• ঢাকা, বাংলাদেশ

বিজ্ঞানে স্বপ্ন দেখার ব্যাখ্যা 

 admin 
26th Feb 2019 10:09 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

মাঝেমধ্যে ঘুমন্ত অবস্থায় মানুষ এমন সব সুন্দর স্বপ্ন দেখে আচমকা সেই ঘুমটা ভেঙে গেলে আফসোস করে,”ইস! কেন যে ঘুমটা ভেঙে গেল? “আবার মাঝেমধ্যে এমন সব ভয়ংকর স্বপ্ন দেখে যা সারারাত ঘুমুতে দেয় না। বারবার তন্দ্রাচ্ছন্ন করে। তাই মানুষ প্রাচীনকাল থেকে স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানতে খুবই আগ্রহী। এজন্য যুগের পর যুগ ধরে স্বপ্ন নিয়ে বিভিন্ন ধর্মীয়, দার্শনিক, বৈজ্ঞানিক গবেষণা করেছে। স্বপ্ন মানুষের একটি মানসিক অবস্থা, যাতে ঘুমন্ত অবস্থায় বিভিন্ন কাল্পনিক ঘটনা অবচেতনভাবে অনুভব করে। আসলেই অনেক সময়ই পুরানো টুকরো টুকরো স্মৃতি কল্পনায় বিভিন্নভাবে পরিবর্তিত হয়ে সম্ভব, অসম্ভব সব ঘটনা স্বপ্নের রূপ নেয়।

স্বপ্ন সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা
স্বপ্ন বিজ্ঞানের ইংরেজি নাম oneirology, বিজ্ঞানীদের মতামতের ভিত্তিতে স্বপ্নের ব্যাখ্যা তুলে ধরা হলো।

আবেগের সমষ্টি 

স্বপ্ন হলো ধারাবাহিক কতগুলো ছবি বা আবেগের সমষ্টি যা ঘুমের সময় মানুষের মনের মধ্যে আসে। এগুলো কল্পনাও হতে পারে বা অবচেতন মনের কথাও হতে পারে। ফ্রয়েডীয় তত্ত্ব মতে,”স্বপ্ন মূলত মানুষের গোপন আকাঙ্ক্ষা এবং আবেগের বহিঃপ্রকাশ”। মানুষ জাগ্রত অবস্থায় যে আবেগগুলো লালন করে তা ঘুমন্ত অবস্থায় স্বপ্ন রূপে আসে।

জৈবিক ধারা

ক্যালভিন হলের তত্ত্ব বিশ্লেষণে দেখা যায় যে মানুষের মোট স্বপ্নের ১০ শতাংশের বেশি যৌন বিষয়ে হয় না। আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে যৌবনকালে ৮০% নর-নারী যৌন স্বপ্ন দেখে থাকেন। অনেক সময় সপ্নের মাঝেও বীর্যপাত ঘটে।তাকে আমরা ভেজা স্বপ্ন বা স্বপ্নদোষ বলি।

দুঃস্বপ্ন

দুঃস্বপ্ন একটি অপ্রীতিকর স্বপ্ন যা মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। সাধারণত ভয় অথবা ভয়াবহ এমনকি হতাশা,উদ্বেগ, দুঃখ থেকেও মানুষ দুঃস্বপ্ন দেখতে পারে। মানসিক বা শারীরিক অসুস্থতার উপস্থিতিও হতে পারে। তাই ভুক্তভোগীরা জাগ্রত অবস্থায় মানসিক দুশ্চিন্তা মুক্ত হতে পারে না। একদল গবেষক মনে করেন,পেটের অসুখ কিংবা বাজে কিছু খেলে দুঃস্বপ্ন আসতে পারে। তবে বিজ্ঞান এটাও নিশ্চিত করে দুঃস্বপ্ন নিয়ে দুঃস্বপ্ন করার কিছুই নাই।

অন্ধ মানুষের স্বপ্ন

গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ৫ থেকে ৭ বছর বয়সের আগেই অন্ধ হন, তারা তাদের স্বপ্নে দৃশ্যমান কোনো কিছুই দেখতে পান না। তাদের শুধু কিছু দেখার মতো অনুভূতি হয়। ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর তারা কী দেখেছেন, তা মনে করতে পারেন না। আর মনে করতে পারলেও তার বর্ণনা দিতে পারেন না। তাদের এই অনুভূতিগুলো সাধারণ মানুষের অনুভূতির চেয়ে তীব্রভাবে অনুভূত হয়। আসলেই ৫/৭ বছর বয়সের আগেই যারা অন্ধ হয়ে যায় তারা পারিপার্শ্বিক অবস্থা তেমন অনূভবে আনতে পারেনা।

স্বপ্নে পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের কার্যক্রম

স্বপ্ন দেখার সময় মানুষের বিভিন্ন ইন্দ্রিয়ের অভিজ্ঞতা বা অনুভূতি নিয়ে ১৮৯৬ সালে একটি গবেষণা হয়। ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বপ্নের মধ্যে মানুষের দৃষ্টিসংক্রান্ত অনুভূতি ৮৫ শতাংশ, শ্রবণসংক্রান্ত অনুভূতি ৬৯ শতাংশ, স্পর্শানুভূতি ১১ শতাংশ, ঘ্রাণের অনুভূতি ৭ শতাংশ এবং স্বাদের অনুভূতি ৬ শতাংশ সক্রিয় থাকে। গবেষণায় পাওয়া তথ্য বলছে, স্বপ্নের মধ্যে দর্শনানুভূতিই সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে। সেই তুলনায় স্পর্শ, ঘ্রাণ এবং স্বাদের অনুভূতি অনেক কম কার্যকর থাকে। কিন্তু কী কারণে অনুভূতির এ তারতম্য ঘটে এর ব্যাখ্যা এখনো পাওয়া যায়নি।

দিবা স্বপ্ন ও হেলুসিনেশন

দিবা স্বপ্ন ও হেলিসিনেশনকে গবেষকেরা স্বপ্নের উপশাখা বলে মতামত দিয়েছেন। দিবাস্বপ্ন একধরনের ফ্যান্টাসি,সুখ, আনন্দদায়ক চিন্তা এবং উচ্চাঙক্ষী প্রত্যাশা যা স্বপ্ন প্রত্যাশী জাগ্রত অবস্থায় দেখতে পায়। দিবাস্বপ্নকে একটি অলসতা, অ-উৎপাদনশীল চিত্তাকর্ষক স্বীকার করা হয়। লেখক,ঔপন্যাসিক, চলচ্চিত্রকার সৃজনশীল কাজগুলো দিবাস্বপ্নের মাধ্যমে অনেকটা এগিয়ে রাখে। আর হেলুসিনেশন হলো, যা উদ্দীপক অবস্থার অনুপস্থিতি হলেই একে উপলব্ধি করা যায়। একটি দৃঢ় অর্থে হেলুসিনেশন হচ্ছে সচেতন এবং জাগ্রত অবস্থার অনুভূতি। তাছাড়া তার মধ্য বহিরাগত উদ্দীপনার অনুপস্থিতি এবং বাস্তব ধারণা সংক্রান্ত গুণাবলীর উপস্থিতি রয়েছে। যেগুলি উজ্জ্বল, এবং বাহ্যিক স্থানে লক্ষ্য করা যায়। পরের সংজ্ঞাটি স্বপ্নচারণ সম্পর্কিত ঘটনা থেকে আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে, যা জাগ্রত অবস্থার জড়িত নয়।

Array
We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
এই বিভাগের আরও খবর
 
Jugantor Logo
ফজর ৫:০৫
জোহর ১১:৪৬
আসর ৪:০৮
মাগরিব ৫:১১
ইশা ৬:২৬
সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১