
বিশ্বের মতো আমাদের দেশেও মহামারি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। প্রতিদিন হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ, বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। মানুষে জনসমাগম বন্ধের লক্ষ্যে বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণে সকল বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। সেই থেকে সাফারি পার্ক বন্ধ রয়েছে। তবে এ করোনাকালীন বন্ধের মধ্যে গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের জেব্রা পালে আসল আনন্দের খবর।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) একটি শাবকের জন্ম হয় সে জেব্রা পালে। এ নিয়ে জেব্রা দলের সদস্য দাঁড়ালো ২৫ এ। গত বছরের করোনাকালীন সময়ে পার্কের বেশ কিছু প্রাণি বাচ্চার জন্ম দিয়েছিল। তবে সদ্য জন্ম নেওয়া শাবকের লিঙ্গ নির্ণয় করা যায়নি।
পার্ক কতৃর্পক্ষ জানান, সাফারি পার্কের আফ্রিকান সাফারি বেষ্টনীতে উন্মুক্ত বসবাস করে জেব্রাসহ অন্যান্য বিদেশী প্রাণি। পার্কের কোর সাফারির একটি অংশে আফ্রিকান সাফারি জোন রয়েছে। এখানে হরিণ, জিরাফ, অরিক্স, গ্যাজেল, ওয়া ইল্ডবিস্ট, কমন ইল্যান্ড একত্রে উন্মুক্ত পরিবেশে বিচরণ করে। পার্কের নিজস্ব নিয়মে এদের খাবার দেওয়া হয়। পার্কে এ জেব্রা শাবকসহ মোট ২৫ টি জেব্রা রয়েছে। যার মধ্যে ১৫ টি নারী এ ৯ পুরুষ জেব্রা। নতুন শাবকটির লিঙ্গ এখনো জানা যায়নি।
সাফারি পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার সরোয়ার হোসেন খান জানান, সাধারণত মা জেব্রা একটি বাচ্ছার জন্ম দিয়ে থাকে। জেব্রা ১২ থেকে ১৩ মাস গর্ভকালীন সময় পার করে। গড় আয়ু বিশ বছর। পুরুষ জেব্রা চার বছরে ও নারী জেব্রা তিন বছরে প্রাপ্ত বয়স্ক হয়।
তিনি বলেন, জন্মগ্রহণকারী জেব্রাটির লিঙ্গ জানা যায়নি। মা জেব্রা ও শাবকটি সুস্থ রয়েছে। সময় করে করে শাবক মায়ের দুধ পান করছে।
অপর ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার আনিসুর রহমান জানান, জেব্রারা দলবেঁধে বসবাস করে। এরা দলবদ্ধ গ্রোত্রের প্রাণী। ওদের দলে কোনো শাবকের জন্ম হলে অন্য সদস্যরা আলাদা নজরে রাখে শাবকের ওপর। শাবকদের নিরাপত্তা সবাই নিশ্চিত করে। আফ্রিকান সাবানা অঞ্চলে এদের অবাধ বিচরণ। যেখানে গাঢ় সবুজ ঘাস রয়েছে মাঠের পরে মাঠ। মাঝে মাঝে থাকে উঁচু গাছপালা। আফ্রিকা থেকেই সাফারি পার্কে আনা হয়েছে জেব্রাগুলো। উপযুক্ত পরিবেশ পেয়ে জেব্রাসহ অন্যান্য প্রাণীরা নিয়মিত বাচ্চার জন্ম দিচ্ছে এ সাফারি পার্কে।
Array