
ভিপি নুরের বক্তব্যের প্রত্যেকটি লাইনে স্ববিরোধিতা প্রকাশ করছে ।
ভিপি নুর কেনো কেহ’ই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সমাজের রাজনীতির যে উত্তর উত্তর অগ্রগতি হচ্ছে তা বন্ধ করতে পারবেনা । ছাত্র রাজনীতি করার অধিকার প্রত্যেকটি ছাত্রেরই মৌলিক অধিকার, তাই এই অধিকার বন্ধ / খর্ব করার এখতিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের নাই ।
৯০ এর তথাকথিত পরিবেশ পরিষদ কমিটির দোহাই দিয়ে আমাদের ছাত্র সমাজের রাজনীতিকে দমিয়ে রাখা যাবেনা ।
আমাদের জাতীয় ছাত্র সমাজের মূল মন্ত্র শিক্ষা, শান্তি ,উন্নয়ন, প্রগতি । তাকে কেউ বন্ধ করতে পারবেনা । ভিপি নুরকে বলতে চাই যে ৯০ এর পূর্বে জাসদ ছাত্রলীগ থেকে আমি ডাকসু ভিপি নির্বাচন করেছিলাম ( আজম-রেজা ) পরিষদের নামে তোমার হয়তো তখন জন্মই হয়নি ।
ইতিহাস হলো সমাজের দর্পন তুমি পূর্বের ইতিহাস পড়ো তাহলে জানতে পারবা এরশাদ সরকার , খালেদা সরকার , হাসিনা সরকার কোন সরকারের শাসন আমলে বিশ্ববিদ্যালয় অতিমাত্রায় রক্তাক্ত হয়েছে ?
৯০ এর পূর্বে পল্লী বন্ধু এরশাদ তার নিজ হাতে গড়া সংগঠন নতুন বাংলা ছাত্র সমাজ স্থগিত ঘোষণা করেন । এবং সকল রাজনৈতিক দলকে স্ব-স্ব ছাত্র সংগঠন স্থগিত করার আহ্বান জানান ।
যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্ত না ঝরে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি, শৃঙ্খলা ও পরিবেশ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ থাকে ।
যা নবী ইব্রাহীম (আঃ) ও তার প্রিয় পুত্র ইসমাইল (আঃ) ঘটনাকে স্বরণ করে দিয়েছে দেশ, জাতি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে নিজ সংগঠনকে বলি দিয়েছে ।
তাহলে ৯০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্বহীন ছাত্র সংগঠনকে পরিবেশ পরিষদ কিভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ?
আশা করি তুমি ডাকসুর ভিপি হিসেবে অপরিপক্ক, অবাস্তব ও অযৌক্তিক মন্তব্য করার পূর্বে ভালো করে ইতিহাস জেনে নাও ।
এবং ভিপি হিসাবে সাধারণ ছাত্র – ছাত্রীদেরকে সঠিক ইতিহাস ও সঠিক গাইড লাইন দিয়ে তোমার নিরপেক্ষতার ছাপ রাখো । এ ও স্বরণ করিয়ে দিতে চাই ইচ্ছাকৃত ভুল করলে ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করেনা । কথায় কথায় বলা হয় স্বৈরাচার এরশাদ, কে বড় স্বৈরাচার খালেদা, হাসিনা নাকি এরশাদ নির্ধারণ করবে জনগণ ।
তোমাকে আরো স্বরণ করিয়ে দিতে চাই যে ৯০ পরবর্তীতে তৎকালীন সাহাব উদ্দিন সরকার অবৈধভাবে পল্লী বন্ধু এরশাদকে কারারুদ্ধ করে, তখন সাধারণ ছাত্ররা এ অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্য “সংগ্রামী ছাত্র সমাজ নামে একটি ছাত্র সংগঠন গড়ে তোলে এবং এরশাদ মুক্তি আন্দোলন বেগবান করে । এই সংগঠনটি কালের বিবর্তনে ” জাতীয় ছাত্র সমাজ ” নামে রূপান্তরিত হয়েছে ।
জাতীয় ছাত্র সমাজের সমন্বয়কারী হিসাবে ছাত্র সমাজের সকল সাথীদেরকে আহ্বান করতে চাই যে আমরা বসে নাই, ছাত্র সমাজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠিত করার কাজ এগিয়ে চলছে সময়ান্তে তার প্রমাণ পাবে ।
জামাল-দিপুর নেতৃত্বে ছাত্র সমাজের সমৃদ্ধি লক্ষনীয় । কোনো ব্যক্তি বা কোনো পত্রিকার কথায় বিভ্রান্ত না হয়ে জাতীয় ছাত্র সমাজের প্রত্যেকটি কর্মীকে সংগঠনের কর্মকাণ্ডে আরো সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি । এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করার সময় অবশ্যই গঠনমূলক, সাংগঠনিক নিয়ম শৃঙ্খলা রক্ষা করে রুচিশীল বক্তব্য দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি ।
সংগঠনকে হেয় করে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে, পাশাপাশি যারা নিয়মনীতি ভঙ্গ করে সংগঠনের নেতৃত্বকে অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
জামাল-দিপুর নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে মন্তব্য করার অনুরোধ জানাচ্ছি, অন্যথায় তাদেরকে আমি কঠোর হস্তে দমন করবো ।
আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি ।
যে সকল সদস্যদেরকে ভুলবশত বা যে কোনো কারণে কেন্দ্রীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিতে আনতে পারিনাই — তারাও জাতীয় ছাত্র সমাজের যেকোনো সদস্য যারা সংগঠনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, নিয়ম, শৃঙ্খলা মেনে চলে ও নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল প্রত্যেকে সম্মেলনে তারা প্রার্থী হতে পারবে । অবশ্যই জাতীয় ছাত্র সমাজের আগামী কেন্দ্রীয় সম্মেলনে প্রকৃত ছাত্রদেরকে দিয়েই আগামীর নেতৃত্ব গড়ে তোলা হবে ।
সম্পূর্ণ গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অর্থাৎ ভোটের মাধ্যমে শীর্ষ নেতৃত্ব নির্বাচিত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।
তাই সকলকে সমস্ত দ্বিধা ধন্দ ভুলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে সম্মেলনকে সামনে রেখে সম্মেলন সফল করার লক্ষে হাতে হাত, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি ।