
ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হওয়ার একদিন পরেই বেড়ে গেছে পেঁয়াজের দাম। পাইকারি বাজারে প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) পেঁয়াজ ৫২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে এক কেজি ক্রয় করতে হচ্ছে ১১০ টাকায়।
ভারতীয় পেঁয়াজ এবং অনেকটা দেশি পেঁয়াজের মতো দেখতে মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে এক পাল্লা ৪৫০ টাকায়। খুচরা বাজারে দাম আরও কিছুটা বেশি।
এ বিষয়ে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন জানান, পেঁয়াজের এই পরিস্থিতি বেশি দিন থাকবে না। অচিরেই দাম কমে আসবে। জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে পেঁয়াজ উৎপাদনশীল এলাকা বিশেষ করে পাবনা, ফরিদপুর এবং উত্তরবঙ্গে ১০ জন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে ১০টি টিম ইতোমধ্যে রওনা হয়ে গেছে। তারা এসব এলাকায় কেউ যেন অসৎ উদ্দেশে পেঁয়াজের সঙ্কট সৃষ্টির জন্য মজুত করতে না পারে সেটি তদারকি করবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলার ডিসিদের এই টিমের সঙ্গে যুক্ত থেকে সার্বিক উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।
ড. মো. জাফর উদ্দিন বলেন, ‘ইতোমধ্যে মিশর থেকে দুটি পেঁয়াজবাহী জাহাজ বন্দরে এসে পৌঁছেছে এবং সেটি খালাস হয়েছে। তুরস্ক থেকেও আমদানি করা পেঁয়াজ আসছে। এছাড়া মিয়ানমার থেকে বর্ডার ট্রেডের মাধ্য প্রতিনিয়ত পেঁয়াজ আসছে। এলসির মাধ্যমেও মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আসছে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) থেকে রাজধানীতে ৩৫টি ট্রাকে করে পেঁয়াজ বিক্রি করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। এখন থেকে দেশি পেঁয়াজ কাউকে মজুত করতে দেয়া হবে না। পেঁয়াজ পচনশীল, সে কারণে যার কাছে যে পরিমাণ পেঁয়াজ আছে তা বাজারে ছাড়ুন।
Array