
এই পর্যন্ত ভোটের পরিবেশে সন্তোষ জানিয়েই তিনি বলেছেন, ভবিষ্যতে কারও বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণের নয় দিন আগে বুধবার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠক করে ইসি। সিইসির সভাপতিত্বে এই বৈঠকে নির্বাচন কমিশনাররা ছাড়াও নির্বাচনের কাজে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নূরুল হুদা বলেন, “সবার নজর ঢাকা সিটির ভোটের দিকে। আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। ভোটে সবাই মহা উৎসবের আমেজে রয়েছে। এর যথাযথ গুরুত্ব অনুধাবন করে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবে।”
ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় ভোটের দুই দিন আগে থেকে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েনের পরিকল্পনা নিয়েছে ইসি। সব মিলিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অর্ধ লক্ষ সদস্য মোতায়েনের পরিকল্পনা হয়েছে। ভোটের মাঠে যে কোনো অভিযোগ ‘সঠিকভাবে’ মিটিয়ে ফেলতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেন সিইসি।
সেই সঙ্গে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, “কোনো ধরনের গাফিলতি সহ্য করা হবে না। আমাদের কাছে অভিযোগ এলে অনিয়মে কারা জড়িত, তা দেখে সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।” সভায় সূচনা বক্তব্যে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরেন ইসি সচিব মো. আলমগীর।
সরকারবিরোধী প্রার্থীরা আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে এলেও পরিবেশ নিয়ে এখনও সন্তুষ্ট ইসি। আলমগীর বলেন, “এখন পর্যন্ত আচরণবিধির গুরুতর লঙ্ঘন কিংবা গুরুতর নির্বাচনী অপরাধ সংগঠনের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। নির্বাচনের পরিবেশ-পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।”
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম ও কবিতা খানম বৈঠকে ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বৈঠকে ছিলেন মহাপুলিশ পরিদর্শক, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, র্যাব, আনসার ও ভিডিপি, ডিজিএফআই,এনএসআইয়ের মহাপরিচালক, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক, ঢাকার জেলা প্রশাসক ও ঢাকার পুলিশ সুপার।
ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারাও বৈঠকে ছিলেন।
Array