
ঢাকার সদরঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাডুবির ঘটনায় ৪ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ৯ মার্চ শনিরার সকাল ৮টার দিকে আহসান মঞ্জিলের সামনে নদী থেকে একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয় ৷
শনিবার সকাল সোয়া ১১ টা থেকে পৌণে ১২ টার মধ্যে ওয়াজঘাট এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে পিতা-পুত্রের মরদেহ ভেসে উঠে। পরে সাড়ে ১২ টার দিকে মাহির (৬) মরদেহ ভেসে উঠে। এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় মিমের (৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনাস্থলে থাকা ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোস্তফা মহসিন জানান, সকাল থেকে উদ্ধার অভিযান চলছে। আজ চারটিসহ পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আজ সকালে মিম (৮), দেলোয়ার (৩৮) ও তার সাত মাস বয়সের ছেলে জুনায়েদ ও মাহির (৬) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার উদ্ধার করা হয় দেলোয়ারের স্ত্রী জামসিদার (২০) মরদেহ।
নৌ পুলিশের সদরঘাট থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক জানান, উদ্ধার করা লাশটি এই নৌদুর্ঘটনায় আহত পোশাক শ্রমিক শাহজালাল মিয়ার মেয়ে মাহিরের (৮)। স্বজনেরা মরদেহটি শনাক্ত করেছেন।
এর ৮ মার্চ শুক্রবার দুপুরের দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকার নদী থেকে উদ্ধার করা হয় শাহজালালের স্ত্রী সাহিদা বেগমের (৩০) মরদেহ।
বাকি চারজনের খোঁজে ৯ মার্চ শনিবার তৃতীয় দিনের মতো নদীতে তল্লাশি চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস, বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ পুলিশ। নিখোঁজ বাকিরা হলেন- শাহজালাল মিয়া শিশুসন্তান মিম (৮), ভাগ্নি জামশেদা বেগম (২১), জামশেদার স্বামী দেলোয়ার হোসেন (৩০) এবং তাদের তিন মাসের মেয়ে স্নেহা।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা এরশাদ সিকদার বলেন, ডুবুরিদের পাশাপাশি বিআইডব্লিউটিএ এবং নৌ পুলিশের সদস্যরা বুড়িগঙ্গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন। কিন্তু নদীতে প্রচুর নৌযান চলাচল করায় কাজে বেগ পেতে হচ্ছে।
এদিকে এ ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে শুক্রবার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিআইডব্লিউটিএ। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে
Array