admin
16th Feb 2021 2:10 pm | অনলাইন সংস্করণ

বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার ব্যাখ্যা দিতে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেলিযোগাযোগ খাতের দ্বিতীয় বৃহত্তম কোম্পানি রবি আজিয়াটার কর্মকর্তাদের তলব করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
রাজধানীর আগারগাঁয়ের সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে বেলা সাড়ে ১২টায় তাদের ডাকা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিএসইসির মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
বিএসইসির এক কর্মকর্তা বলেন, লভ্যাংশ না দেওয়া সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা জানতে রবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা বসবেন।
সোমবার কোম্পানির ওয়েবসাইটে রবি আজিয়াটার পরিচালনা পর্ষদ অনুমোদিত ২০২০ সালের আর্থিক বিবরণীর যে সংক্ষিপ্তসার প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে কোনো লভ্যাংশ প্রস্তাব করা হয়নি।
অথচ রবি আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি ৭০০ শতাংশের বেশি মুনাফা করেছে। রবির এমন সিদ্ধান্ত বিনিয়োগকারীসহ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বিস্ময় সৃষ্টি করে। এর মধ্যেই রবির কর্তাদের তলবের খবর নিয়ে গণমাধ্যমে গুঞ্জন শুরু হয়।
রবি আজিয়াটার চতুর্থ প্রান্তিকের আর্থিক বিবরণী নিয়ে মঙ্গলবার বেলা ১২টায় সাংবাদিকদের সঙ্গে বসার কথা ছিল কর্মকর্তাদের। সেখানে রবির সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের উপস্থিত থাকার কথা ছিল।
কিন্তু সোমবার রবির কর্মকর্তাদের মঙ্গলবার দুপুরে বিএসইসিতে তলবের খবরের মধ্যে রাতে সাড়ে ১০টার দিকে সংবাদ সম্মেলনের সময় পরিবর্তন করে বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠানের কথা জানায় রবির পক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত জনসংযোগ প্রতিষ্ঠান।
২১ মার্চ রবি আজিয়াটার সাধারণ সভায় আর্থিক বিবরণীর অনুমোদন নিতে হবে। সেজন্য রেকর্ড ডেট ঠিক হয়েছে ৮ মার্চ। অনুমোদন পেলে বিনিয়োগকারীরা কোনো লভ্যাংশ পাবেন না। সাধারণত পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত সাধারণ সভায় পাল্টায় না।
ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে রবি আজিয়াটার শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৩৩ পয়সা, যা আগের বছর ছিল মাত্র ৪ পয়সা। সে হিসেবে ইপিএস বেড়েছে ৭২৫ শতাংশ।
৩৩ পয়সা ইপিএস ধরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সোমবারের বাজার দরের ভিত্তিতে রবির পিই রেশিও (মুনাফা অনুপাতে দাম) হয়েছে ১৩৯ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট, যেখানে গ্রামীণফোনের পিই রেশিও মাত্র ১৪ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট।
Array