
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বাসের চাপায় একজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে শিক্ষার্থীরা। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানালেও তাতে সাড়া দেননি অবরোধকারীরা। মঙ্গলবার বেলা ১১টার কিছু পরে ঘটনাস্থলে যান মেয়র। তিনি বাসচালকের শাস্তি নিশ্চিত করা ও নিহত শিক্ষার্থীর নামে সেখানে একটি পদচারী-সেতু নির্মাণের আশ্বাস দেন। তবে মেয়রের এই আশ্বাসে সাড়া দেননি অবরোধকারীরা।
সকাল ৭টার পরপর রাস্তা পার হতে গিয়ে দু’টি বাসের মধ্যে পিষ্ট হন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র আবরার আহমেদ। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নুরুজ্জামান বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা ফয়সাল তিতুমীরকে জানান সকাল সাড়ে ৭টার কিছুক্ষণ আগে রাস্তার বিপরীত দিক থেকে চিৎকার শুনতে পান।নুরুজ্জামান বলেন, “রাস্তা পার হয়ে দু’টি বাসের মধ্য থেকে একটা ছেলের দেহ বের করতে দেখি। দুই বাসের মধ্যে পড়ে থেতলে গিয়েছিল তার শরীর।”
মি. নুরুজ্জামান বলেন দু’টি বাসের মধ্যে পিষ্ট হওয়ার পর ছেলেটিকে নিয়েই বেশ কিছুটা দূরত্ব পার করে বাস দু’টি। আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন রাস্তা পার করার সময় জেব্রা ক্রসিংয়ের ওপরই আবরারকে চাপা দেয় একটি বাস, যাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের একটি বাস শিক্ষার্থীদের নিতে ঐ এলাকায় আসে। বসুন্ধরা নিবাসী আবরার রাস্তার একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। ঘটনাস্থলে নিহত আবরারের বাবাও উপস্থিত ছিলেন। তিনি রাস্তার একপ্রান্তে দাঁড়িয়েছিলেন এবং আবরার রাস্তা পার হয়ে আরেক প্রান্তে গিয়ে বাসে উঠতে যাচ্ছিল। এই ঘটনার পরপরই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার মূল প্রবেশপথের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ঘটনাস্থলেউপস্থিত হয়ে ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করলেও শিক্ষার্থীরা রাস্তা থেকে সরে আসবে না বলে জানায়। রাস্তায় শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে রামপুরা, বাড্ডা, কুড়িল, বিশ্বরোডসহ বিভিন্ন এলাকায় তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে।
Array
We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.