
কাতারের দোহায় জসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে ২০২২ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে শুরু থেকেই এ দুই দলের খেলার মধ্যে সেটাই দেখা যাচ্ছিলো। কিন্তু বিরতির পর ম্যাচের শেষ দিকে দুই দলের মধ্যে ব্যবধান গড়ে দিলেন ভারতের সেই সুনিল সেত্রী। শুধু একবার নয়, দুইবার বল জালে জড়ালেন এ তারকা। শেষ পর্যন্ত তার কাছেই হেরেছে বাংলাদেশ দল। এরআগেও লাল-সবুজদের একাধিকবার জয় বঞ্চিত করেছেন তিনি।
ম্যাচের শুরুতে অনেক আশা জাগিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি জামাল ভূঁইয়াদের। ৭৮ মিনিট পর্যন্ত গোলশূন্য ছিল খেলা। শেষ ১৬ মিনিটে দুই গোল হজম করে ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। দুইটি গোলের পেছনেই ডিফেন্ডারদের ব্যর্থতার পাশাপাশি ভারতীয় অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীর দারুণ নৈপুণ্যের ছাপ রয়েছে।
সুনীল ছেত্রী বাংলাদেশের হন্তারক হিসেবে আগে থেকেই পরিচিত। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। ২০১৩ সালে কাঠমান্ডু সাফে ছেত্রীর ইনজুরি মিনিটের গোলে বাংলাদেশ জেতা ম্যাচ ড্র করে মাঠ ছাড়ে। পরের বছর গোয়ায় প্রীতি ম্যাচেও তার গোলে জয় বঞ্চিত বাংলাদেশ। সাত বছর পর এবার নিজেই জেতালেন দলকে।
সুনীল ছেত্রী দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সেরা ফুটবলার সেটা আবার প্রমাণ করেছেন। সারা ম্যাচে তেমন উজ্জ্বল ছিলেন না তিনি। কিন্তু যে দুইটি সুযোগ পেয়েছেন এর পূর্ণ সদ্ব্যবহার করেছেন ৩৫ বছর বয়সী এই ফুটবলার। ৭৯ মিনিটে বাম প্রান্ত থেকে আসা ক্রস সুন্দরভাবে হেডে বল জালে পাঠান। বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা তাকে মার্ক করতে পারেননি। নব্বই মিনিট শেষে ইনজুরি সময়েও আনমার্কড ছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক। ঠাণ্ডা মাথায় ডিফেন্ডারদের মাঝ দিয়ে আড়াআড়ি শটে গোল করেন। দ্বিতীয় গোলে গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর কোনো ভুল না থাকলেও প্রথমটির ক্ষেত্রে কিছুটা দায় পড়ে তার উপরও।
রক্ষণাত্মক কৌশলে খেলা বাংলাদেশ ভারতের রক্ষণব্যুহ সেভাবে ভাঙতে পারেনি। বল পজেশন ও মাঝমাঠের দখল বরাবরই বেশি ছিল ভারতের। বাংলাদেশ প্রথমার্ধ জমাট রক্ষণ করলেও দ্বিতীয়ার্ধে আর পারেনি।
Array