admin
20th Apr 2021 9:36 pm | অনলাইন সংস্করণ

করোনা ক্রান্তিকালের শুরু থেকেই পৃথিবী ব্যাপী একটি আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংস্থা প্রতিশেধক আবিস্কার করলেও আতঙ্ক কমছেনা। কভিড-১৯ ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে যখন সারা পৃথিবী জুড়ে আতঙ্কিত এবং প্রতিনিয়ত মৃত্যুর রেকর্ড পার করে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করছে,ঠিক সেই সময়ে প্রতিকুল পরিস্থিতিতে রমজান মাসের প্রথমেই দেয়া এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউনে এমনিতেই বিপাকে পড়েছেন স্বল্প আয়ের মানুষ।
তারপর আবারও ১ সপ্তাহ লকডাউন বাড়িয়ে দেয়ায় হুতাশায় পরেছে বেলকুচিসহ দেশের স্বল্প আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। এদের মুখে একটাই প্রশ্ন,কিভাবে হবে প্রয়োজনীয় খাবার সংকটের সুরাহা? পরিবার পরিজন বাঁচাতে সরকারের সহযোগীতার দিকে তাকিয়ে আছে স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষ। করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাবে ছুটি আর বিধি বিধান আরোপ করায় থমকে যাচ্ছে বেলকুচির তাঁত শিল্প সমৃদ্ধ স্বল্প আয়ের খেটে খাওয়া মানুষের জীবন প্রণালী। এসব শ্রেণী পেশার মানুষ এখন সংসারের ব্যয়ভার বহন করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন।
করোনার জন্য কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের জীবনের ছন্দপতন ঘটেছে। তারমধ্যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতি ও চাহিদার তুলনায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সরবরাহের ঘাটতি তো রয়েছেই। সব মিলিয়ে ভালো নেই ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্প সমৃদ্ধ স্বল্প আয়ের মানুষ। বাজার চলাকালীন সময়ে বেলকুচি উপজেলার হাট বাজার ঘুরে স্বল্প ও নি¤œ আয়ের মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে হুতাশা আর অনিশ্চয়তার কথা। তাঁত শ্রমিক রাজ্জাক ও হান্নান থাকেন আদালত পাড়ায় জীবন জীবিকার তাগিদে তাকে তাঁত শ্রমিকের কাজ করতে হয়। সে জানায়,সরকার ঘোষিত এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউনে কাজ করতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন। আয় রোজগার এভাবে বন্ধ হয়ে গেলে ছেলে মেয়ে পরিবারকে কি খাওয়াবো এবং এনজিও ঋণের কিস্তি কিভাবে পরিশোধ করবো সেই চিন্তায় কোন কুল কিনারা পাচ্ছি না। কাঁচামাল ব্যবসায়ী আলম জানান, বাজারে ইতিপূর্বে যেমন মানুষ আসতো, করোনা ভাইরাসের জন্য মানুষ পূর্বের মতো আসছে না। শাক সব্জিও আড়ৎ গুলিতে আগের মতো আসছে না। সীমিত পরিসরে আসলেও দাম প্রায় দ্বিগুণ। ফলে কেনাবেচা একেবারে নেই বললেই চলে।
তবে আমদানী বা সরবরাহ কম থাকায় দাম বৃদ্ধির কথাও জানান ব্যবসায়ীরা। বেড়েছে মাছ, মাংস ও সব্জির দাম। বিশেষ করে কিন্ডারগার্টেন স্কুল,কোচিং সেন্টার দীর্ঘ দিন যাবৎ বন্ধ থাকায় এ সব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীরা দূর্ভিসহ জীবন যাপন করছেন। গত বছরের লকডাউন বিধি নিষেধের অভিজ্ঞতায় এসকল মানুষের কাছে আনন্দদায়ক ছিলনা। এবারের লকডাউনে টিকে থাকতে কিছুটা হলেও সরকারীর বে-সরকারী সহায়তার আশায় রয়েছে তারা। এ বিষয়ে সরকারী সহযোগিতার কথা জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনিসুর রহমান জানান,সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোন কিছু আসেনি,তবে আমাদের ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে কিছু সহযোগীতা করা হবে।
Array