
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :পাকিস্তানে বন্যায় মৃতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে। শনিবার (২৭ আগস্ট) একদিনেই মারা গেছেন ১২০ জন। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি সংস্থার কর্মীদের সব ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বন্যাকবলিত অঞ্চলে জরুরি সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানায়, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে পাকিস্তানের বেশিরভাগ অঞ্চল এখন পানির নিচে। পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ সিন্ধু, খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তানে। প্রদেশগুলোতে তিন কোটির বেশি মানুষ এখন পানির সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
বেশ কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাস্তাঘাট। তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি।
দেশটির জাতীয় দুর্যোগ অধিদফতর জানায়, চলমান বন্যায় এখন পর্যন্ত সাড়ে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ক্ষতি হয়েছে। দ্রুত বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে প্রাণহানির পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় বন্যাকবলিত অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারির পাশাপাশি সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এরই মধ্যে জরুরি সেবায় কর্মরতদের সব ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
সিন্ধু প্রদেশের বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। একইসঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিন্ধু প্রদেশের জন্য দেড় হাজার কোটি রুপি অর্থসহায়তাও ঘোষণা করেন তিনি।
চলমান বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার কাছে সহায়তা চেয়েছে ইসলামাবাদ। দেশটির সরকারের পাশাপাশি বিরোধী দলীয় নেতারাও সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছে। এই তালিকায় আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও।
এদিকে আফগানিস্তানে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯২ জনে। বন্যার পানি কমে যাওয়ায় নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজ করছেন উদ্ধারকারীরা।
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তালেবান সরকার জানায়, বন্যার কারণে দেশটির ১০ লাখ মানুষের জরুরি ভিত্তিতে সহায়তার প্রয়োজন। এ সময় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান তালেবান নেতারা।