• ঢাকা, বাংলাদেশ

ভোটে যাবে না বিএনপি 

 admin 
06th Feb 2021 2:20 pm  |  অনলাইন সংস্করণ
  • চতুর্থ ও পঞ্চম ধাপে পৌরসভা ভোটে না যাওয়ার ভাবনা
  • তৈরি করা হচ্ছে ভোটে অনিয়মের তথ্যচিত্র
  • ভোট ইস্যুতে আসবে সিরিজ কর্মসূচি
  • তরুণদের আন্দোলনের টেস্ট কেস ‘মহানগর সমাবেশ’
  • ইস্যুভিত্তিক রাজনীতিতে সরব থাকার সিদ্ধান্ত
  • ছয়টি মহানগরে সমাবেশের ঘোষণা

ক্ষমতাসীন সরকারে অধীনে আর ভোটে যাবে না বিএনপি। তৈরি করা হচ্ছে ভোটে অনিয়মের তথ্যচিত্র। ভোট ইস্যুতে আসবে সিরিজ কর্মসূচি। মহানগর সমাবেশ থেকে দেয়া হবে এমন ঘোষণা।

বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ ধাপে ৫৬টি পৌরসভায় ও পঞ্চম ধাপে ২৮ ফেব্রুয়ারি ৩১টি পৌরসভায় নির্বাচনে অংশগ্রহণও এখন অনিশ্চিত। দেশের চলমান ইস্যুর সঙ্গে পরিকল্পিতভাবে ভোট ইস্যুকে সামনে এনে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে দলটির হাইকমান্ড থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্থানীয় ভোটের আগে-পরে গরম গরম কর্মসূচির কথাও চিন্তা করা হচ্ছে। গতকাল ভোটডাকাতির প্রতিবাদ ও দেশব্যাপী নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থীদের নেতৃত্বে দেশের ছয়টি মহানগরে সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে, বরিশাল ১৮ ফেব্রুয়ারি, খুলনায় ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১ মার্চ রাজশাহীতে, ৩ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ ও ৪ মার্চ ঢাকা উত্তর সিটিতে ঘোষিত এসব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ওই সমাবেশের মাধ্যমে বিএনপি আগামী সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থী চূড়ান্ত ও মাঠমুখী আন্দোলনের চিন্তা করছে। তবে দলটির একাংশের সূত্র মতে, আগামী আরো দু’বছর বড় কোনো কর্মসূচিতে যাবে না বিএনপি। সাংগঠনিক শক্তি অর্জন ও টিকে থাকার লড়াইকে গুরুত্ব দেবে তারা। এখন সরকারের বিভিন্ন সেক্টরে যে অনিয়মগুলো উঠে আসছে সেগুলো আরো বিস্তারিত তথ্যের মাধ্যমে তুলে ধরাই মূল উদ্দেশ্য থাকবে। ইস্যুভিত্তিক রাজনীতিতে থাকবে সরব।

দলটির একাধিক সূত্র মতে, খালেদা জিয়া বন্দি হওয়ার পর থেকে ইস্যুকে কাজে লাগাতে পারেনি। দলের প্রধান নির্দেশদাতাকে নিয়ে বেশ কিছুদিন চলেছে অসন্তোষ। এখন সবাই এককাতারে এসেছেন। মেনে চলছেন হাইকমান্ডের নির্দেশনা।  তাই দলটির সর্বমহলের ভাষ্য, রাজনীতি-গণতন্ত্রের দুঃসময় চলছে। যুগান্তকারী নেতৃত্বের অভাব রয়েছে। দেশের সব শ্রেণির মানুষের মূল্যায়ন কমেছে। অধিকার হারিয়ে গেছে। শিক্ষা, অর্থনীতি থেকে গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর সক্রিয়তা হারিয়েছে। তা পুনরুদ্ধার করতে শত হামলা মামলা, দমন-পীড়নের চাপের মধ্যেও মানুষের ভাষা বুঝে দেশ পরিচালনায় নেতৃত্বের ইস্যুর গুরুত্ব বাড়াতে হবে। দলটির নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে, রাজনীতিতে নীরবে পরিবার-তান্ত্রিকভাবে তারেক রহমানের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করছেন খালেদা জিয়া। এতদিন তার নীরবতার সিগন্যালে তারেকই যে ভবিষ্যৎ নেতা, দলে এখন তা স্পষ্ট। এখন তারেক রহমান কিভাবে দেশের মানুষের ভাষা বুঝবেন, কীভাবে কর্মসূচি ঘোষণা করবেন তার টেস্ট হিসেবে মহানগর সমাবেশকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। তরুণ নেতাদের আন্দোলনের টেস্ট কেস হবে ভোটের অস্বচ্ছতা নিয়ে এ প্রতিবাদ।

এ বিষয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আওয়াল বলেন, ‘এখন আর দেশে কোনো নির্বাচন হচ্ছে না। ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব নয়। জনগণ ভোট দিতে চাইলেও এখন কেউ ভোট দিতে পারছে না। সরকারের নিয়ন্ত্রণে দিন শেষে একটা সংখ্যা দিয়ে ঘোষণা আসে। খুন, সংঘর্ষ ছাড়া একটি নির্বাচনও হচ্ছে না। আমরা আগামী সমাবেশগুলোতে  নির্বাচনের তথ্যচিত্র তুলে ধরবো। ভোট জালিয়াতির ব্যাখ্যা জনগণের সামনে উপস্থাপন করবো। চলমান সময়ে আমাদের নরম কর্মসূচি এলেও গরম কর্মসূচির কথাও চিন্তা করা হচ্ছে। ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে যে আর কেউ নির্বাচন দিতে পারবে না এটি উপস্থাপনের লক্ষ্যই টার্গেট থাকবে।’

চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডাক্তার শাহাদাত হোসেন আমার সংবাদকে বলেন, ‘ভোটডাকাতির মাধ্যমেই চট্টগ্রামের বিজয় ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। কিভাবে ভোটডাকাতি হয়েছে তার অ্যানালাইসিস করবো এবং বিস্তারিত তথ্য জনগণের সামনে তুলে ধরবো। এ ছাড়া সামনের সমাবেশগুলোতে আমরা জনগণের কাছে উপস্থাপন করবো— এই সরকারের অধীনে আর নির্বাচনে যাওয়া সম্ভব নয়। আমরা আর ক্ষমতাসীনদের অধীনে নির্বাচনে যাবো না, এটাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। চলমান সরকারের অনিয়মগুলোও আমরা তুলে ধরবো সমাবেশের মাধ্যমে।’

গতকাল শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির যুগ্ম মহাসচিব ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মজিবুর রহমান সারোয়ার বিএনপির মেয়র

প্রার্থীদের পক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘আমরা মনে করেছিলাম চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। কিন্তু আমরা কী দেখতে পেলাম, সেখানেও রাষ্ট্রযন্ত্র, প্রশাসন জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তাই আমরা জনগণকে সরকারের ভোটডাকাতির বিরুদ্ধে সম্পৃক্ত করতে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান সরোয়ার, দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনসহ প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

Array
We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
এই বিভাগের আরও খবর
 
Jugantor Logo
ফজর ৫:০৫
জোহর ১১:৪৬
আসর ৪:০৮
মাগরিব ৫:১১
ইশা ৬:২৬
সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১