
বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্ধ বাড়িয়ে শিক্ষা খাত’কে দুর্নীতিমুক্ত করার আহবান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক।
জাতীয় পার্টির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক,সাবেক ছাত্র- নেতা মিজানুর রহমান মিরু বলেন- আজ বসছে বাজেট অধিবেশন।এই অধিবেশনে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা করা হবে। যেখানে শিক্ষা ক্ষেত্রে বাজেট ধরা হয়েছে ৬৬,৩০০ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ১১%। শিক্ষাখাতে ইহা থোক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এভাবে থোক বরাদ্দ না দিয়ে প্রাথমিক, মাধ্যমিক,উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে কত টাকা, অবকাঠামো ক্ষেত্রে কত টাকা শিক্ষকদের বেতন খাতে কত টাকা ব্যয় হবে তার বিস্তারিত বর্ণনা থাকা দরকার। এছাড়া করোনা ভাইরাস এর কারনে অর্থনৈতিক মন্দার ফলে স্কুল থেকে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার প্রবনতা বেড়ে যাবে ।বাল্যবিবাহ,শিশুশ্রম এবং অপুষ্টি এই তিনটি কারনে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের হার বাড়বে।তাই শিক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির জন্য শিক্ষাক্ষেত্রে বাজেট বাড়াতে হবে। শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে মাধ্যমিক পর্যায়ে এমপিওভুক্ত নয়, এমন শিক্ষকদের বেতন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে। সার্বিক ক্ষেত্রে শিক্ষা পুনরুদ্ধার এর জন্য শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি নজর দিতে হবে। উচ্চতর গবেষণা ও গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে।। সেই জন্য এই বরাদ্ধ বাড়িয়ে কমপক্ষে ১৫% করা উচিৎ। কয়েক বছর ধরেই শিক্ষাখাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ২ শতাংশ। জাতিসংঘের ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিকের (এসকাপ) ২০১৮ সালের এক জরিপ অনুযায়ী, এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৩৫ টি দেশের মধ্যে জিডিপির তুলনায় শিক্ষা খাতে খরচে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৪ তম। এছাড়া শিক্ষা খাতে যে টাকা দেওয়া হয় তা লোপাট হয়ে যায়। পুরো শিক্ষা ব্যবস্হায় তৈরি হয়েছে একটি সিন্ডিকেট। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা অধিদপ্তর দূর্নীতিমুক্ত না হলে শুধু বাজেট বাড়িয়ে কোন লাভ হবে না। এবার যে বাজেট দেওয়া হচ্ছে তা গতানুগতিক বাজেট। আমাদের এই ধারার বাজেট থেকে বের হয়ে আসতে হবে। শুধু আয়-ব্যয়ের হিসেব না দিয়ে অর্থনীতি ও জনগনের জন্য ভাল কিছু থাকতে হবে। পরিশেষে তিনি বলেন- আমরা চাই আধুনিক ও বিজ্ঞান ভিত্তিক সার্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্হা বাস্তবায়ন করতঃ শিক্ষা খাতে বরাদ্দকৃত টাকার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার ব্যবস্থা গ্রহন করা।