
আজ সকালে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান-এর বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে উপজেলা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু আরো বলেন, মানুষ চায় উন্নয়নের সাথে সুশাসন এবং আইনের শাসন। তিনি বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ উন্নয়নের সাথে সুশাসন নিশ্চিত করতে পেরেছিলেন। বিএনপি উন্নয়নের নামে খাল কেটেছে, এখন আর তাদের সেই উন্নয়ন চোখে পড়েনা। আবার ৯১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি টেন্ডারবাজী, চাঁদাবাজী, দখলবাজী ও দলবাজী শুরু করেছিলো। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ-এর স্বপ্নের উপজেলা ব্যবস্থা ভেঙে চুরমার করেছিলো। মানুষের আশা-আকাংখা ধুলিসাৎ করে বিএনপি এখন অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে। উপজেলা ব্যবস্থা বাতিল করে বিএনপি যে অপরাধ করেছে সেজন্য ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে বিএনপিকে। বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘ সময় একটানা ক্ষমতায় থেকে দৃশ্যমান অনেক উন্নয়ন করেছে। কিন্তু মানুষের শান্তি, স্বস্তি ও নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যার্থ হয়েছে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে ব্যার্থ হয়েছে। নারী ও শিশুর সম্মান রক্ষায় ব্যার্থ হয়েছে। তাই দেশের নিরাপত্তা, শান্তি, স্বস্তি এবং উন্নয়ন ও সুশাসনের জন্য জাতীয় পার্টির দিকে দেশের মানুষ তাকিয়ে আছে। তাই, আগামী জাতীয় নির্বাচনে গোলাম মোহাম্মদ কাদের-এর নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি ক্ষমতার নিয়ামক শক্তি হিসেবে আর্বিভূত হবে।
এসময় জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, দেশের মানুষের দোড়গোড়ায় উন্নয়নের সুফল পৌঁছে দিতেই পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ উপজেলা গঠন করেছিলেন। ৪৬০টি উপজেলা প্রতিষ্ঠা করে ১৮ জন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে স্বাস্থ্য সেবা, কৃষি, পশু সম্পদ ও বনায়নে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এই কৃতিত্ব পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের। পল্লীবন্ধু প্রতিটি উপজেলায় ৩১ বেডের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তৈরী করে সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করেছিলেন। প্রতিটি উপজেলায় ২জন নারী চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে মাতৃ মৃত্যুর হার কমিয়ে এনেছিলেন।
জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, পল্লীবন্ধু উপজেলা পরিষদ গঠন করে তৃণমূল পর্যায়ে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিয়েছিলেন। বলেন, জানগণের ভোটে নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের অধীনে ১৮জন প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তার জবাবদিহিতা নিশ্চিত ছিলো। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাদের এসিয়ার লিখতেন। পল্লীবন্ধু উপজেলা পরিষদকে শক্তিশালী করে গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়ন করেছিলেন। আমরা পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বপ্নের উপজেলা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেনÑ প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, এ্যাড. মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, মাননীয় চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা- জহিরুল আলম রুবেল, ভাইস চেয়ারম্যান হুসেইন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ, যুগ্ম মহাসচিব- বেলাল হোসেন, একেএম আশরাফুজ্জামান খান, জাতীয় ছাত্র সমাজ কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম খান জুয়েল।
উপস্থিত ছিলেন, যুগ্ম মহাসচিব- ফখরুল আহসান শাহজাদা, ইকবাল হোসেন তাপস, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হেলাল উদ্দিন, সৈয়দ মোঃ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, হুমায়ুন খান, মিজানুর রহমান, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সুলতান মাহমুদ, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক ভূঁইয়া, এম.এ. রাজ্জাক খান, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হেলাল উদ্দিন, মোঃ আক্তার দেওয়ান, এম.এ. সুবহান, যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, যুগ্ম সাহিত্য সম্পাদক ইব্রাহিম আজাদ।
কেন্দ্রীয় সদস্য ও জাতীয় ওলামা পার্টির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান সিদ্দিকী, আব্দুল আজিজ, মাহবুবুর রহমান খশরু, মোঃ আলমগীর হোসেন, জাহিদুর রহমান, শেখ মোঃ আবু ওহাব, জহিরুল ইসলাম মিন্টু। ছাত্রনেতা শাহ ইমরান রিপন, রুহুল আমিন গাজী বিপ্লব, বাঘা ও মোড়ল জিয়াউর রহমান। কুরআন তেলাওয়াত করেন জাতীয় ওলামা পার্টির হাফেজ আব্দুর রহিম।