• ঢাকা, বাংলাদেশ

পুলিশ পাহারায় তাজিয়া মিছিল, মানুষের ঢল 

 admin 
10th Sep 2019 6:45 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

কারবালার শোকাবহ ঘটনাকে স্মরণ করে প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র আশুরার তাজিয়া মিছিল কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ১০টার দিকে পুরান ঢাকার হোসনি দালান রোড থেকে ‘হায় হোসেন’ ‘হায় হোসেন’ ধ্বনিতে হাজারো অনুরাগীর অংশগ্রহণে তাজিয়া মিছিলটি শুরু হয়।

রাজধানীর জিগাতলা হয়ে ধানমন্ডি লেক এলাকায় শেষ হয়। শিশু থেকে সব বয়সের লোক মিছিলে অংশ নেন। মিছিলটির আয়োজন করেছে হোসনি দালান ইমামবাড়া ব্যবস্থাপনা কমিটি।

প্রতিটি মিছিলের সামনে ও পেছনে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও র‍্যাবের সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। হোসেনি দালানে প্রবেশের সময়ও কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে মানুষকে। এ ছাড়া দালানের আশপাশে সিসিটিভি চোখে পড়ে। নিরাপত্তার জন্য মিছিলে ছুরি, কাঁচি, জিঞ্জির, তলোয়ারসহ ধাতব বস্তু বহন নিষিদ্ধ করে পুলিশ।

হোসনি দালান ইমামবাড়ার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মির্জা মোহাম্মদ নাকি আসলাম জানান, ৪০০ বছর ধরে পুরান ঢাকায় শোকের মাতম অর্থাৎ তাজিয়া মিছিল বের করা হয়। কারবালায় ইমাম হোসেনসহ তার পরিবারকে হত্যার মধ্যদিয়ে যে বিষাদময় ঘটনা ঘটেছে ইতিহাসে তার পুনরাবৃত্তি হবে না। মিছিলে বিভিন্ন ধর্ম ও গোষ্ঠীর মানুষ অংশ নিয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার কিছুটা ভিন্ন তাজিয়া মিছিল।

মিছিলে অংশ নেয়া মোসলেম হোসেন নামে একজন জানান, অন্যান্য বছর মিছিলে পাইকরা অংশ নিত। এতে শোকাবহ পরিবেশ সৃষ্টি হতো। দিনটির শোকার্ততা স্মরণ করে নিজেদের নিজেরাই আঘাত করে জর্জজরিত করত। কিন্তু এবার সেটি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সেই সঙ্গে এবার পাঞ্জাও করা যাবে না। যেটি মিছিলের একটা মূল উপাদান ছিল।

এদিকে তাজিয়া মিছিল উপলক্ষে ইমামবাড়া এবং আশেপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সদা তৎপর রয়েছেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) কৃষ্ণ পদ রায় সাংবাদিকদের বলেন, তাজিয়া মিছিল উপলক্ষে নিরাপত্তার স্বার্থে মিছিলে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক ব্যক্তিকে তল্লাশি করে তবেই ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়। সে কারণে অনেকেরই ভেতরে ঢুকতে দেরি হয়। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

উল্লেখ্য, হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) কারবালার ফোরাত নদীর তীরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শাহাদত বরণ করেন। এই শোক ও স্মৃতিকে স্মরণ করে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে পবিত্র আশুরা পালিত হয়। দিনব্যাপী এই কর্মসূচির মধ্যে আছে তাজিয়া মিছিল, বিশেষ মোনাজাত, কোরআনখানি, দোয়া ও মাহফিল। অনেকে দিবসটি উপলক্ষে নফল রোজাও রাখছেন। দরিদ্র মানুষের মধ্যে খাদ্য বিতরণও করে থাকে অনেক পরিবার।

দিবসটি উপলক্ষে সংবাদপত্রগুলো বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতারসহ বেসরকারি বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে পবিত্র আশুরার তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হচ্ছে।

Array
We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
Jugantor Logo
ফজর ৫:০৫
জোহর ১১:৪৬
আসর ৪:০৮
মাগরিব ৫:১১
ইশা ৬:২৬
সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১