
আবারো বাড়ানো হলো বিদ্যুতের দাম। আজ বৃহস্পতিবার বিকালে দাম বৃদ্ধির এ ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। আসছে মার্চ থেকে এ দাম কার্যকর হবে।
কমিশন জানিয়েছে, বিদ্যুতের পাইকারি দর ইউনিট প্রতি ৮.৪ শতাংশ বাড়িয়ে ৫.১৭ টাকা করা হয়েছে। আর হুইলিং চার্জ ৫.৩ শতাংশ বাড়িয়ে ২৯ পয়সা করা হয়েছে।
এর আগে গত ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বিদ্যুতের (পাইকারি ও খুচরা) দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) গণশুনানিতে উল্লেখ করেছিল এলএনজি আমদানির কারণে গ্যাস দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যয় ৪১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ খাতে বছরে মোট ব্যয় বাড়বে ২ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া কয়লার ওপর ভ্যাট আরোপ করায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের ব্যয় বেড়ে যাবে। সব মিলিয়ে ২০২০ সালে বর্তমান দর অনুযায়ী পাইকারি বিদ্যুৎ বিক্রি করলে ৯ হাজার ৫৫২ কোটি টাকা লোকসান হবে।
যে কারণে বিদ্যুতের পাইকারি দর ৫ দশমিক ৮৮ টাকা (বর্তমান দর ৪.৮৪ টাকা) করা প্রয়োজন।
প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়, পাইকারি বিদ্যুতের দর ২০১৭ সালের নভেম্বর ৮ পয়সা কমিয়ে ৪.৮৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তখন গড় ব্যয় ছিল ৫ টাকা ৪৪ পয়সার মতো। বিইআরসি ৬০ পয়সা হারে ভর্তুকি দেওয়ার আদেশ প্রদান করেছিল।
বিইআরসি রাজধানীর ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) অডিটোরিয়ামে ২০১৯ সালের নভেম্বরে ওই শুনানির ব্যবস্থা করে।
শুনানিতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) পাইকারি বিদ্যুতের দাম ২৩ দশমিক ২৭ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল।
বিপরীতে কমিশনের কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি ১৯ দশমিক ৫০ শতাংশ বাড়ানোর প্রয়োজন বলে মন্তব্য করে।
Array