
ঢাকা- ২৩ অক্টোবর, শনিবার, ২০২১ইং: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, প্রশাসনিক বাঁধার কারনে উপজেলা পরিষেদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সঠিক ভাবে কাজ করতে পারছে না। তারা মানুষের ভাগ্য উন্নয়ণে কাজ করতে পারছে না। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যেভাবে উপজেলা পদ্ধতি বাস্তবায়ন করেছিলেন এখন আর সেভাবে চলছে না উপজেলা পরিষদ। তিনি বলেন, গণমানুষের আস্থা নিয়ে জাতীয় পার্টি পল্লীবন্ধুর স্বপ্নের পূর্ণাঙ্গ উপজেলা পরিষদ বাস্তবায়ন করবে।
আজ বিকেলে ইনষ্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ মিলনায়তনের উপজেলা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
সভাপতির বক্তৃতায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছিলেন, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার। তিনি উপজেলা পরিষদ সৃষ্টি করে মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। সরকারি সকল সেবা মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষণার পাশাপাশি সকল ধর্মের সব অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। ইউনিয়ন থেকে উপজেলা, জেলা থেকে রাজধানী পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ সৃষ্টি করেছিলেন। তিনি বলেন, শহরের সকল সুবিধা গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে দেয়ার কাজ শুরু করেছিলেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
সভাপতির বক্তৃতায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ঔষধ নীতি করেছিলেন। এতে ঔষধ শিল্প বিকশিত হয়েছে, দেশের মানুষ স্বল্পমূল্যে ঔষধ কিনতে পারছেন। পল্লীবন্ধু স্বাস্থ্যনীতি করতে চেয়েছিলেন, সেসময় যারা স্বাস্থ্যনীতির বিরোধীতা করেছিলেন এখন তারাই বলছেন এরশাদের স্বাস্থ্যনীতি বাস্তবায়িত হলে দেশের চিকিৎসা ক্যবস্থা আরো উন্নত হতো। কর্মমূখি শিক্ষানীতি করতে চেয়েছিলেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। বিচারবিভাগ বিকেন্দ্রীকরণ, প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন এবং আনুপাতিক হারে ভোটের মাধ্যমে সরকার গঠনের যে স্বপ্ন পল্লীবন্ধু দেখেছিলেন আমরা তা বাস্তবায়ন করবো। মানুষের প্রত্যাশা পূরনে পল্লীবন্ধুর রেখে যাওয়া কাজগুলো বাস্তবায়ন করবে জাতীয় পার্টি।
এসময় জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি বলেছেন, রাষ্ট্রধর্মের সাথে অসাম্প্রদায়িকতা ও ধর্ম নিরপেক্ষতার কোন বিরোধ নেই। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষণা করে পল্লীবন্ধু জন্মাষ্টমীর দিনে সরকারী ছুটি ঘোষণা করেছেন। হিন্দু, বৌদ্ধ সহ সকল ধর্মাবলম্বীদের কল্যাণে ট্রাষ্ট গঠন করেছিলেন। সকল ধর্মের সমান সুযোগ সৃষ্টি করেছিলেন। এলজিইডি প্রতিষ্ঠা করে পল্লীবন্ধু গ্রামাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ণে কাজ করেছেন পল্লীবন্ধু।
জাতীয় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেছেন, দেশের সুশাসন নিশ্চিত করতে এবং কর্মমূখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করতে রূপরেখা ঘোষণা করবেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। আমরা গণমানুষের অধিকার আদায় ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনের রূপরেখা পৌঁছে দিতে গ্রামাঞ্চলে গণ সংযোগ করবো। পাশাপাশি, আগামী নির্বাচনে তিনশো আসনে প্রার্থী দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় পার্টি।
কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি বলেছেন, বাংলাদেশের একজন মুসলমানের শরীরে একবিন্দু রক্ত থাকতে কেউ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম পরিবর্তন করতে পারবে না। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার হিসেবে চিরজীবী হয়ে থাকবে।
কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি বিএনপি‘র প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, যারা উপজেলা পরিষদ বিলুপ্ত করেছিলেন তারাই এখন উপজেলা পরিষদের নির্বাচন করতে মরিয়া। তিনি বলেন, দেশের মানুষ জাতীয় পার্টিকেই চায়, আগামী দিনে জাতীয় পার্টি দেশ পরিচালনা করবে।
উপজেলা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, মহাসচিব মো: মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য মো: সাহিদুর রহমান টেপা, অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, সুনীল শুভরায়, মীর আবদুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, এড. মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, জহিরুল ইসলাম জহির, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা জহিরুল আলম রুবেল, ভাইস চেয়ারম্যান এইচএম শাহরিয়ার আসিফ, জাতীয় শ্রমিক পার্টির সদস্য সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, জাতীয় তরুণ পার্টির আহবায়ক মোঃ জাকির হোসেন মৃধা, জাতীয় ছাত্রসমাজের সভাপতি মো: ইব্রাহীম খাঁন জুয়েল।
উপস্থিত ছিলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য মো: শফিকুল ইসলাম সেন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার মিয়া, সৈয়দ দীদার বখত, নাজমা আক্তার এমপি, অনুষ্ঠানে সঞ্চলনা করেন যুগ্ম-মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, মাননীয় চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মিসেস শেরীফা কাদের, সেলিম উদ্দিন, ড.নূরুল আজহার শামীম, মনিরুল ইসলাম মিলন, নুরুল ইসলাম তালুকদার এমপি, আতাউর রহমান আতা, হারুন আর রশিদ, মাহজাবিন মোরশেদ, এ্যড গিয়াস উদ্দিন, হেনা খান পন্নী, অ্যাড লাকি বেগম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জামাল হোসেন, ড.প্রফেসর গোলাম মোস্তফা, নাজনীন সুলতানা, অ্যাড জহিরুল হক জহির, লেঃ কঃ সাব্বির আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অবঃ) আবদুস সালাম, আহসান আদেলুর রহমান আদেল এমপি, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান,আমিনুল ইসলাম ঝন্টু, মিসেস সালমা হোসেন, শেখ আলমগীর হোসেন, শফিউল্লাহ শফি,তারেক এ আদেল, আমির উদ্দিন আহমেদ ডালু, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড সাহিদা রহমান রিংকু, মোঃ শামসুল হক, অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ ভাসানী, ফখরুল আহসান সাহজাদা, মো বেলাল হোসেন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নির্মল দাস, নাসির উদ্দিন সরকার, মো: এনাম জয়নাল আবেদীন, মোঃ সাইফুল ইসলাম, মো: হুমায়ুন খান, সৈয়দ ইফতেখার আহসান হাসান, আনোয়ার হোসেন তোতা, মাখন সরকার, এবিএম লিয়াকত হোসেন চাকলাদার, আনিসুল রহমান খোকন, কাজী আবুল খায়ের, মমতাজ উদ্দিন, সুলতান মাহমুদ, এমএ রাজ্জাক খান, মাসুদুর রহমান মাসুম, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: ইসহাক ভূঁইয়া, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহিন, শাহাদাত কবির, গোলাম মোস্তফা, এসএম আল জুবায়ের, সুমন আশরাফ, মিজানুর রহমান মিরু, যুগ্ম সম্পাদক-মোঃ হেলাল উদ্দিন, তিতাস মোস্তফা, আকতার হোসেন দেওয়ান, এসএম সোবহান, আজাহারুল ইসলাম সরকার, নজরুল ইসলাম, জাকির হোসেন মিলন, মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, শেখ মোহাম্মদ শান্ত, ডাঃ সেলিমা খান, সাহিদুর রহমান সন্টু, আক্তারুজ্জামান খান, অ্যড আবদুর রশিদ, শাহনাজ পারভীন, কেন্দ্রীয় নেতা- রিতু নূর, মনিরুজ্জামান টিটু, নাজমুল খান,আলাউদ্দিন আহমেদ,আবু সাঈদ স্বপন, মাওঃ মোঃ খলিলুর রহমান সিদ্দিকী, লোকমান ভূঁইয়া রাজু, হাজী লিটন, মোনাজাত চৌধুরী, হাবিবুর রহমান, নাছির উদ্দিন ছিদ্দিকী, জেসমিন নূর প্রিয়াংকা, তাসলিমা আকবর রুনা, জিয়াউর রহমান বিপুল, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, মোখলেছুর রহমান বস্তু, শওকত আকবর, জাহাঙ্গীর আলম, হিমেল, মোতাহার হোসেন, ফারুক শেঠ, আলহাজ্ব আব্দুল বাতেন, শেখ মোঃ সারোয়ার হোসেন, ছাত্রনেতা শাহ ইমরান রিপন, অর্ণব চৌধুরী, শাহারিয়া রাসেল, ইউসুফ, নাজমুল, রুহুল আমিন বিপ্লব, অয়ন, মানিক, জনি, আলমগীর কবির মজুমদার, শেখ আবু ওয়াহাব, কাজী মামুন, মোঃ বাসেদ আলী টিপু, এস এম হাশেম প্রমুখ।
Array