
বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেফতার হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আদালত থেকে তাকে আবারও ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১১টা ৪৩ মিনিটের দিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে থেকে মামুনুলকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে বেলা ১১টা ৯ মিনিটের দিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এদিন ২০২০ সালের মোহাম্মদপুর থানার একটি ভাঙচুর ও নাশকতার মামলায় তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
অপরদিকে মামুনুলের আইনজীবী তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।
এদিন সকাল থেকেই আদালতপাড়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে মামুনুলকে তোলার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, মামুনুল হক বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনায় আছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় গত ২৬ মার্চ সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনায় পল্টন থানায় হওয়া মামলার অন্যতম আসামি তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ৩ এপ্রিল সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টে ধরা পড়ার পর থেকেই মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ঘটনার পর থেকেই পুলিশ তাকে নজরদারির মধ্যে রেখেছিল। এ ঘটনার পর হেফাজতের বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়।
হেফাজতের এই নেতার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে সহিংসতার একটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।
Array