
জাতীয় পার্টির মহাসচিব পদে এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের উপরই ভরসা রাখতে চাচ্ছেন পার্টি চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ। এরশাদ তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে আলাপচারিতায় এমন ইংগিত দিয়েছেন। এরশাদ মনে করেন, তার চোখের ভাষা একমাত্র হাওলাদারই ভাল বোঝেন। পার্টি পরিচালনায় দক্ষতার ও পরিচয় দিয়েছেন হাওলাদার এমনটাই মন্তব্য এরশাদের।
নির্বাচনী মনোনয়ন বাণিজ্য নিয়ে তুমুল বির্তক তৈরী হলে নির্বাচনের আগ মুহূর্তে জাতীয় পার্টির মহাসচিব পদ থেকে অপসারিত হন এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। আর তাঁর স্থলে জাপার মহাসচিব নিয়োগ দেয়া হয় সাবেক প্রতিমন্ত্রী এরশাদের ভাগ্নে মশিউর রহমান রাঙ্গাকে।
নতুন মহাসচিব দায়িত্ব নেয়ার বেশ কয়েকদিন পরই এরশাদ সিঙ্গাপুর থেকে অপসারিত মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে পুনরায় চেয়ারম্যান এর বিশেষ সহকারীর দায়িত্ব দেন। তাতে উল্লেখ করা হয়েছিল, চেয়ারম্যানের অবর্তমানে রুহুল আমিন হাওলাদার সাংগঠনিকভাবে চেয়ারম্যানের ক্ষমতাপ্রাপ্ত হবেন।
সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল কিন্তু এরশাদের সহোদর জিএম কাদেরকে দলের ভবিষ্যৎ চেয়ারম্যান ঘোষণায় ছিটকে পড়েন হাওলাদার। বর্তমানে অনেকটা নীরবে-নিভৃতে সময় কাটাচ্ছেন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদে অংশ নিতে না পারায় এবার সংসদ সদস্যও নন রুহুল আমিন হাওলাদার। তবে পটুয়াখালী থেকে মহাজোট এর হয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তাঁর সহধর্মিনী বেগম রত্না আমিন হাওলাদার।
একাধিক সূত্র জানায়, কৌশলী এরশাদ পুনরায় মহাসচিব পদে হাওলাদারকে বসানোর পথ খুঁজছেন।
কারণ এরশাদের ফাঁক-ফোকরগুলো একমাত্র রুহুল আমিন হাওলাদারই ভালো বোঝেন। তাছাড়া এরশাদেরও বিশ্বস্ত এবং আস্থাভাজন তিনি। এর আগে একবার তাঁকে সরিয়ে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে মহাসচিব করা হলেও কয়েক মাস পরে বাবলুকে সরিয়ে পুনরায় হাওলাদারকেই মহাসচিব করেন এইচ এম এরশাদ।
জাপা সূত্র জানায়, পুরাতন পথেই নতুন করে হাঁটছেন এরশাদ। ইতিমধ্যে মশিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ নিযুক্ত করা হয়েছে। আর এবার হাওলাদারকে পার্টির মহাসচিব পদে পুনরায় বসাতে চান এরশাদ। এরশাদের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বাংলা ইনসাইডারকে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে।
Array