
মন আছে বলেই আমরা মানুষ। আমাদের দেহে যেমন খাবারের প্রয়োজন হয়, যত্ন লাগে তেমনি মনেরও খাবারের প্রয়োজন হয়, যত্ন লাগে। মাঝে মাঝে তার কমতি হলে আমাদের মন খারাপ হয়। মন খারাপের একটি বিশেষ পর্যায় বিষণ্নতা। বিষণ্নতা একটি মানসিক সমস্যা। বিভিন্ন কারণে আমাদের মন খারাপ হতে পারে। তবে সব মন খারাপই কী বিষণ্নতা? মন খারাপ ও বিষণ্নতা বিষয়ে জানিয়েছেন অধ্যাপক ডা. নাহিদ মাহজাবিন মোরশেদ।
তিনি বলেন, আমরা যেহেতু মানুষ, আমাদের একটি আবেগ আছে। আমাদের আবেগ সবসময় একই রকম থাকে না। সেটা কখনো ভালো থাকে। কখনো স্বাভাবিক থাকে। কখনো অতি ভালো থাকে। কখনো খুব মন খারাপ থাকে।
অনেক সময় আমরা বলি আমার মন ভালো না, আমি বিষণ্ন এটা আমাদের আবেগের সাধারণ একটি অংশ। এটা রোগের পর্যায়ে পড়ে না। যদি কোনো কিছু মনের মতো না ঘটে, মনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, তাহলে মন খারাপ হওয়াটা স্বাভাবিক। খারাপ না হওয়াটা তখন অস্বাভাবিক। মানুষ হলে এগুলো থাকতেই হবে।
তবে নিয়মিত যে আমাদের কাজ, কোনোটাই ঠিকমতো যেন হচ্ছে না, করার মতো যে উৎসাহ-উদ্দীপনা কোনোটাই হচ্ছে না এমনটাও ঘটে। অনেককে দেখা গেল, চাকরির ক্ষেত্রে নিয়মিত অনুপস্থিত থাকছে। ছোট বাচ্চা হলে সে স্কুলে যেতে চাচ্ছে না। নিয়মিত লেখাপড়া করতে পারছে না। কোনো কিছুতেই তার মনোনিবেশ হচ্ছে না। ভালো লাগছে না। সে নিজেকে অসুস্থ ভেবে তো শুয়ে থাকছেই, এমনকি পরিবারের লোকজনও অনেক সময় বিরক্ত হচ্ছে তার প্রতি। এই অবস্থা যদি মাস খানেকের বেশি একই রকমভাবে থাকে এবং কোনো উন্নতি না হয়ে অবনতির দিকে যেতে থাকে, তাহলে একে বিষণ্নতা রোগের পর্যায় বলা হয়।
চিকিৎসা
এ রকম পরিস্থিতি আপনার কিংবা আপনার স্বজনের দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকলে তাকে সাধারণ মন খারাপ না ভেবে তাকে একটি অসুখ হিসেবে চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে একজন সাইকিয়াট্রিস্টের সঙ্গে কথা বলুন। আর সম্ভব হলে একজন ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট দেখাতে পারেন। ঢাকা বিশবিদ্যালয়ে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত নসরুল্লা সাইকোথেরাপি ইউনিটে কিংবা বিএসএমইউয়ে একজন সাইকোলজিস্টের কাছে থেরাপি নিতে পারেন।