
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক মুক্তিযোদ্ধার সনদ ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসক শহীদুল্লাহ্ কায়সারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার সকালে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধা শাজাহানকে দেখতে যান। এরপর সেখান থেকে তিনি জেলা প্রশাসকের সাথে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, চিকিৎসক শহীদুল্লাহ কায়সারের এত সাহস হলো কি করে যে তিনি মুক্তিযোদ্ধার সনদ ছিঁড়েন? আমি মনে করি এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান যথাযথ নিয়মে সরকারী হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু চিকিৎসক তাকে চিকিৎসার বদলে চরম অপমান করেছেন। অবিলম্বে তিনি এ চিকিৎসকের বরখাস্ত, গ্রেফতার ও তার সনদ বাতিলের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট দাবি করেন।
টাঙ্গাইলের রসুলপুর মহেড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাজাহান ভূইয়া তার মাজা ও পায়ের জয়েন্টের হাড় ফেটে যাওয়ায় গত ১৭ নভেম্বর চিকিৎসা নিতে শেখ হাসিনা মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি হন।গত ২১ নভেম্বর হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জারী বিভাগের প্রধান ও সহযোগি অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ কায়সার সকালে ভিজিট করতে এসে রোগির ফাইল দেখেন। ফাইলে রাখা মুক্তিযোদ্ধা শাজাহানের মুক্তিযুদ্ধের সনদ দেখে ক্ষিপ্ত হন এবং বলেন, ‘‘এই সনদ কি রোগির চিকিৎসা করবে, না ডাক্তার করবে’’। এরপর তিনি সনদটি ছিঁড়ে ফেলে দেন। ডাক্তারের এ আচরণে আশপাশের লোকজন বিস্ময় প্রকাশ করেন।
তবে আজ সকালে হাসপাতালের সুপার ড. নারায়ন চন্দ্র বলেন, এ ব্যাপারে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. সদর উদ্দিনকে প্রধান করে এ কমিঠি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।এদিকে অভিযোগের বিষয়ে ডা. মো. শহীদুল্লাহ কায়সারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
Array