• ঢাকা, বাংলাদেশ

ভোট আর পেছানোর সুযোগ নেই: সিইসি 

 admin 
13th Nov 2018 3:24 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এক মাস পেছানোর যে দাবি বিএনপি করেছে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।বলেছেন, ভোট এক সপ্তাহ পেছানো হয়েছে, আর পেছানোর সুযোগ নেই।

মঙ্গলবার সকালে আগারওগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় সিইসি এই কথা বলেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ব্রিফিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সিইসি। অন্য নির্বাচন কমিশনাররাও এই সময় উপস্থিত ছিলেন। ৩০০  সংসদীয় আসনের মোট ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

সিইসি বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন নির্ধারিত হয়েছে। এরপর আর তারিখ পেছানোর সুযোগ নেই। প্রথম কারণ হলো জাতীয় পর্যায়ে এত বড় একটি নির্বাচনের পর ২৯ জানুয়ারিই কিন্তু সংসদ বসতে হবে। ফলে এটি বড় মাপের সময় নয়। কারণ নির্বাচনের পর ফলাফল আসবে, এরপর গেজেট করা। এই তিনশ’ আসনের গেজেট করার জন্য সময় লাগে।’

দ্বিতীয় কারণ হিসেবে সিইসি বলেন, ‘বিশ্ব ইজতেমা হবে জানুয়ারির ১১ তারিখে। এ ব্যাপারে আমাদেরকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এ সময় সারাদেশ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আনতে হয়।’

নির্বাচন পেছানোর দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বরও একটি নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট সময় নয়। আরও সময় নেয়া দরকার ছিল। কিন্তু আমরা সেটি করতে পারিনি। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বড়দিনসহ বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে ২৩ ডিসেম্বর নির্বাচনের বিষয়টি পরিকল্পনা করা হয়। পরে তা এক সপ্তাহ পেছানো হয়েছে। কিন্তু ভোটের তারিখ আর পেছানোর সুযোগ নেই।’

নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হওয়ায় কমিশন আনন্দিত বলে জানান সিইসি। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে অনিয়মের সুযোগ কম বলেও মনে করেন তিনি।

একাদশ সংসদ নির্বাচন অন্যান্য নির্বাচন থেকে  ভিন্ন জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এ বছর নির্বাচনের পরিবেশ হবে ভিন্ন। আমাদের দেশে কখনো হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসিত নির্বাচন, কখনো সেনাবাহিনী, কখনো কেয়ারটেকারের অধীনে। কিন্তু অন্যান্য নির্বাচন থেকে এই নির্বাচন সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ সংসদ বহাল থেকে, সরকার বহাল থেকে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ‘আপনারা দেশি-বিদেশি সব স্তরের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।  ২০১৪ সালে এমন একটি নির্বাচন হয়েছিল। কিন্তু সেই নির্বাচনে সব দল অংশ নেয়নি। আমরা সেজন্য আনন্দিত, যে এই নির্বাচনে সব দল অংশ নিতে যাচ্ছে। সে কারণে আপনাদের দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে।’

এখন থেকে নির্বাচনের সব দায়িত্ব রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন হতে হবে সম্পূর্ণ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। ভোট একটি উৎসব। ভোটের দিন ভোটাররা আনন্দমুখর পরিবেশে ভোট দিতে যাবে। সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথ পালন করবে। ভোটের বুথ ছাড়া বাকি সব স্থানে পর্যবেক্ষকসহ সবাই যেতে পারবেন এবং তা পর্যবেক্ষণ করতে পারেবন। যে নির্বাচন জনগণ গ্রহণ করবে, যে নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে- সেটিই হবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। এই অবস্থা আপনাদের  (রিটার্নিং কর্মকর্তা) সৃষ্টি করতে হবে।’

‘এখন থেকে নির্বাচনের সব দায়িত্ব আপনাদের। কীভাবে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ করবেন, ভোটকক্ষ তৈরি করবেন সব দায়িত্ব আপনাদের। সবাই আন্তরিকভাবে নির্বাচন পরিচালনা করেন, তাহলে সামগ্রিকভাবে আমাদের ওপর জনগণের সন্দেহ হবে না।’

প্রার্থী এবং রাজনীতিবিদরা সম্মানিত ব্যক্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অনেকেই এমপি ছিলেন, অনেকে যারা এমপি ছিলেন না তারা এলাকায় সম্মনিত ব্যক্তি। তাদের সাথে যদি সুসম্পর্ক রাখেন, তাহলে কেউই নির্বাচনে সমস্যা সৃষ্টি করবেন না। তাদের কখনো প্রতিপক্ষ হিসেবে নেবেন না। তাদের সহযোগিতা করলে তারাও আপনাদের সহযোগী, বন্ধু হিসেবে কাজ করবে। বিরোধিতা করবেন না। নিরপেক্ষতা হবে একমাত্র মাপকাঠি।’

Array
We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
এই বিভাগের আরও খবর
 
Jugantor Logo
ফজর ৫:০৫
জোহর ১১:৪৬
আসর ৪:০৮
মাগরিব ৫:১১
ইশা ৬:২৬
সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১