
সব জল্পনা আর কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ভোটে চিত্রনায়িকাকে পেছনে ফেলে বিজয়ী হয়েছেন জনপ্রিয় খলনায়ক অভিনেতা মিশা সাওদাগর। আর সাধারণ সম্পাদক পদে ইলিয়াস কোবরাকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দিনগত রাত পৌনে ২টার দিকে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচন কমিশন সূত্রমতে, সভাপতি পদে মিশা সওদাগর পেয়েছেন ২২৭টি ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মৌসুমী পেয়েছেন ১২৫ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খান ২৮৪ ভোট পেয়েছে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইলিয়াস কোবরার ভোট মাত্র ৬৮টি ভোট।
সহ-সভাপতির দুটি পদে অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল ৩১১ ও চিত্রনায়ক রুবেল ২৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। সহ-সাধারণ সম্পাদকের একটি পদে অভিনেতা আরমান ২৮১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী
সাংকোপাঞ্জার প্রাপ্ত ভোট ৭১টি। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে ২৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মমনুন ইমন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী নূর মোহাম্মদ খালেদ আহমেদ পেয়েছেন ১০৫ ভোট।
কার্যকরী পরিষদ সদস্যের ১১টি পদে ১৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এতে বিজয়ী হয়েছেন অঞ্জনা সুলতানা, রোজিনা, অরুণা বিশ্বাস, আলীরাজ, আফজাল শরীফ, বাপ্পারাজ, আসিফ ইকবাল, আলেকজান্ডার বো, জেসমিন, জয় চৌধুরী ও মারুফ আকিব।
নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, মোট ৪৪৯ জন ভোটারের মধ্যে ভোট পড়েছে ৩৮৬টি ভোট। ভোট গণনা শেষ হওয়ার আগেই গুজব ছড়িয়ে পড়ে সভাপতি পদে চিত্রনায়িকা মৌসুমী জিতে গেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবরটি ভাইরাল হয়ে যায়।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের ভোট গ্রহণকালে নিরাপত্তার বাড়াবাড়ি নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও শেষ অবধি অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। সকাল ৯টা থেকে বিএফডিসি চত্বরে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৫টা ২৬ মিনিট পর্যন্ত।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০১৯-২১ মেয়াদের নির্বাচনে এবার ১৮টি পদের জন্য লড়াই করেন ২৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অভিনেতা সুব্রত, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে জ্যাকি আলমগীর ও কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা ফরহাদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই বিজয়ী হন। মোট ৪৪৯ জন ভোটারের মধ্যে ভোট পড়ে ৩৮৬টি।
Array