
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোসকে নিয়ে বিশেষ স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করছে সার্ক কালচারাল সোসাইটি। মহান বিজয় দিবস ও বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী পালনের অংশ হিসেবে ২৮ ডিসেম্বর ঢাকায় এই স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে অংশ নেবেন ভারতের স্বাধীনতার আন্দোলনে অগ্রদূত নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোসের নাতী ও ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপির পশ্চিম বঙ্গ রাজ্য কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট চন্দ্র কুমার বোস। বুধবার পশ্চিমবঙ্গের কোলকাতায় চন্দ্র কুমার বোসের হাতে আমন্ত্রণ পত্র তুলে দেন সার্ক কালচারাল সোসাইটির সভাপতিও ঢাকা-৪ আসনের জাপা দলীয় সাংসদ সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। এই সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সার্ক কালচারাল সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক সুজন দে, আর্ন্তাতিক বিষয়ক সম্পাদক লায়ন মেহেদী হাসান ও কোলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজকালের প্রধান প্রতিবেদক তরুন চক্রবর্ত্তী। এমপি বাবলার আমন্ত্রণ গ্রহণ করে চন্দ্র কুমার বোস বলেন, বাংলাদেশে কখনো যাওয়া হয়নি। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে গিয়ে বঙ্গবন্ধু সর্ম্পকে কিছু কথা বলার সুযোগ পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আমার পিতার সু-সর্ম্পক ছিলো। ১৯৭২ সালে আমার পিতা তৎকালীন লোকসভার সদস্য অমিয়নাথ বোসকে বঙ্গবন্ধু ঢাকায় আমন্ত্রণ করে নিয়ে গিয়েছিলো। আমি ঢাকায় গিয়ে যদি বঙ্গবন্ধুর কন্যার সঙ্গে স্বাক্ষাতের সুযোগ পায় তাহলে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আমার পিতাজীর একটি দূলর্ভ ছবি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেবো। তিনি বলেন, আমার দাদা যেমন ভারতবর্ষকে স্বাধীন করার জন্য স্বশস্ত্র সংগ্রাম করেছেন, তেমনি বঙ্গবন্ধুও বাংলাদেশ স্বাধীন করার জন্য স্বশস্ত্র সংগ্রাম করেছেন, দুই নেতার মধ্যেই অনেক মিল ছিলো। নতুন প্রজন্মের উচিত তাদের সর্ম্পকে আরো বেশি করে জানা। এই সময় সার্ক কালচারাল সোসাইটির সভাপতি ও ঢাকা-৪ আসনের সাংসদ সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা জানান, জাতির জনকের জন্ম শতবার্ষিকার অনুষ্ঠান সরকারী ভাবে বছর ব্যাপী নানা আয়োজনে পালন করা হবে। এর বাইরে আমাদের দেশের বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনও নিজেদের মতো করে জাতির পিতার জন্মাশত বার্ষিকীর অনুষ্ঠান পালন করবে। তারই অংশ হিসেবে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে ঢাকায় তিনটি ও কোলকাতা, আগরতলা এবং গৌহাটিতে বঙ্গবন্ধুর স্মরনে একটি করে অনুষ্ঠান করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
Array