
৬টি লক্ষণই বলে দেবে- বিশ্বজুড়ের অকাল মৃত্যু বা প্যারালাইসিসের অন্যতম প্রধান কারণ স্ট্রোক। প্রতি বছর কোটি কোটি মানুষ স্ট্রোকের স্বীকার হয়ে মারা যাচ্ছেন বা পঙ্গুত্ব বরণ করছেন।
তারা হয়তো জানতেন না কিছু লক্ষণ দেখেই স্ট্রোকের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া যায়। আপনাকে আমরা সেই লক্ষণগুলো জানাতে এই লেখাটি তৈরি করেছি। আসুন জেনে নেই কী সেই ৬টি লক্ষণ যা দেখে আপনি বুঝতে পারবেন যেকোনো সময় আপনার স্ট্রোক হতে পারে।
এখানে উল্লেখ্য যে অনেকেই হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোককে গুলিয়ে ফেলেন। হার্ট অ্যাটাকের মত স্ট্রোককেও হৃৎপিণ্ডের অসুখ বলে ধরে নেন। আসলে তা নয়। স্ট্রোক হৃৎপিণ্ডে হয় না, স্ট্রোক হয় মস্তিষ্কে।
আসুন এবার একটু মনোযোগ দিয়ে লক্ষণগুলো জেনে নেই।
১. উচ্চ রক্তচাপ
অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ স্ট্রোকের মত গুরুতর দুর্ঘটনার জন্ম দিতে পারে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে মস্তিষ্কের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং রক্তনালীগুলোকে অতিরিক্ত চাপ সামলাতে হয়। শুধু তাই নয়। মস্তিষ্কের রক্তনালীগুলো ফেটে মাথার ভেতরে রক্তক্ষরণ জনিত স্ট্রোকে মানুষ মারাও যেতে পারে।
২. দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া
স্ট্রোক হওয়া আগে আপনার দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পেতে পারে। আপনি দূরের জিনিস দেখতে সমস্যায় পড়তে পারেন বা সবকিছু ঘোলা ঘোলা দেখতে পারেন। যুক্তরাজ্যে এক জরিপে অংশ নেওয়া ১,৩০০ স্ট্রোকের আক্রান্ত রোগী স্ট্রোকের আগে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন।
৩. হাত, পা বা চেহারা অবশ হওয়া
স্ট্রোকের আগে আগে দেহের এক পাশের বা উভয় পাশের হাত পা অবশ অবশ অনুভব হতে পারে। একই ঘটনা মুখমণ্ডলেও ঘটার সম্ভাবনা থাকে।
৪. মাথা ঘোরা বা অকারণে ক্লান্তি অনুভব হওয়া
এক গবেষণায় দেখা গিয়ে, স্ট্রোক হওয়ার আগে প্রায়ই মাথা ঝিম ঝিম বা মাথা ঘোরাতে পারে। পাশাপাশি আপনাকে বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিধান্বিত দেখাতে পারে।
৫. হঠাৎ হঠাৎ তীব্র মাথা ব্যথা
স্ট্রোকের আগে রক্তনালী সরু হয়ে যায়। স্ট্রোক যত ঘনিয়ে আসে রক্তনালী দিয়ে রক্তপ্রবাহ তত বাঁধাগ্রস্ত হয়। ফলে মস্তিষ্ক তার প্রয়োজনীয় পরিমাণ অক্সিজেন বঞ্চিত হয় এবং তার প্রতিক্রিয়ায় প্রায়ই তীব্র মাথা ব্যথা দেখা দেয়।
৬. ঘাড় বা কাঁধের ব্যথা
যদি প্রায়ই আপনার ঘাড় এবং কাঁধে ব্যথা হয় তাহলে সতর্ক হোন। দ্রুত ডাক্তার দেখান।
যারা স্ট্রোকের ঝুঁকিতে আছেন
১. যাদের রক্তচাপ ১৪০/৯০ mHg বা তার বেশি।
২. যাদের বয়স বেশি।
৩. যারা ধূমপান করেন।
৪. যাদের ডায়াবেটিস আছে।
৫. যারা হৃদরোগে আক্রান্ত।
অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়
১. অ্যালকোহল এবং মাদকদ্রব্য গ্রহণ,
২. স্থূলতা,
৩. তেল চর্বিযুক্ত খাবার বা ফাস্টফুড,
৪. বিষণ্ণতা,
৫. কায়িক পরিশ্রমের অভাব,
৬. কোনো নিউরোলজিক্যাল সমস্যা।
কবুতরের বিষ্ঠা যখন মৃত্যুর কারণ!
ভালোবেসে কবুতর পোষেণ এমন বহু মানুষ রয়েছেন। দৈনন্দিন জীবনে তাদের যত্ন করতে তারা নানাভাবে কবুতরের সংস্পর্শে আসেন।
সম্প্রতি গ্লাসগোতে একটি হাসপাতালে একটি শিশুর মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হচ্ছে কবুতরের বিষ্ঠার সাথে সম্পর্কিত এক ধরনের প্রদাহকে।
শিশুটির কি হয়েছিলো?
কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে অন্য একটি সমস্যা নিয়ে ভর্তি ছিল শিশুটি।
হাসপাতালে থাকা অবস্থাতেই কবুতরের বিষ্ঠা থেকে ‘ক্রিপটোকক্কাস’ নামক এক ধরনের ছত্রাক সংক্রমণ হয় তার শরীরে।
সেটি থেকে দেখা দেয় নতুন অসুখ। কবুতরের বিষ্ঠার সংস্পর্শে আসা মাটিতে এটি পাওয়া যায়।
হাসপাতালের যে ঘরে শিশুটিকে রাখা হয়েছিলো সেটির খুব ছোট একটি ছিদ্র থেকে কবুতরের বিষ্ঠা সম্ভবত ঘরে প্রবেশ করেছিলো বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রদাহ থেকে শিশুটি মারা গেছে। এতে কাশি, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, মেনিনজাইটিস হতে পারে।
এই নির্দিষ্ট প্রদাহটি অবশ্য মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় না।
কবুতরের বিষ্ঠা থেকে আর কি অসুখ হয়?
এই ছত্রাক সংক্রমণ ছাড়াও কবুতরের বিষ্ঠা থেকে মানবদেহে আরও কয়েকটি অসুখ হতে পারে।
যেমন এক ধরনের ফ্লু হতে পারে যার একটি হল ‘সিটাকোসিস’।
জ্বর, মাথাব্যথা, ফুসকুড়ি এগুলো এর সাধারণ লক্ষণ। অনেক সময় নিউমোনিয়া পর্যন্ত গড়াতে পারে সমস্যাটি।
ফ্লু থেকে ফুসফুসের একটি প্রদাহ হতে পারে যার নাম ‘হিসটোপ্লাসমোসিস’।
সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত হতে পারে মানবদেহ যা থেকে ডাইরিয়া হয়।
কিভাবে এসব অসুখ মানবদেহে ছড়ায়?
যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম অথবা যারা এই শিশুটির মতো ইতিমধ্যেই কোনো শারীরিক সমস্যায় দুর্বল তাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
সাধারণত কবুতরের বিষ্ঠা পরিষ্কার করতে গিয়েই সবচাইতে বেশি আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
বিষ্ঠা পরিষ্কারের সময় বাতাসে তার যে কণা ভেসে বেড়ায় সেটি নিঃশ্বাসের সাথে শরীরে প্রবেশ করে।
খাঁচায় খুব বেশি বিষ্ঠা জমতে না দেয়াই ভালো। কবুতরের ঘর পরিষ্কার করার সময় নাকমুখ কিছু দিয়ে ঢেকে নিন।
পাখিকে খাওয়াতে গিয়ে বা আদর করতে গিয়ে বিষ্ঠা গায়ে লেগেও আক্রান্ত হতে পারেন এসব অসুখে।
যদি শরীরের সাথে কবুতর বা অন্য পাখির বিষ্ঠার সংস্পর্শ হয় তবে খুব সাবধানে তা পরিষ্কার করতে হবে।
নিজেই পরীক্ষা করে নিন আপনি গর্ভবতী কিনা
গর্ভধারণ প্রতিটি মেয়ের জন্য অনেক কাঙ্ক্ষিত, অনেক অনন্দের একটি বিষয়। মাতৃত্ব প্রতিটি মেয়ের জীবনে নতুন মাইলফলক যোগ করে।
কিন্তু অনেক সময় মেয়েরা প্রথম কয়েক মাস বুঝতে পারেন না তারা গর্ভবতী। বিশেষত যাদের মাসিক অনিয়মিত তাদের বুঝতে সমস্যা হয়ে থাকে। আর তখন অসাবধান ভাবে চলাফেরা করার কারণে সম্মুখিন হতে পারে গর্ভপাতের মত সমস্যার!
তাই সন্দেহ হওয়ার সাথে সাথে পরীক্ষা করে নিন আপনি গর্ভবতী কিনা। এই পরিক্ষাটি আপনি ঘরে করে ফেলতে পারেন। খুব সহজ কিছু ঘরোয়া উপায়ে জেনে নিতে পারেন আপনি গর্ভবতী কিনা।
১। টুথপেস্ট
আপনি গর্ভবতী কিনা এটা বোঝার সবচেয়ে সহজ এবং ঘরোয়া উপায় হল টুথপেস্ট। একটি পরিস্কার কনন্টিনারে আপনার সকালের ইউরিনের সাথে অল্প কিছু টুথপেস্ট মিশিয়ে নিন। কিছুক্ষণ এভাবে রেখে দিন। যদি ইউরিন নীল রং ধারণ করে অথবা ফেনা উঠে যায়। তবে বুঝতে হবে আপনি গর্ভবতী। সাদা টুথপেস্ট ব্যবহার করবেন।
২। চিনি
রান্নাঘরের এই উপাদানটি সাহায্য করবে আপনি গর্ভবতী কিনা সেটা পরীক্ষা করার জন্য। এক টেবিল চামচ চিনির সাথে সকালের প্রথম উইরিন মিশিয়ে নিন। কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন।
তারপর লক্ষ্য করুন চিনি উইরিনের সাথে মিশে গেছে কিনা? যদি মিশে যায় তবে বুঝতে পারবেন আপনি গর্ভবতী নয়, আর যদি ইউরিন জমাট বেঁধে যায় তবে আপনি বুঝতে হবে আপনি গর্ভবতী।
৩। সাবান পানি
সকালের প্রথম ইউরিনের সাথে সাবান পানি মিশিয়ে নিন। ইউরিন এবং সাবান পানি মিশে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। যদি মিশ্রণটিতে বুদবুদ উঠে। তবে আপনি গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরীক্ষাটি সবসময় সঠিক ফল দিয়ে থাকে না। এটি করার পর আপনি অন্য আরেকটি পরীক্ষা করে নিতে পারেন।
৪। সরিষা পাউডার
বাথটব বা এক বালতির পানির মধ্যে দুই কাপ সরিষা গুঁড়ো মিশিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। এবার এই পানি দিয়ে গোসল করে ফেলুন। সরিষা আপনার শরীরকে গরম করে দিয়ে থাকে। যার কারণে ৪-৫ দিনের মধ্যে আপনার মাসিক হয়ে যাবে। আর আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন, তবে মাসিক বন্ধ থাকবে।
৫। ভিনেগার
ভিনেগারে সাথে সকালের প্রথম ইউরিন মিশিয়ে নিন। যদি এটি এর রং পরিবর্তন হয়ে যায়, তবে বুঝতে হবে আপনি গর্ভবতী। রং অপরিবর্তিত থাকলে বুঝে নিবেন আপনি গর্ভবতী নন।
Array