
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই-২০২০ : জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, বাজার উন্মুক্ত থাকলে কাঁচা চামড়ার প্রকৃত মূল্য পাওয়া যায়। এতে কোরবানীর ঈদে হতদরিদ্র ও এতিমরা ভালো দাম পাবে। তিনি বলেন, সরকারীভাবে এবার কাঁচা চামড়ার দর ঘোষণা করা হয়েছে। এই দর মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়িত হলেও মোটামুটি ভালো দাম পাবে বিক্রেতারা। তিনি বলেন, আগামী বছর থেকে কাঁচা চামড়া রফতানীর অনুমতি থাকলে বিদেশীরাও চামড়া কিনতে আসবে, এতে কাঁচা চামড়ার বাজারে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে।
আজ দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান-এর বনানী অফিসে ইত্তোফাকুল মুসলিমিন-এর নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় কালে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এ কথা বলেন।
এসময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, মাদ্রাসায় লেখাপাড়া করে ছাত্ররা এখন চাকরীসহ সকল ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারছে। তাই কওমী সাহ সকল মাদ্রাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগি করতে হবে। তিনি বলেন, মাদ্রাসার ছাত্ররা যেনো বিসিএস পরিক্ষায় অংশ নিতে পারে সেই মানের শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। আলেমদের কথা সাধারণ মানুষ অত্যান্ত গুরুত্বে সাথে অনুধাবন করেন। তাই আলেম সমাজকে জাতীয় পার্টির পাশে থাকতে অনুরোধ জানান জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
এসময় জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, জাতীয় পার্টি শুরু থেকেই ধর্মীয় অনুশাসনকে প্রাধান্য দিয়ে রাজনীতি করে আসছে। তিনি বলেন, ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা এবং সংবিধানে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম সংযুক্ত করে পল্লীবন্ধু ইসলামের সেবায় ব্যাপক কাজ করেছেন। মসজিদ ও মাদ্রাসার বিদ্যুত ও পানির বিল মওকুফ করেছিলেন। বলেন, পল্লীবন্ধু এরশাদ উপজেলা পদ্ধতি প্রবর্তন করেছিলেন বলেই, আজ বন্যায় একটি মানুষও না খেয়ে মারা যাচ্ছেনা। তিনি জাতীয় পার্টিকে আরো শক্তিশালী করতে আলেম-ওলামাদের প্রতি আহবান জানান।
ইত্তেফাকুল মুসলিমিন-এর নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক শেষে জাতীয় পার্টির নবনিযুক্ত মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু গণমাধ্যম কর্মীদের ব্রিফ করেন। এসময় জাতীয় পার্টি ও অঙ্গ এবং সহযোগি সংগঠনের নেতৃা-কর্মীরা মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায়। তৃণমূল নেতা-কর্মীরা তুমুল শ্লোগানে অভিনন্দন জানায় নবনিযুক্ত মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে। এসময় হাসোজ¦ল মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলু নেতা-কর্মীদের আগলে রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
নেতা-কর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূণ পর্যায়ে জাতীয় পার্টিকে আরো শক্তিশালী করে তোলা হবে। জাতীয় নির্বাচনে তিনশো আসনেই যেন জাতীয় পার্টি শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারে সেজন্য পরিকল্পিতাভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। নেতা-কর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছার জবাব কাজের মাধ্যমেই দেয়া হবে বলেও জানান জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু।
জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এসময় আরো বলেন, আমরা এখনো ক্ষুধা, দারিদ্র ও শোষনমুক্ত সমাজ বির্নিমাণ করতে পারিনি। বলেন, স্বাস্থ্য সেবায় করুন পরিনতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। দেশে আজ করোনা সার্টিফিকেট বিক্রি হচ্ছে। বিদেশে আমাদের দেশের করোনা সার্টিফিকেট বিশ^াস করছেনা। এটা আমাদের জন্য অত্যান্ত দুঃখজনক। তাই পল্লীবন্ধুর স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়তে আমরা জাতীয় পার্টিকে আরো শক্তিশালী শক্তিতে পরিণত করবো। তিনি বলেন, ত্রাণ বিতরণ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ আছে। কিন্তু ১৯৮৮ সালে এর চেয়ে অনেক বড় বন্যায় জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এক বুক পানিতে নেমে ত্রাণ বিতরণ করেছেন। এসময় কেউ ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ করতে পারেনি। জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, জাতীয় পার্টি হরতাল, ভাংচুর, বোমাবাজি ও সন্ত্রাসে বিশ্বাস করেনা। তাই সকল অনিয়ম ও বিশৃংখলার বিরুদ্ধে সংসদে ও রাজপথে প্রতিবাদ করবে জাতীয় পার্টি।
প্রেসিডিয়াম সদস্য- এ্যাড. মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, ক্বারী হাবিবুল্লাহ বেলালী, মাননীয় চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা- মনিরুল ইসলাম মিলন, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান এমপি, যুগ্মমহাসচিব- ফখরুল আহসান শাহজাদা, বেলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মঞ্জুরুল হোসেন মঞ্জু।
ইত্তোফাকুল মুসলিমিন-এর নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-
মহাসচিব-মুফতী আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া, সহ-সভাপতি- মাওলানা আতাউর রহমান আতিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক- মাওলানা আকরাম হুসাইন, যুগ্ম মহাসচিব- মুফী ওবায়ের আমীন, মুফতী যুবায়েল গণী, প্রচার সম্পাদক- মাওলানা আব্দুল গাফ্ফার, কেন্দ্রীয় সদস্য- মুফতি হাফিজ আহমেদ, মুফতী রুহুল আমিন, মুফতী আব্দুল্লাহ ইদ্রিস, মুফতী সলিমুল্লাহ খান, মুফতী ইসমাইল, মাওলানা কামাল উদ্দিন।
নব-নিযুক্ত মহাসচিবকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান-
জাতীয় যুব সংহতি সভাপতি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য আলমগীর সিকদার লোটন, সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল আহসান শাহজাদা, সহ-সভাপতি শাহজাহান কবির, শহিদ হোসেন সেন্টু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আহবায়ক- গাজী এম এ সালাম, ঢাকা মহানগর উত্তর সদস্য সচিব মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, হাবিবুর রহমান হাবিব, রফিকুল ইসলাম প্রধান, দেলোয়ার হোসেন রিপন, ফরহাদ হোসেন।
জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির বেলাল হোসেন।
সাংস্কৃতিক পার্টি- সাদারণ সম্পাদক মোঃ নাজমুল আলম, জহিরুল আলম মিন্টু
ওলামা পার্টির সভাপতি- ক্বারী হাবিবুল্লাহ বেলালী, মাওলানা খলিলুর রহমান
পল্লীবন্ধু পরিষদ- আহবায়ক ড. নুরুল আজহার, যুগ্ম সদস্য সচিব মোঃ নেওয়াজ আলী ভূঁইয়া।
মুক্তিযোদ্ধা পার্টি- সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক ভূঁইয়া, সহ-সভাপতি মফিজুল ইসলাম
কৃষক পার্টি- হুমায়ুন কবির শাওন, কৃষিবীদ জাকারিয়া ভূঁইয়া, সাহাব হোসেন
শ্রমিক পার্টি- শেখ মোঃ শান্ত, মিনহাজ আবেদীন বিশ্বাস, আব্দুল মান্নাফ মিলন
জাতীয় হকার্স পার্টি- আনোয়ার হোসেন খান, মোঃ জাকির হোসেন
জাতীয় তরুন পার্টি- জাকির হোসেন মৃধা
জাতীয় মহিলা পার্টি- সাধারণ সম্পাদিকা নাজমা আক্তার এমপি
মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক সভাপতি- জাতীয় মোটর শ্রমিক পার্টি ও ভাইস চেয়ারম্যান, জাতীয় পার্টি।
জাতীয় ছাত্রসমাজ সভাপতি ইব্রাহিম খান জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, সহ-সভাপতি মারুফ ইসলাম তালুকদার প্রিন্স, সহ-সভাপতি অর্ণব চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক- আতাউল্লাহ, লক্ষণ বিশ্বাস, শাহরিয়ার রাসেল, অয়ন মাহমুদ।
কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মাননীয় চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা- জহিরুল আলম রুবেল, মনিরুল ইসলাম মিলন, যুগ্ম মহাসচিব- গোলাম মোহাম্মদ রাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক- সৈয়দ ইফতেকার আহসান হাসান, আনোয়ার হোসেন তোতা, সাইফুল ইসলাম, হুমায়ন খান, দফতর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিন্টু, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক এম.এ. রাজ্জাক খান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক- আল যুবায়ের, যুগ্ম দফতর সম্পাদক- মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল, যুগ্ম শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক- মমতাজ উদ্দিন, যুগ্ম স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মোঃ আব্দুল্লাহ আল ফাত্তাহ।
Array