
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত ৭ এমপি শপথ গ্রহণ করতে পারেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত একাধিক প্রার্থীই এমন আভাস দিয়েছেন।
নজিরবিহীন ভরাডুবির পর ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে কলঙ্কিত অভিহিত করে ফের ভোটের দাবি তুলেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। একই কারণ দেখিয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে বিরোধী এই জোট।
তবে সরাসরি এ বিষয়ে কথা বলতে না চাইলেও শপথ গ্রহণের পক্ষে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ভেতরে জোরালো মতামত গড়ে উঠছে বলে জানা গেছে বিজয়ী প্রার্থীদের কাছ থেকে।
ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে নির্বাচিত ঐক্যফ্রন্টের জাহিদুর রহমান বলেন, নেতাকর্মীদের নামে যেসব মামলা হয়েছে এগুলো তো মানুষকে হয়রানি করার জন্য, এগুলোর বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলতে পারে।
মৌলভীবাজার-২ আসনের নির্বাচিত ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী সুলতান মোহাম্মদ মনসুর সিদ্ধান্ত আসবে উল্লেখ করে বলেন অপেক্ষা করুন এটাই আমার কমেন্ট।
তবে ঐক্যফ্রন্টের সমর্থন নিয়ে বগুড়া ৭ আসন থেকে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম বাবলু নির্ধারিত দিনেই শপথ নিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমি কোনো দলেই যোগদান করিনি। দেশ, জাতি ও জনগণের স্বার্থে ভবিষ্যতে যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রয়োজন মনে করি, তবে সকলের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে আমি আমার সিদ্ধান্ত প্লেস করবো, তা অবশ্যই সময় সাপেক্ষ।
ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নীতি-নির্ধারক ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরীও নির্বাচিতদের সংসদে যোগ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, নির্বাচিতদের সংসদে যাওয়া উচিৎ। ভেতরে বাইরে দুভাবেই আন্দোলন হবে। সংসদে আন্দোলন হবে, সেখানে প্রশ্ন ওঠানোর জায়গা আছে।
এদিকে শুক্রবার ঢাকার গুলশানে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে গিয়ে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির আরও দু’জন নেতা। অন্য নেতারা হলেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং তাবিথ আউয়াল।
বৈঠক বিষয়ে বিএনপির সূত্রগুলো থেকে জানা গেছে, বিএনপি এবং তাদের জোটের নির্বাচিতরা শপথ নেবেন কিনা, নতুন সংসদে তারা যোগ দেবেন কিনা, বৈঠকে এসব প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বিএনপির অবস্থান বা মনোভাব জানতে চেয়েছেন। এই বিষয়গুলোতে দলটি এখনও চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে বৈঠকে জানানো হয়েছে।
ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিতরা শপথ নিলে ১০ বছর পর আবারও সংসদে দেখা যাবে বিএনপি প্রতিনিধিদের।
Array