
দুবাইগামী বাংলাদেশ বিমানের ‘ময়ুরপঙ্খী’ উড়োজাহাজটি ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে অস্ত্রধারী যুবক পাইলটকে পিস্তল ঠেকিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলিয়ে দেয়ার দাবি জানান। তবে পাইলট বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ঠান্ডা মাথায় বিমানটি জরুরি অবতরণ করতে সক্ষম হন। সেনা কমান্ডো অভিযানে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটকের পর মাহদী নামের ওই যুবক মারা গেছেন।
পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআইজি আকমল হোসেন জানান, বিমানটি যখন মধ্য আকাশে তখন এক যাত্রী ককপিটে ঢুকে পাইলটকে পিস্তল ধরে বলেন, আমাকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলিয়ে দিতে হবে। তবে পাইলট কৌশলে বিমানটি জরুরি অবতরণ করেন।
ওই বিমানে থাকা সংসদ সদস্য মইন উদ্দিন খান বাদলও একটি টেলিভিশনকে বলেছেন, অস্ত্রধারী পিস্তল ঠেকিয়ে পাইলটের কাছে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলিয়ে দেয়ার সুযোগ চেয়েছিলেন।
প্রায় দুই ঘণ্টার কমান্ডো অভিযান শেষে চট্টগ্রামের জিওসি এস এম মতিউর রহমান সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি জানান, অভিযানের শুরুতে ওই যুবককে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হয়। তবে ২৫/২৬ বছর বয়সী সেই যুবক তাতে সাড়া না দিয়ে গুলি চালান। কমান্ডোরা পাল্টা গুলি চালালে তিনি আহত হন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর সেখানে তার মৃত্যু হয়।
ওই যুবক কেন এই ঘটনা ঘটালেন এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জিওসি বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে তার কাছ থেকে বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে পাইলটকে পিস্তল ঠেকিয়ে ওই যুবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলিয়ে দেয়ার দাবি করেন। এছাড়া তিনি তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলতে চান। তবে পাইলট বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কৌশলে তাকে কথোপকথনে ব্যস্ত রেখে বিমানটি জরুরি অবতরণে সক্ষম হন।
পাইলট জানিয়েছেন, ওই যুবক অস্ত্র ঠেকালেও তার কোনো ক্ষতি করতে চাননি। ভালো আচরণই করেছেন।
Array