• ঢাকা, বাংলাদেশ

ভোটে হস্তক্ষেপ নয়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আছে: কাদের 

 admin 
26th Jan 2020 4:03 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী সরকারের সব এজেন্সি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের এই নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান তিনি।রোববার দুপুরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে মটর চালক লীগের সম্মেলনে অংশ নেন কাদের।

ঢাকায় সুষ্ঠু ভোট হবে কিনা তা নিয়ে বিএনপির সংশয়ের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, “তারা বলছে, সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে সরকারি সংস্থাকে বাধ্য করে ব্যবহার করা হচ্ছে। সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী কয়েকদিন আগে বিদেশে যাওয়ার সময় সরকারের সকল সংস্থার প্রধানদের বলেছেন ‘এই নির্বাচনে আমি কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ, কোনো ধরনের বাড়াবাড়ি চাই না’। কোনো এজেন্সি কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ যেন না করে, সে ব্যপারে ক্লিয়ার মেসেজ দিয়েছেন।

“কাজেই এখানে সংশয়ের কোনো কারণ নেই। শেখ হাসিনা বলেছেন- ‘নির্বাচনে জনগণ যা চায় তাই হবে। এতো কাজ করার পরও জনগণ যদি ভোট না দেয় জোরাজুরি, জবরদস্তি করে জনসমর্থন আদায় করে ক্ষমতায় থাকার কোনো ইচ্ছা আমার নেই’।“ প্রধানমন্ত্রীর নির্দশনা অনুযায়ী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট চাইছেন বলে জানান তিনি।

“আমাদের পার্টিকেও একই মেসেজ দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের বলেছেন- ‘ঘরে ঘরে যাও, জনগণ যাকে ভোট দেবে সেই নির্বাচিত হবে’। কাজেই আমরা সরকারে পক্ষ থেকে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করব না, এটা পরিষ্কার। আগেও বলেছি, এখনও স্পষ্টভাবে বলেছি।”

বিএনপির সমালোচনা করে কাদের বলেন, “নির্বাচন নিয়ে আপনাদের যত নালিশ, যত অভিযোগ। নির্বাচন আর আন্দোলনে পারেন না, এখন শুধু নালিশ আর নালিশ। আপনাদের এই নালিশের কোনো বাস্তবতা নেই।

“আসলে নির্বাচনে তাদের অবস্থা কি হবে সেটা তারা বুঝে গেছে। এই নির্বাচনে বিজয়ের ব্যাপারে তারা যথেষ্ট সন্দিহান। বিজয়ী হতে পারবে না বলেই তারা আজকে বিভিন্ন ধরনের নালিশ করার পথ বেছে নিয়েছে। তারা যতই অপপ্রচারই করুক দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকেই চায়, আওয়ামী লীগকেই চায়।”

বাকশাল নিয়ে বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদের বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, “এই দেশের রাজনীতিতে স্বাধীনতা পরবর্তি সময়ে সঙ্কটময় মূহূর্তে জাতির পিতা সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে একটা দল করেছিলেন। যার নাম হচ্ছে ‘বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ’ সংক্ষেপে যাকে বাকশাল বলা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে কৃষক-শ্রমিক যুক্ত হয়েছে, এটাই অনেকের গাত্রদাহের কারণ।

“মওদুদ সাহেব আপনি কি ভুলে গেছেন, এই দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আপনার দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সাহেবের নামটাও ছিল। ভুলে গেছেন, এটা কোনো একদলীয় ব্যবস্থা নয়। এটা ছিল জাতীয় দল কৃষক-শ্রমিক, মেহনতি মানুষের, শোষিত মানুষের পক্ষের একটা সুশৃঙ্খল জাতীয় দল। এটা ছিল একটা সাময়িক ব্যবস্থা। অপরাধ একটাই কৃষক আর শ্রমিকের নাম ব্যবহার করে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগকে পুনর্বিন্যাস করেছেন, এটাই তাদের গাত্রদাহ। এটা আগেও ছিল, এখনও আছে।”

সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের প্রাণহানির খবরে প্রতিদিন ঘর থেকে দুঃখ নিয়ে বের হওয়ার কথা জানান কাদের। সড়কমন্ত্রী হিসেবে দুর্ঘটনার দায় তিনিও এড়াতে পালেন না বলে জানান। চালকদের সতর্কতার সাথে গাড়ি চালানোর আহ্বান জানান তিনি।

Array
We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
এই বিভাগের আরও খবর
 
Jugantor Logo
ফজর ৫:০৫
জোহর ১১:৪৬
আসর ৪:০৮
মাগরিব ৫:১১
ইশা ৬:২৬
সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১