• ঢাকা, বাংলাদেশ

ভারতে প্রথম দফায় আজ ৯১ আসনে ভোট 

 admin 
11th Apr 2019 2:56 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক কর্মযজ্ঞ হিসেবে খ্যাত ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম পর্বে ৯১টি সংসদীয় আসনে আজ ভোটগ্রহণ করা হবে। এবারের নির্বাচনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতার জন্য লড়াইয়ে নেমেছেন। সাত ধাপের এ নির্বাচন ১৯ মে শেষ হবে। আর ২৩ মে ভোট গণনা হবে। ১৩৪ কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে এবার ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৯০ কোটি। ভোটারের এ সংখ্যা পুরো ইউরোপ ও ব্রাজিলের মোট জনসংখ্যার কাছাকাছি। ভোটারদের মধ্যে নারী ভোটারের সংখ্যা ৪৩ কোটি ২০ লাখ।

সর্বশেষ ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা ছিল ৮৩ কোটি। তবে সেবার মোট ভোটারের ৬৬ শতাংশ, অর্থাৎ ৫৫ কোটি ৩০ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছিলেন। ওই নির্বাচনে ৪৬৪টি রাজনৈতিক দলের ৮ হাজার ২৫১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

প্রথম দফায় অন্ধ্রপ্রদেশের ২৫টি, অরুণাচলের দুই, আসামের পাঁচ, বিহারের চার, ছত্তিশগড়ের এক, জম্মু ও কাশ্মিরের এক, মণিপুরের এক, মেঘালয়ের দুই, মিজোরামের এক, নাগাল্যান্ডের এক, ওড়িশার চার, সিকিমের এক, তেলেঙ্গানার ১৭, ত্রিপুরার এক, উত্তরপ্রদেশের ৮, উত্তরাখন্ডের পাঁচ, পশ্চিমবঙ্গের দুই, আন্দামান নিকোবরের এক, লাক্ষ্ণাদ্বীপের একটি আসনে ভোটগ্রহণ হবে।

স্বায়ত্তশাসিত সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ হিসেবে ভারতের নির্বাচন কমিশনই (ইসিআই) পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া তদারক করে; দিলিস্নতে এর প্রধান কার্যালয়ে তিন শতাধিক স্থায়ী কর্মকর্তা কাজ করেন।

ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভার ৫৪৫টি আসনের মধ্যে নির্বাচন হয় ৫৪৩টিতে। ঔপনিবেশিক যুগে ভারতীয়দের বিয়ে করা ইউরোপীয় নাগরিকদের উত্তরসূরিদের জন্য বাকি দুটি আসন সংরক্ষিত থাকে। রাষ্ট্রপতি এই দুই আসনে মনোনয়ন দেন।

২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রতিটি সংসদীয় আসনে গড়ে ১৫ জন করে প্রার্থী ছিলেন বলে ইসিআইয়ের তথ্যে জানা গেছে। এর মধ্যে একটি আসনে ছিল সর্বাধিক ৪২ জন প্রার্থী। গতবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ৮ হাজার ২৫১ প্রার্থীর মধ্যে নারী ছিলেন মাত্র ৬৬৮ জন। সর্বশেষ ওই নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিকটতম প্রার্থীকে পাঁচ লাখ ৭০ হাজার ১২৮ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছিলেন তিনি।

এবারের লোকসভা নির্বাচনের জন্য ইসিআই প্রায় ১০ লাখ ভোটকেন্দ্র স্থাপন করছে; গতবারের তুলনায় যা ১০ শতাংশ বেশি। কোনো কেন্দ্রই যেন ভোটারদের থেকে দুই কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে না থাকে, এই নির্দেশনা মেনেই এবার এতগুলো কেন্দ্র বসানোর পরিকল্পনা করা হয়।

বিপুল এ কর্মযজ্ঞে প্রচুর সরকারি কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন করতে হয়। নির্বাচনী দায়িত্বে গতবার প্রায় ৫০ লাখ কর্মকর্তা ও রক্ষী মোতায়েন করা হয়েছিল। হেঁটে, সড়কপথে, বিশেষ ট্রেন, হেলিকপ্টার, নৌকা, এমনকি কখনো কখনো হাতির পিঠে চেপে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে যেতে হয় কর্মকর্তাদের।

দুর্গম এলাকার কিছু ভোটকেন্দ্রে সুযোগ-সুবিধার পরিমাণ খুব কম থাকে। গত বছর প্রকাশিত এক তথ্যে ইসিআই জানিয়েছে, দেশটির ৮০ হাজারের বেশি ভোটকেন্দ্রে নেই মোবাইল ফোন যোগাযোগ সুবিধা, ২০ হাজারের কাছাকাছি কেন্দ্রের অবস্থান বন কিংবা আধা-বনাঞ্চলে। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কেবল একজন ভোটারের জন্য নির্বাচন কমিশন পশ্চিম গুজরাটের গির বনেও একটি কেন্দ্র বসিয়েছিল। ওই বনটি এশীয় সিংহের আবাসস্থল হিসেবে খ্যাত।

কর্মকর্তা ও নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সদস্যদের দফায় দফায় বিভিন্ন স্থানে মোতায়েনের সুবিধার্থে ভোট সাধারণত কয়েক ধাপে মাসখানেকের বেশি সময় ধরে নেয়া হয়। ৫৪৩টি সংসদীয় আসনের ভোট গণনা অবশ্য একদিনেই শেষ হয়। ২০১৪ সালের পুরো নির্বাচনী যজ্ঞে মোট তিন হাজার ৮৭০ কোটি রুপি খরচ হয়েছিল বলে অনুমান ইসিআইয়ের।

সামান্য ত্রম্নটি-বিচু্যতি বাদে নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পন্নে খ্যাতি ও বিশ্বাসযোগ্যতা থাকলেও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারতের নির্বাচন কমিশনকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে বিরোধী দলগুলোর ব্যাপক চাপ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৮ লাখ ইভিএম ব্যবহৃত হয়েছিল।

১৯৮২ সালের নির্বাচনে প্রথম ব্যবহার করা এই ইভিএম যন্ত্র দিয়ে ভোট জালিয়াতি করা সম্ভব বলে দাবি করে আসছে অনেক রাজনৈতিক দল। জালিয়াতি বন্ধে ভোটাররা যাচাই করতে পারে, এমন পেপার অডিট ট্রেইল (ভিভিপ্যাট) প্রযুক্তির বিস্তৃত ব্যবহারেও ইসিআইয়ের কাছে দাবি জানানো হয়েছে।

ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাট সংযুক্ত থাকলে ভোট দেয়ার পরপরই ভোটাররা হাতে একটি প্রিন্ট করা কাগজ পাবেন। ওই কাগজে ভোটারের সিরিয়াল নম্বর, পছন্দের প্রার্থীর নাম ও প্রতীক থাকবে। ভোটাররা স্বল্পসময় ওই নম্বর, প্রতীক ও নামটি দেখার সুযোগ পাবেন। ভোট যাচাইয়ের ক্ষেত্রেও ইসিআই এ প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে পারবে।

Array
We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
এই বিভাগের আরও খবর
 
Jugantor Logo
ফজর ৫:০৫
জোহর ১১:৪৬
আসর ৪:০৮
মাগরিব ৫:১১
ইশা ৬:২৬
সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১