• ঢাকা, বাংলাদেশ

বিশ্বমানের নিরাপদ পর্যটন নগরী কক্সবাজার গরতে মফিজুর রহমান ইশতেহার ঘোষনা 

 admin 
23rd Dec 2018 7:54 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

লাঙ্গল মার্কার সংবাদ সম্মেল

বক্তব্যের প্রারম্ভে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে যে সকল বীর সেনানী এ দেশ স্বাধীন করেছেন, সে সকল বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। যুদ্ধ চলাকালীন সময় যে সকল মা বোনের সম্ভ্রম হানী হয়েছে তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি এবং প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা অংশগ্রহণ করেছিলেন তাদের পরম শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এবং ইতিপূর্বে কক্সবাজার জেলায় সামাজিক এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে যারা বিশেষ অবদান রেখেছিলেন, সে সকল গুণীজন যারা আজকে আমাদের মাঝে নেই তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

আপনারা জানেন অসম্প্রদায়িক চেতনায় সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রেখে কক্সবাজারের সকল ধর্মের বর্ণের মানুষ একাকার হয়ে সামাজিক জীবন যাপন করেন। আমি প্রত্যাশা করছি অদূর ভবিষ্যতে আমাদের মধ্যে যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্দন রয়েছে তা অনন্তকাল অটুট থাকবে। আপনারা জানেন, আমি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনিত প্রার্থী হয়ে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে প্রতিদন্ধীতা করতে যাচ্ছি। আগামী ৩০ তারিখ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে কক্সবাজার সদর-রামু আসনের জনগনের প্রত্যাশার প্রতিফলন হবে। আমার বিশ্বাস কক্সবাজার সদর-রামু আসনে সম্মানিত ভোটারগণ উপযুক্ত প্রার্থীকে নির্বাচিত করবেন। একটি কথা না বললে নয় স্বাধীনতার ৪৭ বছরের মধ্যে বেশ কয়েকটি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা জাতীয় সংসদে আমাদের প্রতিনিধি পাঠিয়েছিলাম। তাঁদের যথার্থ প্রতিনিধিত্বে কক্সবাজার আজ এ পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। আমি মনে করি মেধা প্রজ্ঞা মনন দিয়ে সামর্থ অনুযায়ী তাঁরা কক্সবাজারকে সাজানোর চেষ্টা করেছেন। আমি সে সকল প্রতিনিধিকে সাধুবাদ জানাই। তারপরও একটি আধুনিক অপার সম্ভাবনাময় পর্যটন নগরী গঠনের ক্ষেত্রে ঘাঁটতি রয়েছে ব্যাপক। যদি জনগণের মহামূল্যবান রায় নিয়ে আমি মহান সংসদে এম.পি হয়ে যেতে পারি তাহলে আমি তাঁদের মত কক্সবাজার বাসীর হয়ে মহান সংসদে কথা বলতে চাই।

কি হবে সেই কথা ?
আপনারা জানেন জাতীয় নির্বাচনে প্রত্যেক দল স্ব-স্ব দৃষ্টি ভঙ্গি থেকে একটি ইশতেহার ঘোষনা করেছেন। জাতীয় ইস্যু নিয়েই অনেক বক্তব্য উনারা ইশতেহারে উপস্থাপন করলেও একথা সত্য যে, স্থানীয়ভাবে কোন কার্যক্রমের কথা ইশতেহারে সাধারণত উল্লেখ থাকে না। তাই আমি নির্বাচিত হলে “মহান সংসদে অথবা স্ব-স্ব মন্ত্রণালয়ে কক্সবাজারবাসী হয়ে নিন্মে উল্লেখিত কার্যক্রম সম্পর্কে দাবী উত্থাপন/বিল ও বাস্তবায়নের কথা বলতে চাই”।

(১) যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহন ও পরিচালনা করার জন্য সমাজের সকল পেশা শ্রেণীর প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি কার্যকরী কক্সবাজার সদর-রামু আসন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা। তাঁদের পরামর্শে মূলতঃ সকল কার্যক্রম জবাবদিহি মূলকভাবে পরিচালিত হওয়া।

(২) আপনারা জানেন কক্সবাজার একটি জাতীয় সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্প। এই শিল্পকে তরান্বিত করার জন্য যে সকল পরিকল্পনা/পদক্ষেপ হাতে নেওয়া দরকার ছিল তা অনেক দেরিতে নেয়ার কারণে পরিকল্পনার অভাব, সমন্বয়হীনতার অভাবে আমাদের এই শহর পর্যটন নগরী থেকে ছিটকে পড়ার উপক্রম হয়েছে। পর্যটকদের বিচরনের স্থানে অপরিকল্পিতভাবে জমি বরাদ্দ দিয়ে সরকারি / বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। যদি সুযোগ পাই তাহলে হলিডে মোড় থেকে দরিয়ানগর পর্যন্ত রাস্তার উভয়পার্শ্বে স্থিত সরকারি স্থাপনা স্থানান্তরিত করে পর্যটকদের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে বিল আকারে সংসদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করা হবে। নাজিরারটেক থেকে শাহপরীরদ্বীপ পর্যন্ত সমুদ্রসীমা থেকে ১ কিঃ মিঃ এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য ভুমি অধিগ্রহন/ দালান নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধ করে একটি বিশ্বমানের পর্যটন নগরী করার জন্য সকল প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় সাধন করে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি করে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য সরকার বরাবরে দাবী উত্থাপন করা হবে।
(৩) একাডেমিক ভবন ও ছাত্র/ছাত্রী নিবাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে নক্শা মোতাবেক পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল কলেজ স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
(৪) কক্সবাজার বিমান বন্দর কে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হিসাবে ঘোষনা করে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। পরিতাপের বিষয় হল যে স্থানে বর্তমান বিমান বন্দরটি রয়েছে সে স্থানে একটি পরিপুর্ণ বিমান বন্দর করার জন্য ভৌগোলিক পরিবেশ ও সামাজিক অনেক সমস্যা রয়েছে। তারপরও তাড়াহুড়া করে বর্তমান বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ঘোষনা করে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। আমি মনে করি এইটা নেহায়েত অপচয়। যদি নির্বাচিত হতে পারি, বর্তমান বিমান বন্দরকে স্থিতিশীল রেখে শহর থেকে দুরে উপযুক্ত স্থানে একটি আন্তর্জাতিক মানের বিমান বন্দর করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা ।
(৫) যানজন একটি মহা সমস্যা। কক্সবাজার শহর একটি স্বাস্থ্যকর শহর হিসাবে আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতি থাকলেও তার সামান্যটুকু রূপ আমরা দেখতে পাই না। বর্তমান কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালকে শুধুমাত্র কক্সবাজার-টেকনাফ বাস ষ্টেশন ঘোষনা করে চৌফলদন্ডি/খুরুশকুলের যে কোন স্থানে একটি ঢাকা-কক্সবাজার এর গাড়ীর জন্য অত্যাধুনিক বাস টার্মিনাল নির্মাণের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
(৬) কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ৪ লেইন কার্যক্রম দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাপ্ত করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
(৭) চলমান রেল লাইনের কার্যক্রম দ্রুত গতিতে করানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
(৮) বিশ্বের সকল পর্যটন নগরীতে অতিরিক্ত পর্যটক যাতায়াতের কারণে স্থানীয় জনসাধারনের জীবন যাত্রার ব্যয়ভার অনেকাংশে বেড়ে যায়। যার কারণে পর্যটন সন্নিবেশে অবস্থিত গ্রামের মানুষের জীবন জীবিকায় একটি চাপ সৃষ্টি হয়। তার উত্তোরনের জন্য পর্যটন সংশ্লিষ্ট মহল্লার জনসাধারণকে পর্যটন ভাতার আওতায় আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
(৯) বিশ্বমানের পর্যটন নগরীর আদলে এই শহরকে গড়ে তুলতে হলে পর্যটন সন্নিবেশিত মহল্লার সকল জমির মালিককে সহজ কিস্তিতে ঋণ দিয়ে একই আদলে নৈপুন নক্্শায় বাড়ি নির্মাণের সহায়তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

(১০) ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল একটি নাজুক পরিস্থিতি রয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সেবা দিতে গিয়ে তারা প্রতিনিয়ত হিমশীম খাচ্ছে এবং যার কারণে স্থানীয় জনসাধারণ মানসম্পন্ন চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাছাড়া দক্ষ ব্যবস্থাপনার অভাব ও কিছু দূর্নীতি পরায়ন কর্মকর্তার কারণে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল সম্পর্কে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া রয়েছে। বাৎসরিক বরাদ্দ ছাড়া অতিরিক্ত থোক বরাদ্দের কারণে অন্য জেলার চাইতে আমাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মান নি¤œমানের বলে আপনারা অনেকেই অনেক জায়গায়, অনেক সেমিনারে অভিযোগ করেছেন। এমনকি মানববন্ধনের মত প্রতিবাদ পরিলক্ষিত হয়েছে। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সকল অনিয়ম বন্ধ/অতিরিক্ত থোক বরাদ্দ এনে স্থানীয় জনসাধারণের স্বাস্থ্য সম্মত চিকিৎসা দিতে সক্রিয় ভুমিকা রাখা ও জবাবদীহি মূলক দক্ষ ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা।
(১১) বাঁকখালী ও রেজু দুইটি ঐতিহ্যবাহী নদী। এই নদীগুলোর অববাহিকায় দু’পাশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে একসময় ভরপুর ছিল। প্রাকৃতিক দুর্যোগ / অবৈধ দখলদারদের কারণে নদীগুলো স্বাভাবিক নাব্যতা হারিয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে উজানের হাজার হাজার হেক্টর জমি চাষাবাদ অনুপযোগী হয়ে পরেছে। যার কারণে শুষ্ক মৌসুমে চাষাবাদ ও শীতকালীন শাকসবজি চাষাবাদে ব্যাঘাত হচ্ছে। যে সকল সামাজিক কর্মী বাঁকখালী রক্ষার্থে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন করেছেন, আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। বাঁকখালী ও রেজু নদীর স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে ও নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা এবং উজানে চাষীদের জন্য দ্বিতীয় রাবার ড্যাম্প স্থাপনের কার্যকরী ব্যবস্থা করা।
(১২) আপনারা জানেন, সরকার কক্সবাজার মৌজার জমি বেচা বিক্রির বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন থেকে ছাড়পত্র নেওয়ার পরিপত্র জারী করেছেন। যার কারণে মানুষ নিজ জমি বিক্রয় করতে বিভিন্ন রকম হয়রানির সম্মুখীন হচ্ছে। আমি যদি নির্বাচিত হতে পারি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ জমি বা জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অতীব জরুরী এলাকা ব্যতিরেকে বাকী অংশে এ জাতিয় পরিপত্র প্রত্যাহারের জন্য দাবী উত্থাপন করব।
(১৩) কক্সবাজার-রামু সদর আসনে সকল স্কুল, কলেজ, মক্তব, মাদ্রাসা, হাট-বাজার ইত্যাদিতে সরকারি নীতিমালা অনুসরণ করে দক্ষ পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা। যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি যোগ্যতা অর্জন করার পরও এমপিওভুক্ত হয় নাই, সে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা ।
(১৪) কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর স্বার্থ সংরক্ষণ, কৃষ্ঠি, সংস্কৃতি, পণ্য ও তাদের সামাজিক আচার আচরণ এবং ধর্মীয় উৎসব সব যাতে স্বাধীনভাবে পালন করতে পারে সে বিষয়ে সচেষ্ট থাকা।
(১৫) কক্সবাজারের মসজিদ, মন্দির, ক্যাং, কবরস্থান, শ্মশান, মঠ নির্মাণ, পুনঃ নির্মাণ, সংস্কারে বৈষম্যতা পরিহার করা।
(১৬) কক্সবাজার সদর-রামু আসনে সকল ঈদগাঁহ মাঠ সংস্কার ও সংরক্ষণে প্রয়োজণীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
(১৭) হিন্দুদের বড় ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপূজার দূর্গা বিসর্জন স্থান নির্ধারণ করা ও সংরক্ষণ করা ।
(১৮) রাখাইনদের বর্ষা মৌসুম উদ্্যাপনের জন্য স্থান নির্ধারণ করা। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের যাতায়ত সীমিতকরণ ও নিরাপত্তা বিধানে কার্যকর ব্যবস্থা করা।
(১৯) আপনারা জানেন, রোহিঙ্গা আমাদের জন্য একটি আন্তর্জাতিক সংকট, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে আমরা নানাভাবে ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছি। রোহিঙ্গাদের সেবা দিতে আসা বিভিন্ন এনজিও শুধুমাত্র রোহিঙ্গাদের সেবা দিতে সক্রিয় রয়েছে। ১৪৯ টি এনজিও প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র রোহিঙ্গাদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। ঐ সকল এনজিওদের সমন্বয় করে কক্সবাজার সদর -রামু আসনের জনগনের আত্মসামাজিক উন্নয়নে ভুমিকা রাখতে আহবান করা।
(২০) রামু উপজেলাকে পৌরসভায় রূপান্তরিত করতে সক্রিয় ভুমিকা রাখা।
(২১) আপনারা জানেন প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধ্বসে প্রাণহানী ও ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির সাধিত হয়। পাহাড়ে বসবাসরত সকল পেশা শ্রেণীর মানুষকে পুনর্বাসনের জন্য সরকার বরাবরে আবেদন করা।
(২২) কক্সবাজারের সাংবাদিক ভাই ও বোনের জন্য আবাসিক প্রকল্প হাউজিং সোসাইটি গঠন করা।
(২৩) কক্সবাজার পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদের সাথে সমন্বয় সাধন করে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রন রাখা।
(২৪) মাদক একটি অভিশাপ। ইয়াবা একটি আগ্রাসন। সমাজকে ইয়াবা ও মাদক মুক্ত করতে যুব ও ছাত্র সমাজকে নিয়ে প্রতি মহল্লায় মাস ব্যাপী সচেতনতামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করা। মাদক স্বমূলে উৎপাঠন করা।
(২৫) ঝিমিয়ে পড়া শিল্পকলা একাডেমি, কক্সবাজার ইনষ্টিটিউট কাম পাবলিক লাইব্রেরী, সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসহ সকল সাংস্কৃতিক সংগঠনকে উজ্জীবিত করে পুর্নদমে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করা।
(২৬) বীরশ্রেষ্ট রুহুল আমিন স্টেডিয়ামের সংস্কার ও আধুনিকায় করা এবং উপজেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ সংরক্ষণ, সংস্কার করা এবং প্রতিটি মহল্লায় নুন্যতম একটি খেলার মাঠ তৈরী করা।
(২৭) ছোট্ট সোনামনিদের বিনোদনের জন্য শিশু পার্ক ও মিনি চিড়িয়াখানা নির্মাণ করা।
(২৮) বিধবা নির্যাতিত, অসহায় নারীদের গ্রাম ভিত্তিক সেলাই প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
(২৯) কর্মক্ষম বয়োবৃদ্ধ নারী/পুরুষদের জন্য ভাতার নিশ্চয়তা বিধান।
(৩০) কক্সবাজারে অবস্থিত এনজিও অফিস ও বড় বড় অফিস ও হোটেল মোটেলের কোটা ভিত্তিক বেকার যুবকদের চাকুরীর ব্যবস্থা করা এবং সকল সরকারি সার্কূলার অনুযায়ী মেধা অনুসারে বেকার যুবকদের চাকুরীর নিশ্চয়তা বিধান করা।
(৩১) গরীব অসহায় ও পথকলি শিশুদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা ও গরীব অসহায় পরিবারের বিবাহ ও অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানে আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করা।
(৩২) প্রাকৃতিক দূর্যোগ, অন্যান্য যে কোন দূর্যোগে প্রশাসনের সাথে সমন্বয় সাধন করে তড়িৎ কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
(৩৩) দেশি-বিদেশি পর্যটন শিল্প উদ্যোক্তাদের কক্সবাজার পর্যটন শিল্প বিকাশে উৎসাহিত ও সহযোগিতা করা।
সম্মানিত সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা,
উল্লেখিত কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের পরামর্শে যে বিষয়টি জনগুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হইবে তা তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহন করা ।
আসুন আমরা সকলে মিলে একটি বিশ্বমানের নিরাপদ পর্যটন নগরী কক্সবাজার গড়তে যার যার অবস্থান থেকে ভুমিকা রাখি। লাঙ্গল মার্কায় একটি করে ভোট দেই।
আল্লাহ আপনাদের মঙ্গল করুন। আমিন।

(মফিজুর রহমান)
সংসদ সদস্য প্রার্থী
কক্সবাজার-৩ (কক্সবাজার সদর-রামু)
মার্কা ঃ লাঙ্গল
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৮

Array
We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
এই বিভাগের আরও খবর
 
Jugantor Logo
ফজর ৫:০৫
জোহর ১১:৪৬
আসর ৪:০৮
মাগরিব ৫:১১
ইশা ৬:২৬
সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১