• ঢাকা, বাংলাদেশ

শুল্ক কমিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর পথেই হাঁটতে চায় অন্তবর্তী সরকার 

 admin 
07th Apr 2025 9:53 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

অর্থনীতি ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপের বিষয়ে নড়েচড়ে বসেছে সরকার। করণীয় ঠিক করতে চলছে লাগাতার বৈঠক। আপাতত শুল্ক কমিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর পথেই হাঁটতে চায় অন্তবর্তী সরকার।

চলতি মাসের ৯ তারিখ থেকে এই শুল্কহার কার্যকর হওয়ার কথা। এ নিয়েই বড় উদ্বেগ বাংলাদেশের। কারণ, বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের বড় গন্তব্য দেশ যুক্তরাষ্ট্র। শুধু পোশাকই নয়, দ্বিতীয় প্রধান রফতানি পণ্য লেদারগুডস ও সিনথেটিক পণ্যেও তৈররি হয়েছে দুশ্চিন্তা।

ইতোমধ্যে এই ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত রাখতে চিঠিতে অনুরোধ জানান তিনি।

ব্যবসায়িদের দাবি, প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে অবকাঠামোগত সুবিধা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেছেন, পণ্য পাঠাতে বন্দরে আমাদের সময় বেশি লাগে, এটি কীভাবে কমানো যায় সেটার ব্যাপারে আরো মনোযোগ দেয়া এবং পাশাপাশি এনবিআর যেসব ট্যাক্স আরোপ করে রেখেছে, এগুলোর বিষয়ে আবার চিন্তা-ভাবনা করা, করপোরেট ট্যাক্স কমিয়ে আনা দরকার। ব্যবসায় তো টিকে থাকতে হবে, না হলে কিন্তু অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন আরোপিত শুল্কের নাম দেয়া হয়েছে রিসিপ্রোকাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্ক। অর্থাৎ যেসব দেশ এতদিন মার্কিন পণ্যের ওপর উচ্চশুল্ক নির্ধারণ করে রেখেছিল, সেই সব দেশের পণ্যে দেয়া হয়েছে পাল্টা শুল্ক। বাংলাদেশ এতদিন গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক দিলেও এখন দিতে হবে ৩৭ শতাংশ।

অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, বাণিজ্য ঘাটতিকে ভাগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, তাদের ওখানে আমাদের রফতানি ৮.৪ বিলিয়ন ডলার মতো। আর ওদের রফতানি দিয়ে আমাদের রফতানিকে ভাগ দিলে দুই দেশের মধ্যে ঘাটতি আসে ৭৪ শতাংশ। সে (ডোনাল্ড ট্রাম্প) সেখানে বলছে, আমি একটা ডিসকাউন্ট দিচ্ছি… সবাইকে ৫০ শতাংশ ডিসকাউন্ট, ৭৪ এর ৫০ শতাংশ ডিসকাউন্ট হচ্ছে ৩৭। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যেই বাণিজ্য ঘাটতিটা আছে এইটা কমাতে হবে। এইটা কমানোর দুইটা পথ আছে, একটা হলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়ানো, আরেকটা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি কমানো।

মূলত বাণিজ্য ঘাটতি বিবেচনায় নিয়েই বাড়তি শুল্কারোপের হিসাব কষেছে মার্কিন সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি। অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ৮ বিলিয়ন ডলার রফতানির বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানির পরিমাণ ২ বিলিয়ন ডলারের সামান্য বেশি।

ড. জাহিদ হোসেন বলেন, সবাই আলোচনায় শুল্কের কথা বলছেন। ওরা তো শুধু শুল্কের কথা বলে না। শুল্ক, প্যারা টেরিফ, নন-টেরিফ ব্যারিয়ার আর কারেন্সি ম্যানিপুলেশনের কথা বলছে। বিশেষ করে নন-টেরিফ ব্যারিয়ারটাই বেশি গুরুত্ব পেয়েছে বাংলাদেশের চ্যাপ্টারে। তো ওই নন-টেরিফ ব্যারিয়ারগুলোকে শিথিল করার জন্য বা সহজ করার জন্য আমরা কী কী উদ্যোগ নিয়েছি, সেগুলোর একটা তালিকা করা দরকার।

শুল্ক ইস্যুতে আলোচনায় বসতে প্রস্তুতি দরকার। এক্ষেত্রে, বড় ভূমিকা রাখতে পারে অ-শুল্ক বাধা। প্রশ্ন হচ্ছে, হঠাৎ করে দেয়া বাড়তি শুল্কের বোঝা চাপবে কারঘাড়ে?

ড. জাহিদ হোসেন বলেছেন, আমি নিশ্চিত, ক্রেতাদের কাছ থেকে আগামী সপ্তাহে তারা ই-মেইল বা ফোন পাবেন, তোমাদের সাথে আমরা চুক্তি করেছিলাম এই শুল্কের আগে, এখন এই শুল্কের কারণে আমাদের খরচ বেড়ে গেছে। কাজেই তোমরা দামটা কমাও। প্রাইস ডিসকাউন্ট চাইবে তারা। সেইক্ষেত্রে তো বোঝাটা আমাদের ঘাড়ে আসছে।

এদিকে, বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা এমন ৩০-৩৫টি পণ্যের শুল্কহার কমিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে চায় অন্তবর্তী সরকার।

সূত্র যমুনা টিভি

Array
We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
এই বিভাগের আরও খবর
 
Jugantor Logo
ফজর ৫:০৫
জোহর ১১:৪৬
আসর ৪:০৮
মাগরিব ৫:১১
ইশা ৬:২৬
সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১