
আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রশাসন ও পুলিশে রদবদলের দাবি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। তবে তারা কোনো আশ্বাস পায়নি।
শনিবার বিকালে স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের নেতৃত্বে দলের একটি প্রতিনিধি দল যায় কমিশনে। প্রায় দুই ঘণ্টা কথা বৈঠক করে তারা।
বিএনপির পক্ষে আরও ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মির্জা আব্বাস, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু, মুশফিকুর রহমান ও বিজন কান্তি সরকার।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষে বৈঠকে ছিলেন সিইসি কে এম নুরুল হুদা ছাড়াও, নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম, রফিকুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন, হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মওদুদ বলেন, ‘এই রদবদল কেন (ইসি) করতে পারবেন না? ১৯৯১ সালে, ১৯৯৬ সালে, ২০০১ সালে যখনই নতুন সরাকার এসেছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসেছে, তখনই তারা মূল পাঁচ থেকে ছয় জন সচিবকে বদলি করে দিয়েছে।’
জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এই সরকার নিয়োগ দিয়েছে বলে তাদের বদলি করে দেওয়া ভালো বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি নেতা। বলেন, ‘তাহলে সেখানের ভোটারদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসবে, দেশের মানুষের মনে আস্থা আসবে নিজের ইচ্ছেয় ভোটকেন্দ্রে গিয়ে যাকে ইচ্ছে ভোট দিতে পারবে।’
‘এই পরিবেশ সৃষ্টি না হলে নির্বাচন একটা প্রহসনে পরিণত হবে। আমরা চাই না নির্বাচন একটা প্রহসনে পরিনত হোক।’
মওদুদ বলেন, ‘নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন রিটার্নিং অফিসার, যিনি হলেন ডেপুটি কমিশনার (ডিসি)। তিনি সরকারি একজন চাকুরে। সহকারী রিটার্নিং অফিসার, তিনি টিএনও, তিনি সরকারের একজন কর্মকর্তা। তারা মেইনস্ট্রিম ব্যুরোক্রিসিতে বিশ্বাস করেন।’
‘পুলিশ প্রশাসনও একই রকম। সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ (এসপি) এবং থানার ওসি তারা নির্বাচনে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই চারজন কর্মকর্তা সরকারের অধীনে কাজ করেন।’
বিএনপির নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তার চলছে বলেও নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করে আসে দলটির প্রতিনিধি দল। মওদুদ বলেন, ‘আমাদের সম্ভাব্য সাত জন প্রার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা এরই মধ্যে কারাগারে আছে এবং আগে থেকেই গ্রেপ্তার হয়েছে এবং কারাগারে আছে।’
আগামী নির্বাচনকে জাতির জন্য শেষ পরীক্ষা উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘এই পরীক্ষায় যদি আমরা উত্তীর্ণ না হই, তাহলে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে আনতে পারব বলে মনে হয় না।’
নির্বাচন কমিশন কী বলেছে- এমন প্রশ্নে মওদুদ বলেন, ‘তারা শুনেছেন, বলেছেন পর্যালোচনা করবেন। তারা বলেছেন, চেষ্টা করবেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য। আমরা আশা করি তারা সফল হবেন।’
যদি না হয়?- এমন প্রশ্নে বিএনপি নেতা বলেন, ‘কোনো যদির উত্তর দেব না।’ এরপর আরও প্রশ্ন করা হলেও কোনো জবাব না দিয়েই চলে যান মওদুদ আহমদ।’
Array