admin
25th Feb 2021 2:54 pm | অনলাইন সংস্করণ

অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম। একটু বিশ্লেষণ করলেই দেখা যাবে, যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা সম্প্রতি একের পর এক নিজেদের খোলস পাল্টে দলত্যাগ করছেন। জামায়াতের নীতি-আদর্শের নামে যারা ভণ্ডামির রাজনীতি করে তাদের বয়কট করে একটি প্রভাবশালী অংশ নতুন রাজনৈতিক দলগুলোতে যোগ দিচ্ছেন বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সূত্র বলছে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিশিষ্ট জামায়াত নেতা অধ্যাপক মফিজুর রহমান এক মাহফিলে জামায়াতকে রাজাকারের দল আখ্যায়িত করে নতুন দলে যোগ দান করেন। কক্সবাজারের হোটেল কোস্টাল পিস মিলনায়তনে নতুন রাজনৈতিক উদ্যোগ জন-আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশের কর্মশালায় যোগ দেন তিনি। এ সময় অধ্যাপক মফিজুর রহমান জামায়াত থেকে পদত্যাগ করে জন আকাঙ্ক্ষায় যুক্ত হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন।
তিনি বলেন, ধর্ম ও মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবসার পণ্য বানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এটা খুবই দুঃখজনক যে, ধর্মকে নিয়ে এই জামায়াত ব্যবসা করছে। এই দল মৃত্যুর পরের জীবনের কথা বলে দলের সাধারণ কর্মীদের থেকে বাইতুল মালের যে অর্থ সংগ্রহ করে তা ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছুই না।
সাবেক এই জামায়াত নেতা অধ্যাপক মফিজুর রহমান আরো বলেন, জামায়াতের যে আদর্শ রয়েছে তা মওদুদী মতবাদ অনুসারে মানা হয়। মূলত মওদুদীবাদকেই জাহির করাই ছিল দলটির মূল টার্গেট। যে ব্যক্তি নিজেই হাদিস নিয়ে ব্যঙ্গ করেছেন তাকে ইসলামের আদর্শিক নেতা হিসেবে জাহির করার চেষ্টা করে জামায়াত। সব জেনে-বুঝে কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মুসলমান জামায়াতের মতো দলে থাকতে পারবে না। আমি জামায়াতের ভণ্ডামি যেদিন বুঝতে পেরেছি সেদিনই দল ত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
জামায়াতের বিষয়ে এক রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, জামায়াত স্বাধীন বাংলাদেশে এক অপরাজনীতি চালু করেছিল। এই দলটিতে গণতন্ত্র বলতে কিছু নেই। তরুণদের চিন্তা ও চরিত্র ধ্বংস করতে এই রাজনৈতিক দলটিই বেশি দায়ী। বিশেষ করে দেশে জঙ্গিবাদের বিস্তার করে চলেছে দলটি। জামায়াতের ধর্ম ব্যবসা বর্তমান প্রজন্ম ধরে ফেলেছে বলেই দলটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
Array