
আগামী নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীকে পরিহারের আহ্বান জানিয়েছেন দেশের ১০১ জন আলেম। তাদের মধ্যে রয়েছেন ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহের প্রধান ইমাম শাইখুল হাদিস আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ। তারা জামায়াতে ইসলামীকে নবী, সাহাবায়ে কেরাম এবং দেশ ও জাতির শত্রু আখ্যায়িত করে এই আহ্বান জানান।
১০১ আলেমের স্বাক্ষর সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘১৯৭১ সালে মওদুদিবাদী জামায়াতে ইসলামী যে অপকর্ম করেছে, ইসলামের নাম ভাঙিয়ে এ দেশের সাধারণ নারী-পুরুষকে নিমর্মভাবে হত্যা করেছে। জ্বালিয়ে দিয়েছে হাজার হাজার ঘরবাড়ি। দেশের সর্বত্র জামায়াতি বর্বরতার প্রতিচিহ্ন লেপ্টে আছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী এ জামায়াতকে কোনোভাবেই নির্বাচনে জয়ী করা যাবে না।’
যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামায়াতকে নির্বাচনে জবাব দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ার পর থেকে এ দেশের মানুষে মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ইসলামের ভাবাদর্শ নতুনভাবে জাগরিত হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ইসলামকে ভিন্ন আঙিকে তুলে ধরে দেশের মানুষকেই হত্যা করেছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, জামায়াতিরা জ্বালাও-পোড়ায়ে বিশ্বাসী। এরা সুযোগ পেলেই রক্ত নিয়ে খেলতে জানে। এদের কারণেই কওমি মাদ্রাসার কোনো উন্নতি হয়নি। কওমি মাদ্রাসার সনদ ঝুলে ছিল। এরা মসজিদে মসজিদে ফাসেক লোকদের বসাতে চায়। দেশকে পাকিস্তানের মতো একটি অকার্যকর রাষ্ট্র বানাতে তৎপর রয়েছে এরা।
বিবৃতিতে সই করেছেন রামপুরা তাকওয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবদুর রহীম কাসেমী, মহাখালী সেন্ট্রাল মসজিদের খতিব মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাইফী, খুলনা খালিশপুর জামিয়া আশরাফিয়ার প্রিন্সিপাল মুফতি আবুল কাসেম, জামিআ ইকরা বাংলাদেশ ঢাকার প্রিন্সিপাল মাওলানা আরীফ উদ্দীন মারুফ, রংপুর ধনতোলা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা হোসাইন আহমদ, দিনাজপুর বীরগঞ্জ ফয়জে আম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আইয়ুব আনসারী, খুলনা মাদানীনগর মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা ইমদাদুল্লাহ কাসেমী, ময়মনসিংহ জামিয়া আশরাফিয়ার প্রিন্সিপাল মুফতি তাজুল ইসলাম কাসেমী, উত্তরা মাদরাসা বাহসিল ইলমির প্রিন্সিপাল মাওলানা ইবরাহীম শিলাস্থানী, কিশোরগঞ্জ জামিয়াতুল ইসলাহর প্রিন্সিপাল মাওলানা সাঈদ নিজামী, আশরাফিয়া নূরেরচালার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবদুল আলিম ফরিদী, বাগেরহাট শরৈই মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা শামসুদ্দীন ত্বহা, ইকরা বাংলাদেশ-এর প্রিন্সিপাল ও প্রধান সমন্বয়কারী মাওলানা সদরুদ্দীন মাকনুন প্রমুখ।
Array