admin
27th Jun 2021 4:47 pm | অনলাইন সংস্করণ

কৃষিক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২৭ ব্যক্তি ও ৫ প্রতিষ্ঠানকে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার-১৪২৪’ প্রদান করা হয়েছে।
রবিবার (২৭ জুন) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। অনুষ্ঠানস্থলে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মনোনীতদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয় প্রকাশিত বঙ্গবন্ধুর কৃষিবিষয়ক ১০০ অমরবাণীর সংকলন ‘বাণী চিরসবুজ’ ও স্মারকগ্রন্থ ‘চিরঞ্জীব’-এর মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জানা গেছে, প্রতি বছর স্বর্ণ, রৌপ্য, ব্রোঞ্জ-এ তিনটি বিভাগে মোট ৩২টি পদক প্রদান করা হয়ে থাকে। এরমধ্যে স্বর্ণপদক ৫টি, রৌপ্যপদক ৯টি ও ব্রোঞ্জপদক ১৮টি।
পুরস্কার বিজয়ীদের সনদপত্র, সংশ্লিষ্ট পদক ও নগদ টাকা দেওয়া হয়। স্বর্ণপদক প্রাপ্তদের ১ লাখ টাকা, রৌপ্যপদক প্রাপ্তদের ৫০ হাজার টাকা ও ব্রোঞ্জপদক প্রাপ্তদের ২৫ হাজার টাকা নগদ দেওয়া হয়।
কৃষি গবেষণা, সম্প্রসারণ, সমবায় উদ্বুদ্ধকরণ, প্রযুক্তি উদ্ভাবন, নারীদের অবদান, বাণিজ্যিক খামার, বনায়ন, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি পালন এবং মাছ চাষ প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এ পুরস্কার দেয়া হয়।
স্বর্ণপদক পেলেন যারা: কৃষি গবেষণায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) ফার্ম মেশিনারি অ্যান্ড পোস্টহার্ভেস্ট টেকনোলজি বিভাগ, কৃষি সম্প্রসারণে ঢাকার এম আনিস উদ-দৌলা ও উপজেলা কৃষি অফিসার তালহা জুবাইর মাসরুর, কৃষিতে নারী হিসেবে ঢাকার নবাবগঞ্জের মায়া রাণী বাউল ও বাণিজ্যিক খামারি নারায়ণগঞ্জের এম এম শাহজাহান সিরাজ।
রৌপ্যপদক পেলেন যারা: উদ্যান বিশেষজ্ঞ খোন্দকার মো. মেসবাহুল ইসলাম, কুষ্টিয়ার মো. বকুল হোসেন, বারির কর্মকর্তা ড. মো. ওমর আলী, দিনাজপুরের মো. মাহমুদুল হাসান, নাটোরের রুবিনা খাতুন, রংপুরের বৈদ্যনাথ বর্মণ, বারির মসলা গবেষণা কেন্দ্রের কর্মকর্তা ড. কে এম খালেকুজ্জামান, খুলনার জীবানন্দ রায় ও রংপুরের মর্জিনা বেগম।
ব্রোঞ্জপদক পেলেন যারা: কুমিল্লার মনজুর হোসেন, সিলেটের মো. জাবের হোসেন, গাজীপুরের মো. রমজান আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মো. আবু নাছের, আলীম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, সিরাজগঞ্জের মাস্টার নার্সারি অ্যান্ড অ্যাফরেস্টশন, নোয়াখালীর মো. সাহেদুর রহমান, বগুড়ার মো. হামিদুল ইসলাম, পাবনার মো. আনিছুর রহমান, ঝিনাইদহ কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র ঘোষ, ফরিদপুরের বক্তার হোসেন খান, ময়মনসিংহের নিতাই চন্দ্র রায়, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইদুল ইসলাম, ঝিনাইদহের মনোয়ারা বেগম, ঢাকার আশুলিয়ার রাজিয়া সুলতানা ও সাতক্ষীরার পাকুড়িয়া সিআইজি (ফসল) কৃষি সমবায় সমিতি।