
ঢাকা, ০২ অক্টোবর-২০২০ইং শুক্রবার: জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, সরকারের জবাবদিহিতার অভাবেই সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীর সামনে স্ত্রী গণধর্ষনের শিকার এমন ঘটনা ঘটছে। তিনি বলেন, দেশে ধর্ষনের ঘটনা এমনভাবে বেড়েছে যাতে বিশ্বের সামনে আমাদের মাথা হেট হয়ে যাচ্ছে। স্বামীর সামনে স্ত্রী গণধর্ষনের শিকার এমন বিভৎস ঘটনার দায় কেউ এড়াতে পারেনা। আমরা প্রতিটি ধর্ষনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। তিনি বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জাতীয় পার্টির শাসনামলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন করেছেন। নারীর প্রতি এসিড সন্ত্রাস বন্ধ করতে মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে আইন করে এসিড সন্ত্রাস বন্ধ করেছিলেন। আজ বিকালে কাকরাইলস্থ জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় চত্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ টিআইবি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের সমালোচনা করে বলেন, জাতীয় পার্টির কারণে সংসদে জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়নি এমন অভিযোগ সঠিক নয়। তিনি টিআইবি’কে উদ্দেশ্য করে বলেন, তিন জোটের রূপরেখা অনুযায়ী পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। তিন জোটের রূপরেখা অনুযায়ীই রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা থেকে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে দেশে সংসদীয় স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এমন সংসদীয় গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যাতে, যারা সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাবে সেই দলের প্রধানই প্রধানমন্ত্রী হবেন। সরকারী দলের বাইরে কারো কিছু করার ক্ষমতা থাকেনা। কারণ, ৭০ ধারা অনুযায়ী দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে কোন সংসদ সদস্য ভোট দিতে পারেননা। তাই বর্তমান সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় প্রকৃত গণতন্ত্র চর্চা সম্ভব নয়।
টিআইবি’র উদ্দেশ্যে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরো বলেন, আওয়ামী লীগ এবং বিএনপিও প্রধান বিরোধী দল হিসেবে সংসদে ছিল। বর্তমান সংসদীয় পদ্ধতিতে তারাও সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি সংসদ বর্জন করে সংসদকে অকার্যকর করতে চেয়েছে।
এর আগে জাতীয় পার্টির নবনির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান খান, নব নিযুক্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান।
উপস্থিত ছিলেন- চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা গোলাম মোস্তফা, জহিরুল আলম রুবেল, যুগ্ম-মহাসচিব মোঃ বেলাল হোসেন, দফতর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মোঃ হুমায়ুন খান, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইসহাক ভুইয়া, এমএ রাজ্জাক খান, সুমন আশরাফ, আক্তার দেওয়ান, মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, আব্দুস সোবহান, মোঃ দ্বীন ইসলাম শেখ, কেন্দ্রীয় নেতা- মাওলানা খলিলুর রহমান সিদ্দিকী, শেখ সারোওয়ার প্রমুখ।
Array