
বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ১৯৭৫ সালে নির্মমভাবে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। হত্যার পর কত রকমের মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হয়। কিন্তু ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না। আজ প্রমাণিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলা যায় না।
শুক্রবার (১৯ মার্চ) বিকেলে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘মুজিব চিরন্তন’ উৎসবের তৃতীয় দিনের অনুষ্ঠান তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ হবে অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উন্নীত হতে পেরেছে। বাংলাদেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আমরা চাই বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত জাতির পিতার সোনার বাংলা হয়ে উঠুক।
তিনি বলেন, সবদিকে দিয়ে মানুষ যেন উন্নত জীবন পায়। জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল এই। আসুন জাতির পিতার ১০১তম জন্মদিনে আমরা সেই প্রতিজ্ঞা নিই, জাতির পিতা যে স্বপ্ন দেখেছেন আমরা সেটা পূরণ করব।
অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা আরও বলেন, বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজের জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। এ দেশের মানুষের প্রতি সব সময় তার আলাদা ভালোবাসা ও দায়িত্ব ছিল। তার পিতামাতা সব সময় তাকে সহযোগিতা করেছেন। আমার মা সব সময় তাকে প্রেরণা জুগিয়েছেন। কোনও কিছুর চাহিদা ছিল না। এজন্যই বঙ্গবন্ধু তার সংগ্রাম এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছিলেন।
অনুষ্ঠানে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসেও অংশ নিয়েছেন। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস এবং তিন বাহিনীর প্রধান উপস্থিত আছেন।
Array