• ঢাকা, বাংলাদেশ

প্রতি ডোজ টিকার খরচ ২১৫ টাকা 

 admin 
04th Nov 2020 9:02 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

দেশে প্রতিদিন করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। করোনা প্রতিরোধে কার্যকর কোনো ভ্যাকসিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদ পাওয়া মাত্রই তা দেশে আনতে চায় সরকার। প্রথম দফায় ৩ কোটি ৪০ লাখ ভ্যাকসিন আনার পরকিল্পনা করা হয়েছে। প্রাথমিক হিসেবে প্রতি ডোজ ভ্যাকসিনের দাম হতে পারে ২ ডলার। আর প্রতি ডোজ ভ্যাকসিন সংরক্ষণ ও বিতরণে খরচ হতে পারে দুই থেকে আড়াই ডলার। সে হিসাবে ৩ কোটি ৪০ লাখ ভ্যাকসিন দিতে মোট ৮৭৭ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৬ টাকা হিসেবে) ব্যয়ের একটি প্রাথমিক হিসাব কষেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে সরকার গঠিত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটি তাদের প্রথম সভায় এই ব্যয়ের পরিমাণ তুলে ধরে বলে জানান কমিটির এক সদস্য।

সভায় উপস্থিত ছিলেন এমন কয়েকজন সদস্য গণমাধ্যমকে জানান, টাস্কফোর্স কমিটি ৬০ বছরের বেশি বয়সী জনগোষ্ঠীকে সবার আগে টিকা দেওয়ার প্রস্তাব করেছে। টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে এরপরই অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছেন করোনা চিকিৎসায় নিয়োজিত প্রথম সারির স্বাস্থ্যকর্মী ও মাঠে কাজ করা প্রথম সারির সাংবাদিকরা।

টাস্কফোর্স কমিটি করোনার টিকা দেশে আনার পর সংরক্ষণ ও দেওয়া পর্যন্ত মোট ব্যয়ের একটি খসড়া বাজেটও তুলে ধরেছে সভায়। তবে এ ব্যয়ের পরিমাণ চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান কমিটির এক সদস্য।

তিনি বলেন, করোনার টিকা দিতে মোট কত ব্যয় হবে, তা নিয়ে কোনো কংক্রিট আলোচনা হয়নি। কাজে চলছে। তবে আমরা ভ্যাকসিনের দাম যদি দুই ডলার করে হয়, তবে অপারেশন ব্যয় দুই থেকে আড়াই ডলার ধরেছি মাথাপ্রতি পার ডোজে। এর মধ্যে ভ্যাকসিন রাখা, আনা-নেওয়াসহ সব খরচ ধরা হয়েছে।

এর জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে টাকা চেয়ে আবেদন করবে টাস্কফোর্স কমিটি।

এক সদস্য বলেন, ভ্যাকসিন দিতে যে খরচ হবে, সে টাকার জন্য আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে আবেদন করব। টাকার পরিমাণটা চূড়ান্ত হয়নি। আরও কিছু হিসাব আছে। সেগুলো শেষ হলে আবেদন করা হবে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে আবেদন জমা নেওয়া শুরু হবে। আবেদন করার জন্য তারা গাইড লাইন দিয়েছে। আবেদন করার অনুমতি পেলেই আমরা গ্যাভিতে (গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন) অন্তর্ভুক্ত হতে পারব। আমরা চাইছি শুরুতেই আবেদন করতে।

এ ব্যাপারে কমিটির সদস্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকাদান কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. শামসুল হক বলেন, সভায় আমরা ভ্যাকসিন কেনার ব্যাপারে কোনো মত দিইনি। কারণ সরকার একটা কিনবে আর গ্যাভি দেবে। এটা টাস্টফোর্সের কাজ নয়। টাস্কফোর্সের কাজ হলো ভ্যাকসিন প্রয়োগ প্ল্যান তৈরি করা। ভ্যাকসিন এলে রাখব কোথায়, কোল্ড চেইন ক্ষমতা, দেব কীভাবে, কোন কোন স্পট থেকে দেয়া হবে, কাদের আগে দেওয়া যেতে পারে এসব বিষয় নিয়ে গত তিন দিন আমরা বেশকিছু কাজ করেছি। এখনো এসব কাজ চূড়ান্ত হয়নি।

তিনি বলেন, টাস্কফোর্স গঠনের পর কী করা হয়েছে, সেটা জানানোর জন্য গতকালের সভা হয়। আমরা প্রথম একটা ড্রাফট তৈরি করেছি। সেটা উপস্থাপন করা হয়েছে। সেখানে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন মন্ত্রী। নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন।

সভায় টিকা রাখার ব্যাপারে নতুন করে কোল্ড চেইন তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে জানিয়ে এক সদস্য বলেন, ভ্যাকসিন রাখার জন্য যেসব সরঞ্জাম লাগবে তার একটা তালিকাও আমরা দিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য প্রথম দফায় ৩ কোটি ৪০ লাখ ভ্যাকসিন আনা। সেগুলো রাখার জন্য ক্যাপাসিটি বাড়াতে হবে।

Array
We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
Jugantor Logo
ফজর ৫:০৫
জোহর ১১:৪৬
আসর ৪:০৮
মাগরিব ৫:১১
ইশা ৬:২৬
সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১