
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে এক সময়ের অনেক অনাবাদি জমিতে এখন নয়ানাভিরাম সূর্যমুখীর হলদে ফুলের হাসি শোভা পাচ্ছে। আর সে হাসিতে যেন কৃষকের মুখেও ফুটেছে স্বস্তির হাসি।
ব্যাপক চাহিদার বিপরীতে কম খরচে অধিক লাভবান হওয়ায় দিন দিন সূর্যমুখী চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে এই উপজেলায়। এতে করে উৎকৃষ্টমানের ভোজ্য তেলের চাহিদা কিছুটা হলেও পূরণের নতুন সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।
কৃষক এবং কৃষি অফিস জানায়, কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার না হলে এবার সূর্যমুখীর বাম্পার ফলন হবে বলে মনে করছেন তারা।
বাজার ব্যবস্থাপনা, সেচ ব্যবস্থা, ঋণ সুবিধা পেলে সূর্যমুখী চাষের মাধ্যমে এ অঞ্চলের কৃষি বিপ্লব ঘটানো সম্ভব বলে ধারণা করছেন কৃষক ও সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মাঠ জুড়ে চোখ জুড়ানো মনোমুগ্ধকর হলুদের সমারোহ। সবুজ গাছের মাথায় থাকা এসব হলদে ফুল বাতাসে দুলছে। ফুলে ফুলে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে মৌমাছি, আর প্রজাপতি। আর সেই দৃষ্টিকাড়া ফুলের সৌন্দর্য্য দেখতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছবি তুলতে ভিড় করছে সব বয়সের নারী-পুরুষ। সরকারি কর্মকর্তারাও পরিবার-পরিজন নিয়ে সেখানে ছুটে যাচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এ বছর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৬০ জন কৃষক প্রায় ২০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর হাইসান-৩৩ জাত আবাদ করেছেন, যা গত বছরের চেয়ে তিনগুণ বেড়েছে।
চাষি কৃষক শামিম আহমদ, ওয়াসিম আহমদ, ফয়ছল মিয়া, আশিক আলী, আব্দুর করিম জানান, সূর্যমুখী চাষাবাদের খরচ একবারে কম। ফলন ভালো হলে, আশা করছি লাভবান হব। তবে সরকারি সহযোগিতা আরো বাড়ানোসহ বাজার ব্যবস্থার উন্নয়ন করা গেলে আধিক কৃষক সূর্যমুখী চাষে আগ্রহী হত।
জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত ওসমান মজুমদার বলেন, ‘গত বছর প্রথমবারের মত অল্প পরিসরে এ উপজেলায় সূর্যমুখীর চাষ করে বাম্পার ফলন হয়েছিল। এ বছর ২০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। আশা করি এ বছরও বাম্পার ফলন হবে। সূর্যমুখী চাষের জন্য কৃষকদেরকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে।’
Array