
চার হাজারের বেশি মনোনয়নপ্রত্যাশী হওয়ায় দলীয় সভাপতি যখন বিরক্ত, তখন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকা চার নেতা স্থাপন করলেন উল্টো নজির। দলের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে তারা মনোনয়ন দৌড়ে যোগ দেননি।
চার নেতা হলেন উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পারভীন জামান কল্পনা ও মেরিনা জাহান।
আওয়ামী লীগের ৮১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির বেশির ভাগ নেতাই দলের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। বর্তমান সংসদ সদস্যদের বাইরে মনোনয়ন সংগ্রহকারী বেশির ভাগই বয়সে তরুণ। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতা, ব্যবসায়ী, ক্রীড়াবিদ, অভিনয়শিল্পী, সামরিক-বেসামরিক সাবেক আমলা।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত কোন্দল একটি বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। কেউ মনোনয়ন চাইলে একই আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্যদের বিরাগভাজন হতে হচ্ছে, এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে অবাঞ্ছিত ঘোষণার ঘটনাও ঘটছে। এমন পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য কেন্দ্রীয় এই চার নেতা মনোনয়ন চাননি। তা ছাড়া নির্বাচনের জন্য এখনো তারা নিজেদের প্রস্তুত ভাবছেন না।
বিপ্লব বড়ুয়া ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমি প্রার্থী হচ্ছি না। এখানে প্রার্থী হওয়ার মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও যোগ্য ব্যক্তি রয়েছেন। প্রার্থিতার মানদ-ে তারা অনেক এগিয়ে। আমি মনে করি, যাদের জনভিত্তি প্রবল, যারা জনপ্রিয়, যারা এমপি হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন পরিশ্রম করছেন, তাদের মনোনয়ন পাওয়া উচিত। মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের জিতিয়ে আনার জন্য আমি কাজ করব।’
বিপ্লব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে রেখেছেন। এটা অনেক বড় সম্মান ও স্বীকৃতির ব্যাপার। নির্বাচন তারাই করতে পারে, যাদের প্রবল জনভিত্তি আছে। আমার আসনে (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) অনেকেই আছেন, যারা দীর্ঘদিন ধরে এমপি হওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের অনেক বিনিয়োগ রয়েছে। ওনারা আমার অনেক সিনিয়র।’
তরুণ এই নেতা বলেন, ‘সবাই নির্বাচন করলে নির্বাচন পরিচালনার কাজ করবে কারা? কেন্দ্রীয় কমিটির প্রায় সবাই নির্বাচন করবেন। এ সময় দলীয় কার্যালয়ে অনেক কাজ থাকবে। এই কাজগুলো করার জন্য তো লোকজন দরকার।’
Array