
ঢাকা, বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০১৯ ঃ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, গ্রামীণ জনপদের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির সবচেয়ে কার্যকর ব্যবস্থা উপজেলা পদ্ধতির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী। তিনি বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যে উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তন করে দিয়েছিলেন- সেই উপজেলা ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের আর কোনো বিকল্প নাই। কারণ, উপজেলার কার্যকরী প্রাণশক্তি ছিলো উপজেলা আদালত। যার মাধ্যমে বিচার ব্যবস্থা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছিলেন। এখন উপজেলা আছে কিন্তু সেখানে আদালত নেই। ফলে গ্রামীণ জনগণ প্রকৃত উপজেলার সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জনাব জিএম কাদের আজ বুধবার তার বনানীস্থ কার্যালয়ের মিলনায়তনে উপজেলা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখছিলেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পার্টির মহাসচিব বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গ এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সুনীল শুভ রায়, এস.এম. ফয়সল চিশতী, আলমগীর সিকদার লোটন, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, ছাত্রসমাজের সদস্য সচিব ফয়সল দিদার দিপু, শ্রমিক পার্টির সিনিয়র সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ শান্ত, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ সভাপতি এস.এম. সোবহান, কৃষক পার্টির সহ সভাপতি মোঃ রমজান আলী, মুক্তিযোদ্ধা পার্টির আহŸায়ক জাফরুল্লাহ মজুমদার।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জনাব কাদের বলেন, উপজেলা আদালত যে নেই- তা নয়, কিন্তু সেই আদালত বসে জেলা শহরে। ফলে বিচার প্রার্থীদের দূর-দূরান্ত থেকে আসতে হয় জেলা শহরে। উপজেলায় আদালত থাকলে উপজেলা সদর আবার প্রাণচাঞ্চল্যে ভরে উঠবে। অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তিনি উপজেলা প্রবর্তনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, পল্লীবন্ধু এরশাদ একটি কল্যাণমুখী, অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক গ্রামমুখী জনপ্রতিনিধত্বশী
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অনন্য সৃষ্টির মধ্যে উপজেলা পদ্ধতি প্রবর্তন অন্যতম। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জনগণের কাতারে ছিলেন, আমরাও সারাজীবন সাধারণ মানুষের কাতারে থেকে রাজনীতি করবো। ৯ বছরে শাসনামলে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ উন্নয়নের যে কীর্তি গড়েছেন, তা এখনো পর্যন্ত কোন সরকার করতে পারেনি। তিনি বঙ্গবন্ধুর মাজার, মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, তিন নেতার মাজার সহ অসংখ্য রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ নির্মাণ করেছেন। বাংলাদেশের উন্নয়নের মূল কাঠামোই তৈরী করেছিলেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলু বলেন, এসময় জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বাংলাদেশের উন্নয়নের রাজনীতিতে কিংবদন্তি হয়ে থাকবেন। পল্লীবন্ধু অমর হয়ে থাকবেন পল্লীর প্রতিটি মানুষের অন্তরে। পল্লীবন্ধুর প্রতি সাধারণ মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসায় জাতীয় পার্টি বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেঁচে থাকবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা নুরুল আজহার, সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মেজবাহ, যুগ্ম মহাসচিব সুলতান আহমেদ সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক ভূঁইয়া, নির্মল দাস, মোঃ হেলাল উদ্দিন, একেএম আশরাফুজ্জামান খান, আমির হোসেন ভূঁইয়া, দফতর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, যুগ্ম দফরত সম্পাদক এম.এ. রাজ্জাক খান, যুব বিষয়ক সম্পাদক মঞ্জুরুল হক, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, মিজানুর রহমান, এনাম জয়নাল আবেদীন, আব্দুল আজিজ, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক যুগ্ম সম্পাদক সমুন আশরাফ, কেন্দ্রীয় নেতা- আবু জামাল লিটন, ঝুটন দত্ত , শেখ ফায়িজ উল্লহ শিপন ,বেলাল হোসেন , নূরুল হক ।
পরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি জাতীয় শ্রমিক পার্টির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় ।