিবেচনা করেই তিনশো আসনে প্রার্থীতা চুড়ান্ত করা হবে। আমি তিনশো আসনে মনোনয়ন চুড়ান্ত করবো, এখানো আর কারো দায়িত্ব নেই। আমি দেখতে চাই তিনশো আসনেই জাতীয় পার্টির যোগ্য প্রার্থী আছে। প্রাথমিক ভাবে তিনশো প্রার্থী ঘোষণা করবো। তারপর সম্মিলিত জাতীয় জোটের সাথে প্রার্থীতা চুড়ান্ত করা হবে। রাজনৈতিক মেরুকরণে যদি অন্যকোন জোটে যেতে হয়, আমি একক ভাবে সিদ্ধান্ত নেবো। নেতা-কর্মীদের বলেন, তোমরা নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যাবে, সময় মত আমি সিদ্ধান্ত জানাবো। বলেন, যা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো, আশা করি তোমরা তা মেনে নেবে। আমাদের সুদিন এসেছে, জাতীয় পার্টি আবার জেগে উঠেছে। ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার পর এবার সর্বোচ্চ মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে। এটা আমাদের বড় অর্জন।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, এখনো মামলা আছে আছে আমার নামে। একটা দিনের জন্যও মুক্ত ছিলামনা, এখনো নেই। একটা দিনের জন্যও সুখে ছিলাম না, শান্তিতে ছিলামনা। এখনো মামলা ঝুলছে আমার, একটাও নিস্পত্তি হয়নি। আমার মত দুঃখি রাজনীতিবিদ আর কেউ নেই। আমার চেয়ে কেউ কষ্টে করেনি, অসহ্য কষ্ট সহ্য করেছি। খালেদা জিয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারাগারে আমার চিকিৎসা হয়নি। খালেদা জিয়া বলেছিলেন, এরশাদকে মরতে দাও। তিনি বলেন, এরশাদ মরে নাই, জাতীয় পার্টি এখনো বেঁচে আছে। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টিকে বাঁচিয়ে রেখেছি, আজকের দিনটির জন্য। আজ মাঠে আছে আওয়ামী লীগ আর জাতীয় পার্টি। আর কোন দল নেই মাঠে। এর আগে জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান এবং বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এমপি, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি বক্তৃতা করেন।
উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ব্যরিষ্টার আসিনুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপি, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, শেখ মুহম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ফখরুল ইমাম এমপি, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, নুর-ই- হাসনা লিলি চৌধুরী এমপি, এড. সালমা ইসলাম এমপি, মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা, সুনীল শুভ রায়, এসএম ফয়সল চিশতী, মীর আবদুস সবুর আসুদ, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, মোঃ আজম খান, এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙা, সোলায়মান আলম শেঠ, আতিকুর রহমান আতিক, নাসরিন জাহান রতনা এমপি, আবদুর রশীদ সরকার, মেজর (অব.) খালেদ আখতার, ব্যরিষ্টার দিলারা খন্দকার, সফিকুল ইসলাম সেন্টু, ব্যরিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি সহ মনোনয়ন প্রত্যাশীগণ।
Array