
একদশ সংসদ নির্বাচনে ৪ হাজারের মতো ব্যক্তি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইলেও ৩০০টি আসনে আড়াইশ জনকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করছে আওয়ামী লীগ; ৫০টির মতো আসন ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে জোট শরিক বিভিন্ন দলকে। এরপরও একই আসনে যেমন আওয়াম লীগের একাধিক প্রার্থী রয়ে গেছে, তেমনি জোট শরিক দলকে আসন ছেড়ে দিতেও নারাজ স্থানীয় অনেক নেতা। ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগের দিন শেখ হাসিনার একটি চিঠি তার ধানমণ্ডির দলীয় কার্যালয় থেকে সাংবাদিকদের দেওয়া হয় । আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সবার উদ্দেশে ওই চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে আসন্ন নির্বাচনে মহাজোটকে বিজয়ী করতে সবাইকে সর্বাত্মকভাবে নামার আহ্বান জানান। দলের কাছে মনোনয়নপ্রত্যাশী সবার গুরুত্ব স্বীকার করে নিয়ে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তাদের প্রায় সকলেরই ত্যাগ ও অবদান রয়েছে। রাজনীতিক ত্যাগ, দক্ষতা, যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তার বিচারে প্রায় প্রত্যেকটি আসনেই ছিল একাধিক যোগ্য প্রার্থী। “একাধিক আবেদনকারীর মধ্যে থেকে একজনকে প্রার্থী হিসেবে নির্ধারণ করার কাজটি ছিল অত্যন্ত কঠিন ও দুরূহ।” প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক একটি নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে দলীয় প্রার্থী বাছাই করার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “আপনাকে মনোনয়ন দিতে না পারায় আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। “আওয়ামী লীগ একটি শক্তিশালী ও কল্যাণমুখী রাজনৈতিক দলে পরিণত করার কাছে আপনার ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। সাংগঠনিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও দেশের কল্যাণে নিরবচ্ছিন্ন ভূমিকার জন্য আপনাকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।” রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই কারণে আমরা সমমনা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাথে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। “আপনার কাছে আমার বিশেষ অনুরোধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে মহাজোটের প্রার্থীর পক্ষে আপনার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে মহাজোটকে বিজয়ী করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করবেন।” “আপনার শ্রম আন্তরিকতা সব কিছুই আমার বিবেচনায় আছে,” ত্যাগ স্বীকারকারীদের মূল্যায়নের আশ্বাস দেন তিনি। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে এই নির্বাচনেও জয়ী হয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন সম্ভব বলে মনে করেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। “আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, আওয়ামী লীগ যদি ঐক্যবন্ধ থাকে, তাহলে নৌকা মার্কাকে পরাজিত করার সাংগঠনিক শক্তি আর কারও নেই।”
Array