
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে মিরপুরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এক সাংবাদিকের প্রশ্নে রেগে যান ড. কামাল হোসেন। এ নিয়ে চলছে নানান ধরনের আলোচনা-সমালোচনা। এ নিয়ে সম্প্রতি নিজের ফেসবুক পেইজে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। তার স্ট্যাটাসটি বিডি২৪লাইভ পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো:-
প্রশ্ন করেন কাকে?
ভাবুন তো আওয়ামী লীগ সভানেত্রী গেছেন শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানাতে। সেখানে উনাকে কি প্রশ্ন করতে পারবেন একাত্তরে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হয়ে যুদ্ধ করা এক সামরিক অফিসারকে তাদের জোট থেকে নমিনেশন দেয়া নিয়ে? করতে পারবেন এমন আরো প্রশ্ন?
প্রধানমন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলনে কি প্রশ্ন করেন একের পর এক ব্যাংক লুট, লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার, মানুষ গুম, শেয়ার বাজার লুট, এদেশ থেকে নেয়া ভারতীয়দের নজীরবিহীন অংকের রেমিটেন্স, সরকারী প্রকল্পে অস্বাভাবিক খরচ নিয়ে?
ড. কামাল বা ফখরুলকে প্রশ্নবানে বিদ্ধ করার অধিকার আপনার আছে। তবে এ প্রশ্নবান বেশী থাকা উচিত দশ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সরকারের প্রতি। এটি না করে শুধু সরকারের প্রতিদ্ধন্ধীদের প্রতি প্রশ্নবান নিক্ষেপে মরিয়া হয়ে উঠলে সন্দেহ জাগে এটা কি সাংবাদিকতা নাকি অন্য কিছু?
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে যান ড. কামালসহ ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। স্মৃতিসৌধে ফুল দেওয়া শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এক সাংবাদিক তাঁর কাছে জানতে চান,‘জামায়াতের তো রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন বাতিল হয়েছে, এখন জামায়াত সম্পর্কে আপনাদের সর্বশেষ অবস্থান কী?’
এ প্রশ্নে ক্ষিপ্ত হন কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘কত টাকা পেয়েছ এই প্রশ্নগুলো করার জন্য? শহীদ মিনারে এসেছ, শহীদদের কথা চিন্তা করা উচিত। কোন চ্যানেল থেকে এসেছ? চিনে রাখব। চুপ করো, খামোশ!’
Array