সাবেক সচিব ইকবাল মাহমুদ বলেন, “চাপ মানে মাথা নত করা। আপনারা কারও দয়ায় চাকরিতে আসেন নাই। জনগণের পয়সায় আমরা চাকরি করি। সুতরাং ভয়ের কিছুই নেই।”
নিজের অবস্থান ঠিক থাকলেও যে কোনো চাপ মোকাবেলা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
“গত আড়াই বছরে কোন কাজ এভাবে করতে বলে আজ পর্যন্ত কেউ আমাকে ফোন করেনি। সরকারের পক্ষ থেকেও কেউ কোনোদিন বলেননি। যত বড় হোক চাপের কাছে মাথা নত করবেন না।”
সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাহসী হওয়ার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি সতর্কও করে দেন দুদক চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, “ভুল হবে স্বাভাবিক। এর জন্য মামলা হবে না। কিন্তু ভুলটা উদ্দেশ্যমূলকভাবে করেননি, তা আপনাদেরই প্রমাণ করতে হবে। ভয়ের কোন কারণ নেই। কাগজপত্রে প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত কোনো মামলা হয় না।”
দুদক কখনও সমস্যা নিয়ে কাউকে টেলিফোন করে না উল্লেখ করে ইকবাল মাহমুদ এ ধরনের ফোনকে ‘পাত্তা’ না দেওয়ার অনুরোধও করেন।
চট্টগ্রামের উন্নয়ন হলেও কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় না হয়নি কেন, সেই প্রশ্ন কর্মকর্তাদের কাছে রাখেন তিনি। জনগণকে উন্নয়নের কাজে সম্পৃক্ত করতে পারলে আরও কাজ হত বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি।
জনগণকে সেবা দেওয়ার জন্য চিকিৎসকদের গ্রামে থাকার অনুরোধ করে ইকবাল মাহমুদ বলেন, “আপনাদের অনেক সমস্যা আছে, তারপরও থাকতে হবে। অনেকে থাকতে চান না, এতে সেবা থেকে জনগণ বঞ্চিত হন।”
কাস্টমস ও আয়কর বিভাগ নিয়ে অনেক অভিযোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “মানুষের মনে খারাপ পারসেপসন আছে। সে ধারণাটা কাজের মাধ্যমে পরিবর্তন করতে হবে।
“দুইশ লোক কাস্টমসে অযথা ঘুরে বেড়ায়। এরা কোনোভাবে কাস্টমসের কাজের সাথে যুক্ত না। এ ধরনের ফালতু লোকদের জায়গা দেবেন না। তদ্বিরবাজরা ক্ষতি করার জন্য তৈরি হয়ে আছে। তাদের পরিত্যাগ করতে হবে।”
দুদক এখন শিক্ষায় দুর্নীতি নির্মূলে সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছে বলে জানান ইকবাল মাহমুদ।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি গোলাম ফারুক, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন, সিএমপি কমিশনার মাহবুবর রহমান, পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা, কাস্টমস, আয়কর, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।