• ঢাকা, বাংলাদেশ

প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার প্রস্তুতি শুরু 

 admin 
02nd Mar 2021 8:48 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘ এক বছর পর বিদ্যালয় খুলতে প্রস্তুতি শুরু করেছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সামাজিক দূরত্ব মেনে ও শিক্ষার্থীদের করোনামুক্ত রাখতে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে কাপড়ের মাস্ক। এছাড়াও প্রতিটি বিদ্যালয়ে থার্মাল স্ক্যানার ও জীবাণুনাশক স্প্রে মেশিনও কেনা হয়েছে। দেশের একাধিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

সরকারের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে ৫ দিন ক্লাসে আসবে। আর অন্যান্য শিক্ষার্থীরা আসবে সপ্তাহে একদিন।

অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিকল্পনা ছিলো অন্যরকম। এ বিষয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা চেয়েছিলাম সকালে একটি গ্রুপ, বিকেলে একটি গ্রুপ বা একটি শ্রেণিকে একাধিক বিভাগে ভাগ করে শ্রেণি কার্যক্রম চালাবো। তবে নতুন সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী তা সম্ভব হচ্ছে না।

তবে গ্রামীণ পর্যায়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার থাকাটা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে মাগুরা জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কুমারেশ চন্দ্র গাছি বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে পর্যাপ্ত হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখবো। আমাদের অধিকাংশ স্কুলে ওয়াশব্লক আছে। সেখানেই শিক্ষার্থীরা হাত পরিষ্কার করতে পারবে। যেসব স্কুলে পানির ব্যবস্থা খুব ভাল নয় সেসব স্কুলে বড় বড় ড্রাম কেনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে স্কুলগুলোতে ফান্ড দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অনুপাত অনুযায়ী ড্রামের কেনা হবে যেনো শিশুরা হাত ধুতে পারে।

মেরামত বা করোনা প্রতিরোধে এ বিষয়ে অধিদপ্তরে টাকা চাওয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা কিছু টাকা চেয়েছি আর কিছু টাকা পেয়েও গেছি। এছাড়াও প্রতিবছর স্কুলে একটা ফান্ড থাকে যার নাম স্লিপ ফান্ড। এই টাকা আমাদের এসে গেছে। এছাড়াও গত বছরের কিছু টাকা জমা ছিলো; একারণে টাকার কোনো সমস্যা হবে না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলা উপজেলা ও গ্রামীণ পর্যায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস প্রতিদিনই খোলা আছে। শিক্ষকরা নিয়ম করে সপ্তাহে দুদিন করে আসছেন। এর আগেও অনেকবার স্কুল খোলার প্রস্তুতি নেয়ার কারণেই এমন অবস্থার কথা জানান শিক্ষকরা।

দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭০ ভাগ শিক্ষকের করোনার টিকা নেয়া হয়েছে। যাদের ৪০ বছরের নিচে বয়স তারাও বিশেষ প্রক্রিয়ায় টিকা নিচ্ছেন। এ বিষয়ে জেলা পর্যায়ে সিভিল সার্জন অফিস শিক্ষকদের সহায়তা করছে বলে জেলা পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তারা জানান।

শিক্ষক-কর্মকর্তারা অনস্পট ভ্যাক্সিন পাচ্ছে বলা যায়। চলতি সপ্তাহে সেটা আরও এগিয়ে যাবে বলেও জানান শিক্ষা কর্মকর্তারা।

তবে সব জেলায় এমন সুবিধা পাচ্ছেন না শিক্ষকরা। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সহকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. শামছুদ্দিন বলেন, এখনো সুরক্ষা অ্যাপ থেকে টিকা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। শিক্ষকরা স্বাস্থ্যকর্মী পরিচয় দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করছে। হইতো আমাদের তালিকা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেলে এর নিষ্পত্তি হতে পারে। আর অন্তঃসত্ত্বা শিক্ষকদের বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর থেকে আসেনি।

তবে জানা যায়, করোনা টিকা নেয়ার ব্যাপারে অনেক শিক্ষক আগ্রহ প্রকাশ করছেন না। অনেকে আবার ভয় পাচ্ছেন। অনেকের শারীরিক সমস্যাও আছে। তবে টিকা না নিলেও শিক্ষকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও ক্লাস নিতে পারবেন। এবিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কোন বাধ্যবাধকতা নেই বলে জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিক্ষকরা বলেন, করোনা টিকা নেয়ার বিষয়ে, অন্তত রেজিস্ট্রেশন করার বিষয়ে একপ্রকার বাধ্য করা হচ্ছে। টিকা না নিলেও ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে। কারণ এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা আছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. আবুল কাশেম বলেন, করোনা টিকার বিষয়ে সরকারের নির্দেশনা আছে। মন্ত্রণালয় থেকে অধিদপ্তর, অধিদপ্তর থেকে জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিস প্রতিটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের করোনা টিকা নেয়ার বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে আদেশ দেয়া হয়েছে। অনেক উপজেলাই মঙ্গলবার এ চিঠি পাঠানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

টিকা নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. মিজানুর রহমান বলেন, বাধ্যবাধকতা বিষয়টি এমন নয় যে কাউকে ধরে এনে টিকা দেয়া হবে। যেহেতু সরকারি নির্দেশনা আছে তাই সবাইকে নিতে হবে এবং টিকা নিয়েই শিক্ষকদের ক্লাসে আসতে হবে।

যেসব শিক্ষিকা অন্তঃসত্ত্বা তাদের বিষয়ে তিনি বলেন, তারা তো এমনিতেই টিকা নিতে পারবেন না। যখন টিকা নেয়ার উপযোগী হবে তখন তাদেরকেও কোভিড টিকা দেয়া হবে। এছাড়া যাদের শারীরিক সমস্যা আছে তাদের বিষয়টি ভিন্ন বলে জানান তিনি।

Array
We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
এই বিভাগের আরও খবর
 
Jugantor Logo
ফজর ৫:০৫
জোহর ১১:৪৬
আসর ৪:০৮
মাগরিব ৫:১১
ইশা ৬:২৬
সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১